পেটে গজ রেখে অপারেশন করা সেই চিকিৎসক হাইকোর্টে
১১ ডিসেম্বর ২০১৭ ১২:০৩ | আপডেট: ১১ ডিসেম্বর ২০১৭ ১২:১০
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
ঢাকা: পটুয়াখালীর বাউফলে সন্তান প্রসবের সময় রোগীর পেটে গজ রেখে অপারেশন করা চিকিৎসক রাজন দাস হাইকোর্টে হাজির হয়েছেন।
পলাতক এ চিকিৎসককে হাইকোর্টে হাজির হতে বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরী ও বিচারপতি একেএম জহিরুল হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছিলেন। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী তিনি আদালতে হাজির হলেন।
একটি জাতীয় দৈনিকে গত ২২ জুলাই ‘সাড়ে তিন মাস পর পেট থেকে বের হলো গজ!’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনটি সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. শহিদ উল্লা আদালতের নজরে আনার পর রুলসহ হাইকোর্ট আদেশ দেন।
ওই পত্রিকার প্রতিবেদনে বলা হয়, অস্ত্রোপচারের সাড়ে তিন মাস পর বরিশালে মাকসুদা বেগম (২৫) নামের এক নারীর পেট থেকে গজ বের করা হয়েছে। মুমূর্ষু অবস্থায় ওই নারীকে হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রাখা হয়েছে। চিকিৎসকরা বলেন, দীর্ঘদিন পেটের ভেতর গজ থাকায় খাদ্যনালীতে অনেকগুলো ছিদ্র হয়ে গেছে। মাকসুদা বেগমের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়।
মাকসুদা পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার বিলবিলাস গ্রামের মো. রাসেল সরদারের স্ত্রী। গত মার্চে অস্ত্রোপচার করে মাকসুদা একটি কন্যাসন্তানের জন্ম দেন। তখন তাঁর পেটে গজ রেখে সেলাই করে দেন চিকিৎসক।
এজেডকে/ এমএইচটি