শীতের সবজিতে ভরা বাজারে ঊর্ধ্বমুখী চালের দাম
১১ ডিসেম্বর ২০২০ ১৮:২৬ | আপডেট: ১১ ডিসেম্বর ২০২০ ১৯:২৫
ঢাকা: শীত আসতে না আসতেই নানারকমের সবজিতে ভরে উঠেছে বাজার। রাজধানীতে বেশিরভাগ সবজির দাম এখন ৩০ থেকে ৫০ টাকা কেজি। কমেছে পেঁয়াজেরও দাম। পাইকারি বাজারে এখন ২০ টাকা কেজিতেও পেঁয়াজ পাওয়া যাচ্ছে। তবে বাজারে বেড়েই চলছে চালের দাম।
শুক্রবার (১১ ডিসেম্বর) কারওয়ান বাজারসহ রাজধানীর বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে এমন তথ্য জানা গেছে।
কারওয়ান বাজারের পাইকারিতে দেশি পেঁয়াজ ৪৫, চায়না ২০ ও মিশরের পেঁয়াজ ২৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। তবে খুচরা বাজারে দেশি পেঁয়াজ ৬০ টাকা, আমদানিকৃত পেঁয়াজ ৩০ থেকে ৪০ কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়াও চায়না আদা ১০০ টাকা, চায়না রসুন ৮৫ থেকে ৯০ টাকা ও দেশি রসুন ১০০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।
এছাড়া, পাইকারি বাজারে আলু ৪০ থেকে ৪২ টাকা কেজিতে বিক্রি হলেও খুচরা বাজারে আলুর দাম ৫০ টাকা। মহাখালীর বউ বাজারের দোকানী শাহাদাত হোসেন সারাবাংলাকে বলেন, ‘বাজারে পুরোনো আলুর দাম আগের মতোই রয়েছে।’
সবজির মধ্যে কারওয়ান বাজারে প্রতি কেজি শিম এখন ৩০ থেকে ৪০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। বড় আকারের ফুলকপি ৩০ টাকা ও মাঝারি আকারের ফুলকপি ২০ থেকে ২৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। একই দামে বিক্রি হচ্ছে বাঁধাকপিও। আর প্রতি কেজি শালগম বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকায়। বেগুন ৪০ থেকে ৫০, ঝিঙ্গা ৫০, বরবটি ৫০, পটল ৫০, টমেটো ১০০, গাজর ৭০ টাকা ও কাঁচামরিচ ১০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। বাজারের বিক্রেতা আনিস সারাবাংলাকে বলেন, ‘বাজারে সবজির দাম অনেক কমছে।’
মহাখালীর বউবাজারে পেঁপে ৩০, ঢেঁরশ ৫০, বরবটি ৫০, পটল ৫০, শিম ৪০, বেগুন ৫০, করলা ৫০ ও টমেটো ১০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হতে দেখা গেছে। ফুলকপি ৩০ ও বাঁধাকপি ৩০ এবং লাউ ৫০ টাকা পিস বিক্রি হচ্ছে। এই বাজারে শশা ৪০ থেকে ৬০ টাকা এবং কাঁচামরিচ ১০০ থেকে ১২০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। লেবু বিক্রি হচ্ছে ১৫ থেকে ৪০ টাকা হালি। দেশি পেঁয়াজ ৭০, রসুন ১২০ ও আদা ১২০ ও আলু ৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হতে দেখা গেছে। সয়াবিন তেল ১১৭ টাকা লিটারে ও ডিম ৩০ টাকা হালিতে বিক্রি হচ্ছে।
এই বাজারের সবজি বিক্রেতা সেলিম সারাবাংলাকে বলেন, ‘বাজারে সবজির দাম মোটামুটি। দুই একটি সবজির দাম কিছুটা কমেছে। তবে অন্যান্য সবজির দাম আগের মতোই রয়েছে।’
তবে বাজারে চালের দাম গেল সপ্তাহের চেয়ে আরও কিছুটা বেড়েছে। মিনিকেটের দাম বস্তায় ৫০ থেকে ১০০ টাকা বেড়েছে। বর্তমানে খুচরা বাজারে মিনিকেট ৫৮ থেকে ৬০ টাকা, আঠাশ ৪৮ থেকে ৫৫ টাকা, নাজিরশাইল ৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। বিসমিল্লাহ স্টোরের মালিক গাফফার হোসেন সারাবাংলাকে বলেন, ‘কেজিতে চালের দাম এক থেকে দুই টাকা বেড়েছে।’
কারওয়ান বাজারের হাজী ইসমাইল অ্যান্ড সন্সের মালিক জসিম উদ্দিন সারাবাংলাকে বলেন, ‘গেল সপ্তাহে মিনিকেট ২ হাজার ৮৫০ টাকা বস্তায় বিক্রি হলেও এখন দাম ২ হাজার ৯০০ থেকে ৩০০০ টাকা। এখন ৫৮ থেকে ৬০ টাকা কেজিতে মিনিকেট বিক্রি হচ্ছে।’
অন্যদিকে, বাজারে গরু ৬০০ ও খাসি ৯০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। আর ব্রয়লার মুরগি ১২৫ টাকা, পাকিস্তানি কর্ক ২০০ টাকা ও সাদা কর্ক ২০০ ও দেশি মুরগি ৪০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। মুরগির দাম বাজারে প্রায় অপরিবর্তিত রয়েছে।