দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়াল ‘গৃহবন্দি’
৮ ডিসেম্বর ২০২০ ১৩:১৭ | আপডেট: ৮ ডিসেম্বর ২০২০ ১৪:৩১
ভারতে আন্দোলনরত কৃষকদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে ফেরার পর থেকেই দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী এবং অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছে বলে দাবি করেছে আম আদমি পার্টি। খবর হিন্দুস্থান টাইমস।
মঙ্গলবার (৮ ডিসেম্বর) স্থানীয় সময় সকালে ভারতের শীর্ষ গণমাধ্যমগুলোর অনলাইন সংস্করণে এ খবর বেরিয়েছে।
Important :
BJP's Delhi Police has put Hon'ble CM Shri @ArvindKejriwal under house arrest ever since he visited farmers at Singhu Border yesterday
No one has been permitted to leave or enter his residence#आज_भारत_बंद_है#BJPHouseArrestsKejriwal
— AAP (@AamAadmiParty) December 8, 2020
মাইক্রো ব্লগিং ওয়েবসাইট টুইটারে আম আদমি পার্টি জানিয়েছে, সোমবার (৭ ডিসেম্বর) কৃষকদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে ফেরার পর থেকেই মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে গৃহবন্দি করে রেখেছে দিল্লি পুলিশ।
তবে, এ অভিযোগ অস্বীকার করে দিল্লি পুলিশের (উত্তর) ডেপুটি কমিশনার অন্তু অ্যালফোনস বলেছেন, মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনের সামনে স্বাভাবিক নিয়মেই পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে, যাতে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি না হয়। তাকে গৃহবন্দি করা হয়নি।
এ ব্যাপারে আম আদমি পার্টির নেতা সৌরভ ভারদ্বাজ বলেছেন, সিংঘু সীমান্তে অবস্থান নেওয়া কৃষকদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তাদের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন। সেখান থেকে ফেরার পর থেকেই, দিল্লি পুলিশ মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবন ঘেরাও করে রেখেছে। তাকে গৃহবন্দি করা হয়েছে। কাউকে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। মুখ্যমন্ত্রীকেও বাড়ির বাইরে বের হতে দেওয়া হচ্ছে না।
এদিকে, মঙ্গলবার (৮ ডিসেম্বর) ভারতের কৃষি সংস্কার আইন বাতিলের দাবিতে কৃষক সংগঠনগুলোর ডাকে সকাল ১১টা থেকে বিকাল তিনটা পর্যন্ত ‘ভারত বনধ’ কর্মসূচি পালিত হচ্ছে।
অন্যদিকে, পাঁচ দফা ভেস্তে যাওয়ার পর সরকার এবং আন্দোলনরত কৃষক প্রতিনিধিদের মধ্যে বৃহস্পতিবার (৯ ডিসেম্বর) আরেক দফা আলোচনা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২৭ সেপ্টেম্বর ভারতের পার্লামেন্টে কৃষিখাত সংস্কারে তিনটি আইন পাস করা হয়। এরপরই ওই আইনগুলোর বিরোধিতায় কৃষকদের মধ্যে আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে। দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে নতুন কৃষি আইনের বিরোধিতা করছেন কৃষকরা।
এর মধ্যে, শেষ দুই সপ্তাহে আন্দোলন আরও জোরদার করেছেন কৃষকরা। ১৩ দিন ধরে দিল্লির সঙ্গে হরিয়ানা, পাঞ্জাবসহ অন্য রাজ্যগুলোর সংযোগপথ অবরুদ্ধ করে রেখেছেন আন্দোলনকারী কৃষকরা। এই আন্দোলনে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে এ পর্যন্ত অন্তত তিন জনের মৃত্যুর সংবাদ পাওয়া গেছে।