Wednesday 08 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘বাণিজ্য-বিনিয়োগ বাড়াতে ব্রিটেনের সাথে জি টু জি বৈঠক জানুয়ারিতে’


৩ ডিসেম্বর ২০২০ ১৬:৫৪ | আপডেট: ৩ ডিসেম্বর ২০২০ ১৯:২৩

ঢাকা: ব্রেক্সিট পরবর্তী বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়াতে জানুয়ারিতে বাংলাদেশের সঙ্গে জি টু জি বৈঠকে বসতে চায় ব্রিটেন। বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, ব্রিটেনের আগ্রহে বাংলাদেশ উৎসাহবোধ করছে। নতুন উদ্যমে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সঠিক পথে পরিচালনার জন্য উভয় দেশের মধ্যে বাণিজ্য আলোচনা জরুরি। জানুয়ারিতেই জি টু জি বাণিজ্য বৈঠকের আয়োজন করা হবে।

বৃহস্পতিবার (৩ ডিসেম্বর) বাণিজ্যমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন থেকে ঢাকায় নিযুক্ত ব্রিটেনের হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটার্টন ডিকসনের সঙ্গে এক মতবিনিময়ে এসব কথা বলেন।

বিজ্ঞাপন

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, ‘বাংলাদেশের সঙ্গে ব্রিটেনের বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। ব্রিটেন বাংলাদেশের তৃতীয় বৃহত্তম রফতানি বাজার। উভয় দেশের বাণিজ্য বাড়ানোর প্রচুর সুযোগ রয়েছে। ব্রিটেন ইউরোপীয়ন ইউনিয়ন থেকে আলাদা (ব্রেক্সিট) হওয়ার পর নতুন বাণিজ্য নীতিতে বাংলাদেশকে গুরুত্ব দেবে বলে আশা করছি।’

বাণিজ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘বাংলাদেশে ব্রিটেনের অনেক বিনিয়োগ রয়েছে। আরও বিনিয়োগ ও বাণিজ্যকে বাংলাদেশ স্বাগত জানাবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগে দেশের গুরুত্বপূর্ণস্থানে ১০০টি স্পেশাল ইকোনমিক জোন গড়ে তোলার কাজ দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। চীন, জাপান, কোরিয়া, ভারতসহ বেশকিছু দেশ সেখানে বিনিয়োগে এগিয়ে এসেছে। ব্রিটিশ বিনিয়োগকারীরা এখানে বিনিয়োগ করলে লাভবান হবেন। বাংলাদেশ সরকার বিদেশি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে অনেক সুযোগ-সুবিধার ঘোষণা দিয়েছে। আগামী দিনগুলোতে বাংলাদেশ-ব্রিটেন বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির ক্ষেত্রে একসাথে কাজ করবে।

বিজ্ঞাপন

টিপু মুনশি বলেন, ‘২০২৪ সালে বাংলাদেশ এলডিসি থেকে বেরিয়ে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হবে। এ সময় ব্রিটেন বাংলাদেশকে বাণিজ্য ক্ষেত্রে চলমান সুযোগ-সুবিধাগুলো প্রদান অব্যাহত রাখবে বলে আশা করছি। বিভিন্ন দেশের সঙ্গে পিটিএ এবং এফটিএ করে বাণিজ্য সুবিধা সৃষ্টির জন্য বাংলাদেশ প্রচেষ্টা শুরু করেছে। বাংলাদেশে রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে ব্রিটেন সহযোগিতা করছে সেজন্য আমরা কৃতজ্ঞ। বাংলাদেশের বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী বৃটেনে পড়া লেখা করেন। অনেকেই উচ্চশিক্ষা গ্রহণের জন্য ব্রিটেনে যান। অনেকেই ইচ্ছা থাকার পরও আর্থিক কারণে সেখানে যেতে পারেন না। বৃটেন এখানে একটি আন্তর্জাতিক মানের বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তুললে বাংলাদেশের আরও অনেক শিক্ষার্থ সেখানে পড়ালেখার সুযোগ পাবেন।’

ঢাকায় নিযুক্ত ব্রিটেনের রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘ব্রেক্সিট পররর্তী বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বৃটেন বাংলাদেশকে গুরুত্ব দিচ্ছে। উভয় দেশের মধ্যে বাণিজ্য বৈঠক করে এ বিষয়ে বিস্তারিত কার্যক্রম নেওয়া সম্ভব। বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে বৃটিশ সরকার বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়ানোর বিষয়ে আলোচনায় আগ্রহী। বাংলাদেশের সঙ্গে বৃটেনের চলমান বাণিজ্য ও বিনিয়োগ এবং বাণিজ্য সুবিধা অব্যাহত থাকবে এবং আগামীতে তা আরও বাড়ানোর প্রচেষ্টা থাকবে। বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বৃটেন বাংলাদেশকে অধিক গুরুত্ব দেয়।’

উল্লেখ্য, বৃটেন বাংলাদেশে রফতনির একটি বড় বাজার। গত অর্থবছর বাংলাদেশ বৃটেনে ৩ হাজার ৪৫৩ দশমিক ৮৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য রফতানি করেছে। একই সময়ে আমদানি করেছে ৪১০ দশমিক ৮৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য। উভয় দেশের মধ্যে এ বাণিজ্য আরও বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে।

জি টু জি বৈঠক টপ নিউজ টিপু মুনশি বাণিজ্য বিনিয়োগ বাণিজ্যমন্ত্রী বাংলাদেশ-ব্রিটেন

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর