আবরার হত্যা মামলায় সিকিউরিটি গার্ডসহ ২ জনের সাক্ষ্য
২৬ নভেম্বর ২০২০ ২০:১৮ | আপডেট: ২৬ নভেম্বর ২০২০ ২২:১০
ঢাকা: বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় আরও দু’জনের জবানবন্দি রেকর্ড করেছেন ট্রাইব্যুনাল।
বৃহস্পতিবার (২৬ নভেম্বর) ঢাকার এক নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামানের আদালতে সাক্ষীরা তাদের জবানবন্দি দেন। এরপর আসামিপক্ষের আইনজীবীরা তাদের জেরা শেষ করেন। আগামী ২৯ নভেম্বর এই মামলায় ফের সাক্ষ্য নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।
বৃহস্পতিবার সাক্ষ্য দেওয়া দু’জন হলেন— বুয়েটের কর্মচারী কামরুল হাসান ও সিকিউরিটি গার্ড মো. মোস্তফা। মলাটিতে ৬০ জন সাক্ষীর মধ্যে ৩৭ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হলো।
গত ১৪ সেপ্টেম্বর একই আদালত আসামিদের অব্যাহতির আবেদন নাকচ করে চার্জ গঠনের আদেশ দেন। গত ১৩ জানুয়ারি আবরার হত্যা মামলার নথিটি বিচারের জন্য প্রস্তুত হওয়ায় মহানগর দায়রা জজ আদালতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) আদালত। এরপর মহানগর দায়রা জজ আদালত দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ পাঠানোর আদেশ দেন।
২০১৯ সালের ১৩ নভেম্বর আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় ২৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্রটি আদালতে জমা দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ঢাকা মহানগর (দক্ষিণ) গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) পরিদর্শক ওয়াহেদুজ্জামান।
অভিযুক্ত ২৫ জনের মধ্যে এজাহারভুক্ত আসামি ১৯ জন। এছাড়া তদন্তে আরও ছয় জনকে অভিযুক্ত করা হয়। এর মধ্যে ২২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিন জন পলাতক রয়েছেন। তাদের মধ্যে আট জন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দিয়েছেন।
২০১৯ সালের ৭ অক্টোবর ভোরে বুয়েটের শেরেবাংলা হলের সিঁড়ি থেকে আবরার ফাহাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে জানা যায়, শিবির সন্দেহে তাকে ডেকে নিয়ে বন্ধ ঘরে পিটিয়ে মেরেছেন বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এ ঘটনায় আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ চকবাজার থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় ১৯ জনের নাম উল্লেখ করা হয়।