বুড়িগঙ্গা ও তুরাগ তীরে এমপি আসলামুলের ২ স্থাপনা অবৈধ
২৫ নভেম্বর ২০২০ ১৭:৫৯ | আপডেট: ২৫ নভেম্বর ২০২০ ২১:১১
ঢাকা: বুড়িগঙ্গা ও তুরাগ নদ দখল করে ঢাকা-১৪ আসনের সংসদ সদস্য আসলামুল হকের মালিকানাধীন দুইটি স্থাপনাকে অবৈধ বলে চূড়ান্ত প্রতিবেদন তৈরি করেছে জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন। মাইশা পাওয়ার প্ল্যান্ট ও আরিশা প্রাইভেট ইকোনমিক জোন নামের এই দুই স্থাপনা চরওয়াশপুরে দুই নদের প্রায় ৫৪ একর জমি দখল করে গড়ে উঠেছিল।
জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন তাদের প্রতিবেদনে বলছে, এসব স্থাপনা উচ্ছেদ করতে হবে। দ্রুত সব স্থাপনা উচ্ছেদের জন্য বিআইডব্লিউটিএ ও জেলা প্রশাসনকে নির্দেশনা দিয়ে চিঠিও পাঠিয়েছে কমিশন। উচ্ছেদের খরচ এমপি আসলামুল হকের কাছ থেকে আদায় করতে বলা হয়েছে।
বুধবার (২৫ নভেম্বর) জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের পক্ষ থেকে এই প্রতিবেদনটি দাখিল করা হয়েছে। ওই প্রতিবেদনেই আসলামুল হকের দুই স্থাপনাকে অবৈধ বলে ঘোষণা করেছে কমিশন।
এর আগে, কেরানীগঞ্জের চরওয়াশপুরে মাইশা পাওয়ার প্ল্যান্ট স্থাপন করে এমপি আসলামুল হক। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, বুড়িগঙ্গা নদী ভরাট করে তিনি এই পাওয়ার প্ল্যান্ট স্থাপন করেছেন। এমন অভিযোগের পর এ বছরের মার্চে ওই প্ল্যান্টে উচ্ছেদ অভিযান চালায় বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)। অভিযানে পাওয়ার প্ল্যান্টের আধা কিলোমিটার সীমানা প্রাচীর ভেঙে দেওয়া হয়।
ওই অভিযানের পর উচ্চ আদালতে রিট দায়ের করেন এমপি আসলামুল হক। আদালত নদী রক্ষা কমিশনকে এই স্থাপনার বৈধতা সম্পর্কে সিদ্ধান্ত জানাতে আদেশ দেন। জেলা প্রশাসন, স্পারসোহ আটটি সরকারি সংস্থাকে যৌথভাবে তদন্ত করে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে বলেন আদালত।
নদী রক্ষা কমিশন দীর্ঘ তদন্ত ও অনুসন্ধানের পর প্রতিবেদন চূড়ান্ত করেছে। কমিশনের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান হাওলাদার বলেন, মাইশা পাওয়ার প্ল্যান্ট ও আরিশা ইকোনমিক জোন— এমপি আসলামুল হকের এই দুই স্থাপনা গড়তে বুড়িগঙ্গা ও তুরাগের ৫৪ একর জমি অবৈধভাবে দখল করা হয়েছে। এর মধ্যে ১৩ একর জমি ছিল মূল নদী।
কমিশন জানিয়েছে, এরই মধ্যে এই স্থাপনাগুলোকে অবৈধ জানিয়ে সেগুলো উচ্ছেদের জন্য বিআইডব্লিউটিএ ও জেলা প্রশাসনকে অবহিত করা হয়েছে। বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান কমোডর গোলাম সাদেক জানিয়েছেন, তারা এখনো কমিশনের প্রতিবেদনটি হাতে পাননি। প্রতিবেদন হাতে পেলে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবেন।