গোল্ডেন মনিরের ৩ মামলা ডিবিতে স্থানান্তর
২৪ নভেম্বর ২০২০ ১৯:৫৪ | আপডেট: ২৪ নভেম্বর ২০২০ ১৯:৫৭
ঢাকা: গাড়ি ও সোনার ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত মনিরুল ইসলাম ওরফে ‘গোল্ডেন মনিরে’র বিরুদ্ধে অবৈধ অস্ত্র, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে বাড্ডা থানায় দায়ের করা তিনটি মামলা তদন্তের জন্য পুলিশের গোয়েন্দা শাখায় (ডিবি) স্থানান্তর করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৪ নভেম্বর) সন্ধ্যায় গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) যুগ্ম-কমিশনার মাহবুব আলম সারাবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মাহবুব আলম বলেন, আজ (মঙ্গলবার) বিকেলে মামলা তিনটি আমরা গ্রহণ করেছি। এখন তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডে নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন-
- গোল্ডেন মনির ১৮ দিনের রিমান্ডে
- গোল্ডেন মনিরকে বাড্ডা থানায় হস্তান্তর
- গোল্ডেন মনিরকে ২১ দিন রিমান্ডে চায় পুলিশ
- অভিযানের তথ্য পেয়ে বিদেশ পালাতে চেয়েছিল গোল্ডেন মনির
- গোল্ডেন মনিরের অবৈধ সম্পদের প্রাথমিক প্রমাণ পেয়েছে দুদক
- হাজার কোটি টাকার মালিক গোল্ডেন মনির, দখলে তার ২ শতাধিক প্লট
এর আগে, গত রোববার (২২ নভেম্বর) তিনটি মামলার বিপরীতে সাত দিন করে ২১ দিনের রিমান্ড আবেদন জানিয়েছিল পুলিশ। পরে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আবু বক্কর সিদ্দিক শুনানি শেষে অস্ত্র ও বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় তাকে সাত দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। পরে মাদক মামলায় আরও চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়। সব মিলিয়ে গোল্ডেন মনিরের ১৮ দিনের রিমান্ডে রয়েছেন। তবে অস্ত্র ও বিশেষ ক্ষমতা আইনের দুই মামলার রিমান্ড একইসঙ্গে কার্যকর হবে।
গত শুক্রবার (২০ নভেম্বর) রাত ১০টা থেকে গোল্ডেন মনিরের বাসায় অভিযান শুরু হয়। অভিযান সমাপ্ত হয় পরদিন শনিবার (২১ নভেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টায়। অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে গোল্ডেন মনিরের বাড়িতে র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার বসুর নেতৃত্বে এই অভিযান চালানো হয়।
অভিযান শেষে শনিবার (২১ নভেম্বর) সকালে সংবাদ সম্মেলনে র্যাব সদর দফতরের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিক বিল্লাহ বলেন, মনির মূলত একজন হুন্ডি ব্যবসায়ী, সোনা চোরাকারবারি ও ভূমির দালাল। তার একটি অটো কার সিলেকশনের শোরুম রয়েছে। পাশাপাশি গাউছিয়াতে একটি সোনার দোকানের সঙ্গে সম্পৃক্ততা রয়েছে। সোনা চোরাচালান চক্রের সঙ্গে যুক্ত হয়ে সিঙ্গাপুর ও ভারত থেকে ট্যাক্স ফাঁকি দিয়ে সোনা বাংলাদেশে নিয়ে আসার জন্য তার নাম হয়ে যায় গোল্ডেন মনির।
র্যাব আরও জানায়, রাজউকের কিছু কর্মকর্তার সঙ্গে যোগসাজশ করে মনির বিপুল পরিমাণ ভূমি দখল করে অর্থ-সম্পদের মালিক হন। ডিআইটি প্রজেক্ট ছাড়াও বাড্ডা, নিকুঞ্জ, উত্তরা ও কেরানীগঞ্জে তার দুই শতাধিক প্লট রয়েছে। রাজউকের সম্পত্তি বেদখল করে ও সোনা চোরাচালানের মাধ্যমে তার সম্পত্তির পরিমাণ হাজার কোটি টাকারও বেশি।
এরই মধ্যে অনুসন্ধানে গোল্ডেন মনির ও তার স্ত্রী রওশন আক্তারের অবৈধভাবে অর্জিত সম্পদের প্রাথমিক প্রমাণ পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তাদের সম্পদ বিবরণী নোটিশ জারির সুপারিশ করে প্রতিবেদন কমিশনে জমা দিয়েছেন অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা দুদকের উপপরিচালক সামছুল আলম।
অবৈধ অস্ত্র গোয়েন্দা শাখা গোল্ডেন মনির টপ নিউজ ডিবিতে স্থানান্তর তিন মামলা বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলা মাদক মামলা