অর্থনীতি শক্তিশালী হওয়ায় বৈদেশিক অনুদান ৩ শতাংশে নেমেছে
২৩ নভেম্বর ২০২০ ১৮:২৬ | আপডেট: ২৩ নভেম্বর ২০২০ ২২:০৯
ঢাকা: দেশের অর্থনীতি শক্তিশালী হওয়ায় বৈদেশিক অনুদানের পরিমাণ তিন শতাংশে নেমেছে। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে বৈদেশিক অনুদানের পরিমাণ ছিল ৮৪ থেকে ৮৬ শতাংশ, বাকিটা ছিল ঋণ। অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের বৈদেশিক সহায়তা সম্পর্কে মন্ত্রিসভাকে অবহিত করার প্রতিবেদনে এ তথ্য দেওয়া হয়।
সোমবার (২৩ নভেম্বর) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়। প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভিডিওকলে সভায় যুক্ত হন।
বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এক প্রেস ব্রিফিংয়ে জানান, এক প্রতিবেদনের মাধ্যমে বৈদেশিক সহায়তা সর্ম্পকে অবহিত করা হয় বৈঠকে। প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৯৭১-৭২ থেকে ২০১৯-২০ অর্থবছর পর্যন্ত তুলনা করলে দেখা যায়, ১৯৭১-৭২ সালে আমাদের বৈদেশিক সহায়তার মধ্যে গ্র্যান্ট (অনুদান) ছিল সর্বোচ্চ ৮৪ থেকে ৮৬ শতাংশ। আর ঋণের পরিমাণ ছিল ৬ থেকে ৮ শতাংশ। বেশিরভাগই দান হিসেবে আসতো। ২০০৯-১০ অর্থবছরে অনুদান এসেছিল ৩০ শতাংশের মতো। আর ঋণের পরিমাণ ছিল ৭০ শতাংশ। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে অনুদান এসেছে সর্বোচ্চ পাঁচ শতাংশ। আর ৯৫ শতাংশই ছিল ঋণ।
সচিব বলেন, ‘এ থেকে বোঝা যাচ্ছে, আমাদের অর্থনৈতিক অবস্থা শিফট হচ্ছে। ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে অনুদান আরও কমে গেছে। যার পরিমাণ ২ থেকে ৩ শতাংশের মধ্যে রয়েছে। আর ৯৭ শতাংশই এসেছে ঋণ হিসেবে। আমরা আর দানের ওপর নির্ভর করছি না। আমরা এখন নিজস্ব দক্ষতার ওপর নির্ভরশীল।’