Tuesday 07 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

চবির নির্মাণ কাজ পেতে জালিয়াতি, জি কে শামীমের বিরুদ্ধে মামলা


২২ নভেম্বর ২০২০ ১৮:৫৩ | আপডেট: ২২ নভেম্বর ২০২০ ১৮:৫৬

চট্টগ্রাম ব্যুরো: জাল কাগজপত্র দাখিল করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন কলা ও মানববিদ্যা অনুষদ ভবন নির্মাণের ৭৫ কোটি টাকার কাজ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে কথিত সাবেক যুবলীগ নেতা জি কে শামীমের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। একই মামলায় তার সহযোগী আরেকটি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের মালিককেও আসামি করা হয়েছে।

রোববার (২২ নভেম্বর) দুদক সমন্বিত চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়-১ এর সহকারী পরিচালক ফখরুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। দুদক সমন্বিত চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়-২ এর উপ-সহকারী পরিচালক হুমায়ুন কবির মামলাটি রেকর্ড করেছেন।

বিজ্ঞাপন

দুদক সমন্বিত চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়-২ এর উপ-পরিচালক লুৎফুল কবীর চন্দন সারাবাংলাকে বলেন, ‘জি কে শামীমের প্রতিষ্ঠানসহ দুটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জালিয়াতির মাধ্যমে ভুয়া কাগজপত্র দাখিল করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ভবন নির্মাণের কাজ নেন। অনুসন্ধানে এর সত্যতা পেয়ে উভয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে।’

অভিযুক্ত মো. গোলাম কিবরিয়া (জি কে) শামীম ঢাকার জি কে বি অ্যান্ড কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক। সরকারের দুর্নীতিবিরোধী অভিযানের আওতায় ২০১৯ সালের ৩১ অক্টোবর গ্রেফতার হন নিজেকে কেন্দ্রীয় যুবলীগের সমবায় সম্পাদক হিসেবে পরিচয় দেওয়া জি কে শামীম।

অভিযুক্ত অপরজন হলেন- দি বিল্ডার্স ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যাসোসিয়েটস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ফজলুল করিম চৌধুরী।

দুদক সূত্র জানায়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ একাডেমিক ভবনের (দ্বিতীয় কলা ও মানববিদ্যা অনুষদ ভবন) দ্বিতীয় পর্যারে নির্মাণ কাজের জন্য ২০১৬ সালের ২৮ আগস্ট দরপত্র আহ্বান করা হয়। সর্বনিম্ন দরদাতা হিসেবে দি বিল্ডার্স ইঞ্জিনিয়ার্স-জিকেবিএলকে ৭৫ কোটি এক লাখ ২৯৫ টাকার কার্যাদেশ দেওয়া হয়। ওই বছরের ১৪ নভেম্বর চুক্তি হয়।

বিজ্ঞাপন

দরপত্রের সঙ্গে শর্তানুযায়ী ওই প্রতিষ্ঠান আগের পাঁচবছরে কমপক্ষে একটি ৩৫ কোটি টাকার বহুতল ভবন নির্মাণের কাজ সন্তোষজনকভাবে সমাপ্তির সনদপত্র জমা দেয়। আগের পাঁচবছরে গড়ে কমপক্ষে ৪১ কোটি টাকার টার্নওভার এবং ১০ কোটি ২৫ লাখ টাকার লিকুইড অ্যাসেট সংক্রান্ত কাগজপত্রও জমা দেওয়া হয়।

অনুসন্ধানে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে দুদকের অভিযোগ, জি কে শামীম ও ফজলুল করিম প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে কোম্পানির প্রকৃত নিবন্ধিত নামের সাথে একক মালিকানাধীন ফার্মের নাম সংযুক্ত করে নিবন্ধনের সনদ জমা দেন। কিন্তু এক্ষেত্রে কোনো চুক্তির কাগজপত্র জমা দেননি। এছাড়া নিবন্ধিত প্রকৃত শেয়ার সংখ্যার চেয়ে বেশি শেয়ার দেখানো হয়। টেন্ডার নোটিশের ১৯ (ডি, ই ও এফ) নম্বর শর্তানুযায়ী ১০ বছরের কাজের অভিজ্ঞতা ও টার্নওভার সংক্রান্ত যে কাগজপত্র জমা দেওয়া হয় তা-ও জালিয়াতির মাধ্যমে তৈরি করা বলে দুদকের অভিযোগ।

দুদকের অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা উল্লেখ করেছেন, ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ের দরপত্র মূল্যায়ন কমিটির অযোগ্যতা ও অদক্ষতার সুযোগে অতি সুক্ষ্ম তথ্যগত জালিয়াতির মাধ্যমে ক্রয় প্রক্রিয়ায় সিদ্ধান্ত গ্রহণে প্রভাব বিস্তার করে ওই কার্যাদেশ হাসিল করে নেন।

চবি জালিয়াতি জি কে শামীম টপ নিউজ নির্মাণকাজ মামলা

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর