Friday 10 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

অর্থপাচারকারীদের নাম-পরিচয় জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট


২২ নভেম্বর ২০২০ ১৫:২১ | আপডেট: ২২ নভেম্বর ২০২০ ১৮:১৩

ঢাকা: অর্থ পাচারকারীদের নাম-ঠিকানা, অর্থের পরিমাণ ও পাচারের অর্থে বাড়ি তৈরির তথ্য জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান, পররাষ্ট্রসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিবসহ বিবাদীদের ১৭ ডিসেম্বরের মধ্যে এ সব তথ্য জানাতে বলা হয়েছে।

সরকারি কর্মচারীদের অর্থ পাচার নিয়ে সম্প্রতি পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনের বক্তব্য গণমাধ্যমে আসে। গণমাধ্যমে আসা এ-সংক্রান্ত বিভিন্ন প্রতিবেদন বিবেচনায় নিয়ে রোববার (২২ নভেম্বর) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চ্যুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ স্বতঃপ্রণোদিত রুলসহ এ আদেশ দেন।

বিজ্ঞাপন

সরকারি কর্মচারী, ব্যবসায়ী, রাজনীতিক, ব্যাংকার ও অন্যান্য ব্যক্তি, যারা বিদ্যমান আইন লঙ্ঘন করে বিদেশে অর্থ পাচারে সম্পৃক্ত, তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত পদক্ষেপ নিতে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি হবে না, তা রুলে জানতে চাওয়া হয়েছে।

দুদক চেয়ারম্যান, স্বরাষ্ট্রসচিব, পররাষ্ট্রসচিব, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট, এনবিআর চেয়ারম্যান ও ঢাকা জেলা প্রশাসককে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

আগামী ১৭ ডিসেম্বর পরবর্তী শুনানির জন্য বিষয়টি কার্যতালিকায় আসবে বলেছেন আদালত। একইসঙ্গে অর্থপাচারে সম্পৃক্ত দুর্বৃত্ত ও এজেন্টদের দেশ থেকে অর্থ পাচার থেকে বিরত রাখতে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত।

শুনানিকালে আদালত বলেছেন, ‘যারা অর্থ পাচার করছে, তারা দেশ ও জাতির শত্রু। তারা দেশ ও জাতির সঙ্গে বেইমানি করছে।’

আদালত বলেন, ‘ওই ব্যক্তিরা কীভাবে অর্থ পাচার করল, কীভাবে ওই টাকায় বাইরে বাড়ি তৈরি করল, তা অবশ্যই জানা দরকার। তা না হলে এই অপরাধ কমবে না।’

বিজ্ঞাপন

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আমিন উদ্দিন মানিক, দুদকের পক্ষ আইনজীবী খুরশীদ আলম খান ছিলেন।

১৮ নভেম্বর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) আয়োজিত ‘মিট দ্য প্রেস’ অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘রাজনীতিবিদেরা নয়, বিদেশে বেশি অর্থ পাচার করেন সরকারি চাকরিজীবীরা।’

অর্থ পাচারকারী টপ নিউজ হাইকোর্ট

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর