Wednesday 08 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

জরুরিভিত্তিতে ভ্যাকসিন অনুমোদনের আবেদন ফাইজারের


২১ নভেম্বর ২০২০ ২০:৪৭ | আপডেট: ২১ নভেম্বর ২০২০ ২০:৫৩

ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে নিজেদের উদ্ভাবিত করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) ভ্যাকসিন ‘৯৫ শতাংশ কার্যকর’ বলে জানিয়েছিল ফাইজার ও বায়োএনটেক। এবারে এই ভ্যাকসিন বিশ্বব্যাপী প্রয়োগের জন্য জরুরিভিত্তিতে অনুমোদনের আবেদন করেছে প্রতিষ্ঠান দুইটি। মার্কিন রেগুলেটরি প্রতিষ্ঠান ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (এফডিএ) কাছে এই আবেদন করা হয়েছে।

সিএনএনের খবরে বলা হয়, এফডিএ’র কাছে এই প্রথম কোনো করোনা ভ্যাকসিন উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান অনুমোদনের আবেদন জানালো। কেবল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নয়, বিশ্বের অন্য দেশগুলোতেও আরও কয়েকটি ভ্যাকসিন ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল পর্যায়ে সাফল্য পেলেও কোনোটিই এখনো অনুমোদনের জন্য কোনো রেগুলেটরি প্রতিষ্ঠানের কাছে আবেদন করেনি।

বিজ্ঞাপন

এফডিএ’র কাছে আবেদনের কথা জানিয়ে ফাইজারের সিইও অ্যালবার্ট বোরলা বলেন, জরুরিভিত্তিতে অনুমোদনের জন্য আমাদের কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের আবেদনটি এখন এফডিএ’র হাতে। এটি আমাদের জন্য অত্যন্ত আনন্দ ও গৌরবের বিষয়, একইসঙ্গে স্বস্তিরও খবর এটি।

ফাইজার সিইও ভিডিওবার্তায় বলেন, এটি কেবল বিজ্ঞান নয়, আমাদের সবার জন্য একটি ঐতিহাসিক দিন। বায়োএনটেকের সঙ্গে যখন থেকে আমরা কাজ করার ঘোষণা দিয়েছি, সেই দিন থেকে এফডিএ’র কাছে আবেদন জমা দেওয়া আগ পর্যন্ত মাত্র ২৪৮ দিন অতিবাহিত হয়েছে। এই ভ্যাকসিন উৎপাদনের প্রক্রিয়ায় সব ধরনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে কাজ করার ক্ষেত্রে আমরা অসামান্য গতিশীলতা দেখাতে সমর্থ হয়েছি।

ফাইজার ও বায়োএনটেকের এই ভ্যাকসিনের নাম ‘বিএনটি১৬২বি২’। প্রতিষ্ঠান দুইটি জানিয়েছে, অনুমোদন পেলে ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময়েই তারা এই ভ্যাকসিন বাজারজাত করতে পারবে। করোনা থেকে সুরক্ষা পেতে কয়েক সপ্তাহের ব্যবধানে এই ভ্যাকসিনের দুইটি ডোজ নিতে হবে। এ ক্ষেত্রে প্রথম ডোজ গ্রহণের ২৮ দিনের মাথাতেই ভ্যাকসিনগ্রহীতার শরীরে সুরক্ষা বলয় তৈরি হবে।

বিজ্ঞাপন

মার্কিন দুই প্রতিষ্ঠান উৎপাদিত এই ভ্যাকসিনটির মানবশরীরে পরীক্ষামূলকভাবে প্রয়োগ, তথা ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শুরু হয় গত ২৭ জুলাই। এরপর বিশ্বের ছয়টি দেশে ৪৩ হাজারেরও বেশি স্বেচ্ছাসেবীর শরীরে এই ভ্যাকসিনটি প্রয়োগ করা হয়েছে। ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের তথ্য বিশ্লেষণ করে ফাইজার বলছে, এই ভ্যাকসিন করোনাভাইরাস থেকে সুরক্ষা দিতে ৯৫ শতাংশ পর্যন্ত কার্যকর হয়েছে। এমনকি ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তিদের মধ্যেও এই ভ্যাকসিনটি ৬৪ শতাংশ কার্যকারিতা দেখিয়েছে। এছাড়া এর তেমন কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও দেখা যায়নি।

ফাইজার বলছে, তারা তারা এ বছরের শেষ নাগাদ এই ভ্যাকসিনের পাঁচ কোটিরও বেশি ডোজ উৎপাদন করতে সক্ষম হবে। ২০২১ সাল নাগাদ ১৩০ কোটি ডোজ উৎপাদনের বিষয়ে তারা আশাবাদী। তবে এই ভ্যাকসিন সংরক্ষণের ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জও রয়েছে। ‍ঋণাত্মক ৮০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করতে হয় এই ভ্যাকসিন।

জরুরিভিত্তিতে ব্যবহারের জন্য অনুমোদনের যে আবেদন ফাইজার করেছে, একে বলা হয় ‘ইমার্জেন্সি ইউজ অথোরাইজেশন’ বা ইইউএ। কোনো ওষুধ বা ভ্যাকসিনের পূর্ণাঙ্গ অনুমোদনের সঙ্গে এই অনুমোদনের কিছুটা পার্থক্য আছে। ইইউএ অনুমোদন দেওয়া হলে তা সুনির্দিষ্ট অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে ব্যবহার করা যাবে। এফডিএ বলছে, এই ভ্যাকসিনের সম্ভাব্য ঝুঁকির তুলনায় এর এখন পর্যন্ত জানা ও সম্ভাব্য উপকারিতা বিবেচনায় নিয়ে তবেই ইইউএ অনুমোদন দেওয়া যেতে পারে।

আরও পড়ুন-

ফাইজারের করোনা টিকার পরীক্ষামূলক বিতরণ শুরু

ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল: প্রাথমিক ফলে ফাইজারের ভ্যাকসিন ৯০% কার্যকর

আবেদন এফডিএ করোনার ভ্যাকসিন কোভিড-১৯ জরুরিভিত্তিতে অনুমোদন টপ নিউজ ফাইজার বায়োএনটেক

বিজ্ঞাপন

লন্ডনে পৌঁছেছেন খালেদা জিয়া
৮ জানুয়ারি ২০২৫ ১৬:১২

আরো

সম্পর্কিত খবর