‘বাংলাদেশের প্রয়োজন বড় বিনিয়োগ, যা করতে পারে চীন’
১৭ নভেম্বর ২০২০ ০০:২৫ | আপডেট: ১৭ নভেম্বর ২০২০ ১০:৫২
ঢাকা: ২০৪১ সালে উন্নত দেশে পরিণত হওয়ার লক্ষ্য বাংলাদেশের। আর এজন্য প্রয়োজন বড় আকারের বিনিয়োগ, যা করতে পারে চীন। অন্যদিকে চীনের রয়েছে বিআরআই উদ্যোগ। যেখানে দেশটি বিশ্বে নিজেদের কৌশলগত উন্নয়ন এবং একটি শক্তি হিসেবে প্রকাশ করবে। তাদের লক্ষ্য ২০৪৯ সাল। এক্ষেত্রে বাংলাদেশকে নিজেদের অর্থনৈতিক স্বার্থে এগিয়ে যেতে হবে। যেখানে চ্যালেঞ্জ হয়ে দেখা দিচ্ছে ভারত-চীন সাম্প্রতিক দ্বন্দ্ব।
সোমবার (১৬ নভেম্বর) সারাবাংলা ফোকাস আয়োজিত ‘বাংলাদেশের রূপকল্প ২০৪১ এবং চীনের বিআরআই উদ্যোগ’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে এভাবেই মতামত ব্যক্ত করেন আলোচকরা। অনুষ্ঠানে অংশ নেন সাবেক পররাষ্ট্র সচিব তৌহিদ হোসেন ও হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ফেলো আনু আনোয়ার।
সারবাংলা ফেসবুক পেইজ ইউটিউব এবং স্যাটেলাইট মাধ্যমে জিটিভি থেকে একযোগে অনুষ্ঠানটি সম্প্রচার হয়। ফোকাস অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সারাবাংলার স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট এমএকে জিলানী।
আলোচনায় অংশ নিয়ে সাবেক পররাষ্ট্রসচিব তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘গত কয়েকমাসে ভারত-চীন সম্পর্কে অবনতি ঘটেছে। চীন চাইলে মিয়ানমারের ভেতরের দিয়ে বিকল্প রাস্তা করতে পারে। সেক্ষেত্রে বাংলাদেশ সহজেই যুক্ত হতে পারবে।’
তিনি বলেন, ‘২০৩০ সালের মধ্যে নিম্ন-মধ্য আয়ের দেশ থেকে উচ্চ-মধ্য আয়ের দেশে পৌঁছার লক্ষ্য আমাদের। আর ২০৪১ সালে উন্নত রাষ্ট্রের কাতারে যাওয়ার লক্ষ্য। তখন মাথাপিছু সাড়ে ১২ হাজার ডলার হবে। দারিদ্র থাকবে না। এখন উন্নত রাষ্ট্রে পৌঁছা নিয়ে সংশয় রয়েছে। কারণ, এর জন্য বড় বিনিয়োগ লাগবে। এই বিনিয়োগ করতে পারে একমাত্র চীন। চীনের সঙ্গে অর্থনৈতিক যোগাযোগ আমাদের বেশি। তাদের কাছে বিনিয়োগ চাচ্ছি। যদিও আমরা চীনের প্রতি মনক্ষুণ্ন রোহিঙ্গ ইস্যু নিয়ে।’
২০৪১ সালে উন্নত রাষ্ট্রের কাতারে যাওয়ার অনিশ্চয়তার বিষয়টি তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘চীনের প্রতিশ্রুত ২৭টি প্রকল্প ছিল বাংলাদেশে। এর মধ্যে মাত্র ছয়টি প্রকল্প দৃশ্যমান হয়েছে। এগুলো নিয়ে হতাশ না হয়ে উপায় নেই।’
হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যঅলয়ের ফেলো আনু আনোয়ার বলেন, ‘চীনের কৌশলগত যে উন্নয়ন পরিকল্পনা তাতে দেশটি সারাবিশ্বের সঙ্গে যোগযোগ রাখতে চায়। এখানে রয়েছে স্থল, নৌ ও আকাশপথের অংশ। এছাড়া ডিজিটাল কানেকটিভিটি এবং মানুষে-মানুষে যোগাযোগও এর অন্তর্ভুক্ত।’
তিনি বলেন, ‘বিআরআই সিল্ক রোড এই যোগাযোগের অর্থনৈতিক দিক। যেখানে ছয়টি অর্থনৈতিক করিডোর রয়েছে। যার একটির সঙ্গে বাংলাদেশেও যুক্ত। এর মাধ্যমে চীন পৃথিবীর একটি শক্তিশালী দেশে পরিণত হতে পারবে। বিশ্বের ১৪০টি দেশ এরই মধ্যে চীনের সঙ্গে সমঝোতা চুক্তি করেছে। যদিও দুই বড় দেশ ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র তাতে অনাগ্রহী।’