আইন লঙ্ঘনে শাস্তি বাড়িয়ে সামুদ্রিক মৎস্য বিল পাস
১৬ নভেম্বর ২০২০ ২১:৩০ | আপডেট: ১৭ নভেম্বর ২০২০ ০৮:৪৫
ঢাকা: আইন লঙ্ঘনে শাস্তি বাড়িয়ে জাতীয় সংসদে ‘সামুদ্রিক মৎস্য বিল-২০২০’ পাস হয়েছে। সোমবার (১৬ নভেম্বর) মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম প্রস্তাব উত্থাপন করলে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়। এর আগে বিলটির ওপর বিরোধীদলীয় সদস্যদের জনমত যাচাই ও বাছাই কমিটিতে পাঠানোর প্রস্তাব কণ্ঠভোটে নাকচ হয়ে যায়।
এদিন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশনে পাস হওয়া বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্পর্কে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক আইনি লড়াইয়ের ফলে অর্জিত বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশের এক লাখ ১৮ হাজার ১১৩ বর্গকিলোমিটার একচ্ছত্র অর্থনৈতিক অঞ্চলে মৎস্যসম্পদ নিরূপণ, পরিকল্পনা গ্রহণ, দেশি-বিদেশি মৎস্য নৌযান কর্তৃক অবৈধভাবে ও অতিরিক্ত মৎস্যসম্পদ আহরণ নিয়ন্ত্রণ, মৎস্যসম্পদ সংরক্ষণ এবং সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার প্রয়োজনে বিদ্যমান অধ্যাদেশ হালনাগাদ করার জন্য বিলটি আনা হয়েছে। আর সামরিক শাসনামলে জারি হওয়ায় উচ্চ আদালতের নির্দেশনার আলোকে বিলটি বাংলায় রূপান্তর করা হয়েছে।
বিলে বলা হয়েছে, কর্তৃত্বপ্রাপ্ত মৎস্য কর্মকর্তাকে বাধা দিলে দুই বছরের জেল ও ১০ লাখ টাকা অর্থদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। আর ইচ্ছাকৃতভাবে মৎস্য আহরণের নৌযানের ক্ষতি করলে দুই বছরের জেল এবং ২৫ লাখ টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে। নতুন আইনে বিস্ফোরক ব্যবহার করে, অচেতন বা অক্ষম করে মাছ ধরলে তিন বছরের জেল বা এক কোটি টাকা দণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। আগের আইনে এক লাখ টাকা জরিমানার বিধান ছিল। বেআইনিভাবে মাছ ধরা, সংরক্ষণ, মজুত বা বিক্রি করলে দুই বছরের জেল এবং ১০ লাখ টাকা অর্থদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। এছাড়া নৌযান চিহ্নিতকরণে ব্যর্থতা, অর্থাৎ কেউ যদি বাংলাদেশের মৎস্য জলসীমায় মাছ ধরার নৌযান পরিচালনা এবং তা নির্ধারিত নিয়মে মার্কিং না করে তবে দুই বছরের জেল এবং ১০ লাখ টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে।
পাস হওয়া বিলে নিষিদ্ধ জাল, সরঞ্জাম বা যন্ত্রপাতি ব্যবহার করলে দুই বছরের জেল এবং ২৫ লাখ জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, কোন বিদেশি জাহাজ এ আইনের অধীনে অপরাধ করলে তার মালিক, স্কিপার এবং নৌযানে অবস্থানরত ব্যক্তিরা দায়ী হবেন। এর জন্য তিন বছরের কারাদণ্ড এবং ৫ কোটি টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে।