Tuesday 07 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘মূর্তি স্থাপন না করে আল্লাহ’র ৯৯ নামাঙ্কিত মিনার তৈরি করুন’


১৩ নভেম্বর ২০২০ ২২:০৮ | আপডেট: ১৪ নভেম্বর ২০২০ ১৩:০০

ঢাকা: ধোলাইপাড়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মূর্তি (ভাস্কর্য) স্থাপন না করে আল্লাহ’র ৯৯ নামাঙ্কিত মিনার তৈরির পরামর্শ দিয়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের শীর্ষ নেতারা। তারা বলেছেন, ‘ বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ইসলামের জন্য অনেক ভূমিকা রেখেছেন। তাকে এ দেশের মানুষ ভালোবাসে। বঙ্গবন্ধুর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর জন্য মূর্তি স্থাপন করলে তার আত্মা কষ্ট পাবে। সুতরাং মুর্তি স্থাপন না করে আল্লাহ’র ৯৯ নামাঙ্কিত মিনার তৈরি করুন।’

বিজ্ঞাপন

শুক্রবার (১৩ নভেম্বর) বাদ জুমা রাজধানীর ধূপখোলা মাঠে আয়োজিত তৌহিদি জনতা ঐক্য পরিষদ আয়োজিত সমাবেশে বক্তরা এ সব কথা বলেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রুহের মাগফিরাত কামনায় আল্লাহর ৯৯ নামাঙ্কিত মিনার তৈরির দাবিতে এ সমাবেশ আয়োজন করা হয়।

সমাবেশে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেন, ‘ভাস্কর্যের নামে মূর্তি স্থাপনের চক্রান্ত তৌহিদি জনতা রুখে দেবে। রাষ্ট্রের টাকা খরচ করে মূর্তি স্থাপনের অপিরণামদর্শি সিদ্ধান্ত থেকে সরকারকে ফিরে আসতে হবে। যে দেশে লাখ লাখ মানুষ অনাহারে, অর্ধাহারে, বিনা চিকিৎসায় মারা যায়, সে দেশে রাষ্ট্রের কোটি কোটি টাকা খরচে মূর্তি স্থাপনের সিদ্ধান্ত সুফল বয়ে আনবে না। অবিলম্বে মূর্তি স্থাপনের সিদ্ধান্ত বাতিল করুন।’

তিনি বলেন, ‘দাবি আদায়ের জন্য রক্ত দেওয়ার প্রয়োজন হলে তৌহিদি জনতা জীবন ও রক্ত দিতে প্রস্তুত। আমরা সরকারের কাছে শান্তিপূর্ণভাবে দাবি জানাচ্ছি। মূর্তি স্থাপনের সিদ্ধান্ত বাতিল না হওয়া পর্যন্ত তৌহিদি জনতার আন্দোলন চলবে। সরকার যদি ভাস্কর্যের নামে মূর্তি স্থাপন থেকে সরে না আসে, তাহলে কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হব।’

মধুপুরের পীর আব্দুল হামিদ বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ওলামায়ে কেরাম বার বার সাক্ষাতে ইসলামবিরোধী কোনো কার্যকলাপ না হয়, সে ব্যাপারে মতামত দিয়েছেন। মূর্তি স্থাপনের মাধ্যমে শীর্ষ ওলামাদের মতামতকে উপেক্ষা করলে তার খেসারত সরকারকে দিতে হবে।’

মাওলানা মোসাদ্দেক বিল্লাহ মাদানী বলেন, ‘৯২ ভাগ মুসলমানের এদেশে ইসলামবিরোধী সংস্কৃতি মূর্তি স্থাপন কোনোভাবেই মেনে নেওয়া হবে না। মূর্তি মুসলমানি কোনো সংস্কৃতি নয়, এটা হিন্দুয়ানি সংস্কৃতি। মূর্তির বিরুদ্ধে মুসলমানরা একমত। মূর্তি স্থাপনের বিরুদ্ধে সর্বস্তরের জনতা রাজপথে নেমে আসবে। মুসলমানরা কারও রক্তচক্ষুকে ভয় করে না।’

বিজ্ঞাপন

মাওলানা শাহ আবদুল আউয়াল বলেন, ‘শেখ মুজিবুর রহমান ইসলামের জন্য অনেক অবদান রেখেছেন। তার স্মরণে মূর্তি নির্মাণ করে তার আত্মাকে কষ্ট দেবেন না। শেখ মুজিবকে যারা ভালবাসেন তারা এ মূর্তি স্থাপনের সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারেন না। তার স্মৃতির জন্য এমন কিছু করুন, যাতে পরকালে তিনি শান্তি পান।’

মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেন, ‘সরকারদলীয় ক্যাডাররা আমাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিকে বানচালের অপচেষ্টা করেছে। আমরা তার তীব্র নিন্দা জানাই। আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। কিন্তু এ সরলতাকে দুর্বলতা মনে করলে ভুল করবেন।’

সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন আল্লামা নূরুল হুদা ফয়েজী, খেলাফত আন্দোলনের মহাসচিব মাওলানা হাবিবুল্লাহ মিয়াজী, অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, বাইতুন নূর মাদরাসার প্রিন্সিপাল মুফতী মনিরুজ্জামান, মাওলানা ইমতিয়াজ আলম, প্রকৌশলী আশরাফুল আলম, মূফতী নূর হোসাইন নূরানী, মুফতী হাবিবুর রহমান মিসবাহ, কেএম আতিকুর রহমান, মাওলানা সিরাজুল ইসলাম সিরাজী, মাওলানা হাসান বিন বাশার, ছাত্রনেতা এম হাছিবুল ইসলাম, মাওলানা আব্দুল আজিজ, মাওলানা আব্দুল আলিম সাইফী, মুফতী আফজাল হোসাইন রাব্বানী,বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম, মাওলানা গোলাম সারওয়ার ফরিদী, মাওলানা লোকমান হোসাইন জাফরী, মুফতী ওমর ফারুক, মুফতী মাসুম বিল্লাহ, হাজী শাহাদাত হোসাইন,মাওলানা আশরাফ আলী নূরী। গণসমাবেশ পরিচালনা করেন মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম, মুফতী দেলাওয়ার হোসাইন সাকী, মুফতী মোস্তফা কামাল, মাওলানা এইচ এম সাইফুল ইসলাম প্রমুখ।

ইসলামী আন্দোলন জাতির পিতা টপ নিউজ ভাস্কর্য মূর্তি শেখ মুজিবুর শেখ মুজিবুর রহমান

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর