হংকংয়ে গণতন্ত্রপন্থি ১৫ আইনপ্রণেতার পদত্যাগ
১২ নভেম্বর ২০২০ ১৪:৩৫
নগর আইন পরিষদ থেকে চার সহকর্মীকে অপসারণের প্রতিবাদে হংকংয়ের গণতন্ত্রপন্থি ১৫ আইনপ্রণেতা পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন। খবর রয়টার্স।
বৃহস্পতিবার (১২ নভেম্বর) তারা আনুষ্ঠানিকভাবে পদত্যাগপত্র জমা দেবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এর আগে, বুধবার (১১ নভেম্বর) চীনের পার্লামেন্টে পাস হওয়া একটি প্রস্তাবে বলা হয়েছে, হংকংয়ের স্বাধীনতাকে সমর্থন, চীনের সার্বভৌমত্বকে অস্বীকার, বিদেশিদের অযাচিত হস্তক্ষেপে আহ্বান করলে তা যদি জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি হিসেবে বিবেচিত হয় তাহলে একজন আইনপ্রণেতা তার পদে থাকার যোগ্যতা হারাবেন।
ওই প্রস্তাবে হংকং কর্তৃপক্ষকে আদালতের শরাণপন্ন না হয়েই আইন প্রণেতাদের বরখাস্ত করার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। আইন পাস হওয়ার সঙ্গেসঙ্গে বুধবারই হংকংয়ের কর্তৃপক্ষ নগরীর আইন পরিষদের চার বিরোধীদলীয় সদস্যকে বরখাস্ত করে। বেইজিং এই চার জনকে জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি হিসেবে চিহ্নিত করেছিল।
এর প্রতিক্রিয়ায়, ওই দিনই চার সহকর্মীর প্রতি সংহতি প্রকাশ করে আইনসভার গণতন্ত্রপন্থি বলে পরিচিত বিরোধীদলীয় ১৫ সদস্য পদত্যাগের ঘোষণা দেন।
বৃহস্পতিবার (১২ নভেম্বর) ওই ১৫ আইনপ্রণেতা নগরীর আইন পরিষদের অধিবেশনে যোগ দেননি বলে জানিয়েছে বিবিসি।
প্রসঙ্গত, হংকংয়ের ৭০ আসনের আইন পরিষদে ২১ জন বিরোধীদলীয় সদস্য ছিলেন। এদেরমধ্যে চার জনকে বরাখাস্ত এবং আরও ১৫ জন পদত্যাগের ঘোষণা দেওয়ার পর এখন মাত্র দুই জন বিরোধীদলীয় সদস্য আইন পরিষদে থাকলেন।
এদিকে, বৃহস্পতিবার (১২ নভেম্বর) চীনের হংকং ও ম্যাকাও সম্পর্ক দফতর এই গণপদত্যাগের নিন্দা জানিয়ে, ওই প্রক্রিয়াকে ‘প্রহসন’ বলে উল্লেখ করেছে। পাশাপাশি, ওই পদক্ষেপকে চীন সরকারের কর্তৃত্ব ও হংকংয়ের মূল আইনের বিরুদ্ধে ‘প্রকাশ্য চ্যালেঞ্জ’ বলেও অভিহিত করেছে তারা।
এক মন্তব্যে চীন সরকারের ওই দফতর বলেছে, ওই পদক্ষেপের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে আইনপ্রণেতাদের ‘একগুঁয়ে প্রতিরোধী মনোভাব’ প্রকাশ পেয়েছে।
চীনের হংকং ও ম্যাকাও সম্পর্ক দফতরের একজন মুখপাত্র হুঁশিয়ার করে বলেছেন, আইনপ্রণেতারা উগ্র চীন বিরোধিতা উস্কে দেওয়ার জন্য তাদের পদত্যাগকে ব্যবহার করলে বা ইস্যু তৈরি করে বিদেশি হস্তক্ষেপের জন্য অনুরোধ করলে, ভুল করবে।