Saturday 04 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

মৃত চিকিৎসকের সইয়ে প্যাথলজি রিপোর্ট দিতো হাইপোথাইরয়েড!


৭ নভেম্বর ২০২০ ১৮:৪৩ | আপডেট: ৮ নভেম্বর ২০২০ ০২:০০

ঢাকা: নভেল করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত হয়ে ৩ মে মারা যান অধ্যাপক কর্নেল (অব.) ডা. মো. মনিরুজ্জামান। কিন্তু তার নাম ও সই ব্যবহার করে প্যাথলজি রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে অক্টোবরেও। শুধুমাত্র ডা. মো. মনিরুজ্জামানের সই-ই নয়, অন্যান্য চিকিৎসকের নাম ও সই ব্যবহার করে রোগীদের প্যাথলজি রিপোর্ট দিতো রাজধানীর শ্যামলীর হাইপোথাইরয়েড সেন্টার নামের একটি প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানটির এমন প্রতারণা রিজেন্ট কিংবা জেকেজিকেও হার মানিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম।

বিজ্ঞাপন

শনিবার (৭ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় রাজধানীর শ্যামলী স্কয়ারের বিপরীতে ২/১ নম্বর বাড়ির হাইপোথাইরয়েড সেন্টারে অভিযান চালান র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম। অভিযান শেষে সাংবাদিকদের ওই প্যাথলজি সম্পর্কে বিস্তারিত জানান তিনি।

সারোয়ার আলম বলেন, ‘হাইপোথাইরয়েড সেন্টার হার মানিয়েছে রিজেন্ট কিংবা জেকেজিকেও। ১০ বছর ধরে ল্যাব পরিচালনা করছে হাইপোথাইরয়েড সেন্টার। সেখানে থাইরয়েডের নানা রিপোর্টসহ হেপাটাইটিস ও ব্লাড কালচারসহ নানান পরীক্ষা হতো। অথচ সেই ল্যাবের বেহাল দশা।’

তিনি বলেন, ‘এই প্রতিষ্ঠানটি বিভিন্ন রিপোর্টে ব্যবহার করা হতো নামি-দামি চিকিৎসকের নাম। এছাড়াও অভিযানে মিলেছে চিকিৎসকের সই করা অসংখ্য ভুয়া রিপোর্ট। প্রতিষ্ঠানটি প্যাথলজির রিপোর্ট দিতো করোনায় মৃত অধ্যাপক মনিরুজ্জামানের সইয়ে। অক্টোবরেও তার নাম ও সই ব্যবহার করে রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে। অথচ এই চিকিৎসক করোনায় প্রাণ হারান মে মাসের প্রথম সপ্তাহে।’

হাইপোথাইরয়েড সেন্টার দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে কুরিয়ারে স্যাম্পল সংগ্রহ করে মেইলেও রিপোর্ট দিতো বলে জানান সারোয়ার আলম। তিনি বলেন, ‘গত ৫ বছরে কোনোদিনই কোনো অধ্যাপক এখানে বসেননি। তার মানে সবগুলো রিপোর্টই ফেক। তারা চিকিৎসকদের নামে অগ্রিম সই নিয়ে রাখতো। আজব ব্যাপার হলো, অন্য হাসপাতালে অভিযানের সময় দেখেছি, চিকিৎসকের পরিবর্তে টেকনিশিয়ানরা সই করতো। কিন্তু এখানে গাড়ির ড্রাইভারদেরও সই পেয়েছি।’

তিনি বলেন, ‘এ ঘটনায় দুজনকে দুই বছরের কারাদণ্ড ও প্রতিষ্ঠান সিলগালা করেছে র‍্যাব। পাশাপাশি খোঁজা হচ্ছে মালিক বাকেরকে। সেইসঙ্গে মোহাম্মদপুরের বাবর রোডে টেকনোলজিস্ট না থাকার কারণে সন্ধী ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়া রাজিব সরকার ও মাইদুল হাসান আপেল নামের দুই দালালকে ছয় মাস করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।’

বিজ্ঞাপন

সারোয়ার আলম জানান, হাইপোথাইরয়েড সেন্টারের মালিক বাকেরকেও খোঁজা হচ্ছে। এদিকে প্রতিষ্ঠানটির কর্মচারীরা জানিয়েছে, দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হতো। এর মধ্যে কিছু কিছু টেস্ট করা হতো। তবে বেশির ভাগ রিপোর্ট-ই দেওয়া হতো অনুমান করে।

টপ নিউজ প্যাথলজি রিপোর্ট মৃত চিকিৎসকের নামে সেন্টার হাইপোথাইরয়েড

বিজ্ঞাপন

না ফেরার দেশে অঞ্জনা
৪ জানুয়ারি ২০২৫ ০১:৫৪

এই তাসকিনকে সমীহ করবেন যে কেউ
৪ জানুয়ারি ২০২৫ ০১:৪৭

আরো

সম্পর্কিত খবর