‘করোনার নেতিবাচক প্রভাব মোকাবিলা করে ঘুরে দাঁড়িয়েছে অর্থনীতি’
৩১ অক্টোবর ২০২০ ১৫:২৯
নোয়াখালী: বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘পাশ্ববর্তী দেশগুলোর তুলনায় বাংলাদেশের অর্থনীতি অনেক ভালো অবস্থানে আছে। করোনার নেতিবাচক প্রভাব মোকাবিলা করে ঘুরে দাঁড়িয়েছে অর্থনীতি। দেশের রফতানি আয় রেমিট্যান্স প্রবাহ, রিজার্ভের প্রবৃদ্ধি বিএনপি দেখেও দেখে না। তাদের কাজ হলো, নিত্য দিনের অন্ধ সমালোচনা।’
শনিবার (৩১ অক্টোবর) সকালে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলায় চৌহমুনী পৌরসভায় প্রায় সাড়ে ৮ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত চৌহমুনী পৌর পার্ক এবং আধুনিক পৌর বাস টার্মিনাল উদ্বোধন করেন। রাজধানীর সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যেমে তিনি অনুষ্ঠানে অংশ নেন।
বিএনপির মহাসচিব নিজের কথা বলেন না, উল্লেখ করে কাদের বলেন, ‘শুধু রিলে করেন। নির্বাচিত হয়েও যাকে সংসদে যেতে দেয়নি দল, অথচ অন্য সদস্যরা সংসদে গেছে। তিনি হচ্ছেন পুতুল নাচের পুতুল। অন্ধকার থেকে সুতোর টানে চলে বিএনপির অপরাজনীতি আর লিপ-সার্ভিস। এসব দেশের জনগণ বুঝে ফেলেছে।’
এ সময় তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের শেকড়, এদেশের মাটির অনেক গভীরে। আওয়ামী লীগ দেওলিয়া হয়নি বরং অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে অধিকতর শক্তিশালী, সংগঠিত এবং জনঘনিষ্ট। মাটি ও মানুষের দল হিসেবে তৃণমূল থেকে কেন্দ্র পর্যন্ত সুগঠিত।’
তিনি বিএনপির প্রতি আহবান জানিয়ে বলেন, ‘গণতন্ত্রের ভাষায় কথা বলুন। গণতন্ত্রকে এগিয়ে নেওয়ার শেখ হাসিনার যে প্রয়াস, তাতে সহযোগী হোন। জনগণ চূড়ান্ত মূল্যায়নকারী। এদেশের জনগণ কখনো সিদ্ধান্ত নিতে ভুল করে না। সংবিধান অনুযায়ী যথা সময়ে নির্বাচন হবে। অগণতান্ত্রিক পথ খুঁজে, ষড়যন্ত্র করে বিদেশে গোপন মিটিং করে দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা নষ্টে বিনিয়োগ করে কোনো লাভ নেই।’
তিনি আরও বলেন, ‘রাজনীতিতে বিএনপি আমাদের শত্রু নয়, প্রতিপক্ষ। নেতিবাচক রাজনীতির কারণে তারা দিন দিন দেউলিয়া হচ্ছে। পূর্ণিমার রাতেও তারা অমানিশা দেখতে পায়। চিহ্নিত দুর্নীতিবাজদের দায়িত্ব দিয়ে বিএনপি আজ ধ্বংসের মুখে। বর্তমান সরকার সন্ত্রাসী ও নারী নির্যাতনকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে রয়েছে। শেখ হাসিনার সরকার গরীবের কথা, দেশের উন্নয়ন অগ্রগতির কথা বললে তাদের গাত্রদাহ হয়। বর্তমান সরকার স্থানীয় সরকারের মাধ্যমে শহর ও গ্রামকে কাছাকাছি এনে প্রতিটা গ্রামকে শহরে রূপান্তরিত করছে। উন্নয়নে মেয়রদের জবাবদিহিতার আওতায় থাকতে হবে। দেশের সকল পৌর মেয়রদের বলবো স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার মধ্যে উন্নয়নকে জনগণের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে দিতে হবে। পৌর মেয়রদের শাসক নয়, জনগণের সেবক হিসেবে দেখতে চায় শেখ হাসিনার সরকার।’
চৌমুহনী পৌরসভার মেয়র আক্তার হোসেন ফয়সলের সভাপতিত্বে এবং বেগমগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার শামছুন নাহার অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় অন্যানদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন, জেলা প্রশাসক খোরশেদ আলম খাঁন, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন ও বাংলাদেশ মিউনিসিপাল ডেভেলপমেন্ট ফান্ড (বিএমডিএফ) ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ হাসিনুর রহমান, পৌরসভার কাউন্সিলরবৃন্দ, জেলায় কর্মরত সাংবাদিক ও আওয়ামীলীগের স্থানীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।