কোভিড-১৯: ফের লকডাউনে ফ্রান্স
২৯ অক্টোবর ২০২০ ১৪:৪২ | আপডেট: ২৯ অক্টোবর ২০২০ ১৭:১১
করোনাভাইরাস সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় ফের দেশজুড়ে লকডাউন ঘোষণা করেছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোঁ। খবর বিবিসি।
এই লকডাউন শুক্রবার (৩০ অক্টোবর) থেকে শুরু হয়ে অন্ততপক্ষে নভেম্বরের শেষ পর্যন্ত বজায় থাকবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
লকডাউন চলাকালীন শুধু জরুরি পণ্য ক্রয়, এক ঘণ্টার জন্য ব্যায়াম করতে ও চিকিৎসার প্রয়োজনে লোকজনকে বাড়ি থেকে বের হওয়ার অনুমতি দেওয়া হবে।
ওই সময় বাড়ির বাইরে আসা প্রত্যেককে বিশেষ ডকুমেন্ট বহন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছ, পুলিশ এগুলো খতিয়ে দেখতে পারে বলে জানিয়েছেন ম্যাখোঁ।
জরুরি নয় এমন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান যেমনঃ রেস্তোরাঁ ও বার বন্ধ থাকবে। কিন্তু স্কুল ও কারখানা খোলাই থাকবে।
এ ব্যাপারে বিবিসি জানিয়েছে, এপ্রিলের পর থেকে ফ্রান্সে কোভিড-১৯ এ একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে। মঙ্গলবার (২৭ অক্টোবর) দেশটিতে পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় ৩৩ হাজার নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে। এবং ৫২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।
বুধবার (২৮ অক্টোবর) রাতে জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষণে ম্যাখোঁ বলেছেন, মহামারি সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ে ঝুঁকিতে আছে ফ্রান্স। পরিস্থিতি প্রথম ঢেউ থেকে আরও কঠিন হবে এতে কোনো সন্দেহ নেই।
এর আগে, মার্চ-এপ্রিলে ফ্রান্স আট সপ্তাহের জন্য লকডাউনে ছিল। ওই সময় কোভিড-১৯ মহামারিতে মৃত্যু ও হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীর সংখ্যা সর্বোচ্চ ছিল। তখন মহামারি নিয়ন্ত্রণে লকডাউন কার্যকর ভূমিকা রেখেছিল। কিন্তু, ১১ মে থেকে বিধিনিষেধ শিথিলের পর সংক্রমণ ফের বাড়তে থাকে।
এখন মহামারির দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হওয়ার পর হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রগুলো ফের রোগী উপচে পড়তে পারে বলে সতর্ক করেছেন চিকিৎসকরা।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের তথ্য অনুযায়ী, ফ্রান্সে এ পর্যন্ত ৩৫ হাজার রোগীর মৃত্যু হয়েছে যা বিশ্বের সপ্তম সর্বোচ্চ মৃত্যু।
অক্টোবরের প্রথমদিকে রাজধানী প্যারিসসহ বড় শহরগুলোতে রাত্রিকালীন কারফিউ জারি করেছিলেন। কিন্তু চলতি সপ্তাহে দেশটির কর্মকর্তারা স্বীকার করেন, সংক্রমণ হার নামিয়ে আনার জন্য ওই পদক্ষেপ যথেষ্ট নয় বলে প্রমাণ হয়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে আরও কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন – বলে মন্তব্য করেছেন তারা।
পাশাপাশি, ফ্রান্সের প্রতিবেশী জার্মানিও জরুরিভিত্তিতে লকডাউন জারি করার ঘোষণা দিয়েছে। ২ নভেম্বর থেকে শুরু হতে যাওয়া এ লকডাউন ফ্রান্সের মতো কঠোর না হলেও জার্মানিতে রেস্তোরাঁ, বার, জিম, নাট্যশালা, সিনেমা ও সুইমিংপুল বন্ধ থাকবে বলে জানা গেছে।