৪ কোটি টাকা আত্মসাৎ: এবি ব্যাংকের সাবেক ৩ কর্মকতাসহ ৪ জনের সাজা
২৮ অক্টোবর ২০২০ ২০:২৫
ঢাকা: প্রায় চার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগের মামলায় এবি ব্যাংক লিমিটেডের তিন কর্মকর্তাসহ ৪ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। বুধবার (২৮ অক্টোবর) বিকেলে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম এ এ আদেশ দেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা আসামিরা হলেন মেসার্স ওয়ান থ্রেড অ্যান্ড একসেসরিজ ও বুশরা অ্যাসোসিয়েটস’র মালিক খন্দকার মেহমুদ আলম (নাদিম), মতিঝিল এবি ব্যাংক লি. করপোরেট শাখার সাবেক সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ও শাখা ব্যবস্থাপক আবু সালেহ মো. আব্দুল মাজেদ, মহাখালী এবি ব্যাংক লি. করপোরেট শাখার সিনিয়র সাবেক সিনিয়র এসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট ও ব্যবস্থাপক এ এল এম বদিউজ্জামান এবং একই শাখার সাবেক প্রিন্সিপাল অফিসার ফারুক আহাম্মেদ ভূঁইয়া।
আসামি খন্দকার মেহমুদ আলমকে দুদক আইনের ৪০৯ ধারায় ৮ বছরের কারাদ, দুই কোটি টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাভোগ করতে হবে। ৪৬৮ ধারায় চার বছরের কারাদণ্ড পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও তিন মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। ৪৭১ ধারায় এক বছরের কারাদণ্ড ৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও তিন মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন ধারার সাজা একসঙ্গে চলবে বলে জানিয়েছেন আদালত।
আবু সালেহ মো. আব্দুল মাজেদকে ৫(২) ধারায় সাত বছরের কারাদণ্ড এক কোটি টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছর কারাভোগ করতে হবে।
এ এল এম বদিউজ্জামান এবং ফারুক আহাম্মেদ ভূঁইয়াকে ৫(২) ধারায় পাঁচ বছরের কারাদণ্ড ৪০ লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছর কারাভোগ করতে হবে।
অভিযোগ থেকে জানা যায়, আসামিরা তিন কোটি ৭৮ লাখ ৮৮ হাজার টাকা পরস্পরের সম্মিলিতভাবে আত্মসাৎ করেন।
ওই ঘটনায় ২০১৫ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি রাজধানীল মতিঝিল থানায় মামলাটি দায়ের করেন দুদক পরিচালক মীর মো. জয়নুল আবেদীন শিবলী।
২০১৬ সালের ২১ জানুয়ারিতে একই ব্যক্তি মামলাটি তদন্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। ২০১৯ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি মামলাটির চার্জগঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত।
মামলাটির বিচার চলাকালিন বিভিন্ন সময়ে আদালত ১৩ জন সাক্ষীর মধ্যে ১১ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।