Saturday 04 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘শিক্ষকের মর্যাদা না দিলে জাতির উন্নতি হবে না’


২৩ অক্টোবর ২০২০ ১৮:৫৯ | আপডেট: ২৪ অক্টোবর ২০২০ ০১:২৫

ঢাকা: বাংলাদেশ শিক্ষকতা পেশায় সমস্যার শেষ নেই। বেতন-ভাতা-পদোন্নতি নিয়ে নানা ধরনের জটিলতা রয়েছে। গত পাঁচ দশকে বাংলাদেশের শিক্ষকদের অবস্থার কিছু পরিবর্তন হয়েছে, এটা ঠিক। তবে অবস্থার যতটুকু পরিবর্তন হয়েছে, সেটি আশাব্যঞ্জক নয়। শিক্ষকদের যতদিন পর্যন্ত আমরা মর্যাদা দিতে না পারব, ততদিন পর্যন্ত কোনো জাতির উন্নতি হতে পারে না।

বৃহস্পতিবার (২২ অক্টোবর) রাতে সারাবাংলা ডটনেটের নিয়মিত আয়োজন ‘সারাবাংলা লিগ্যাল চেম্বার’ অনুষ্ঠানে যুক্ত হয়ে অতিথিরা এসব কথা বলেন। আইনি পরামর্শমূলক এ অনুষ্ঠানের এ পর্বের বিষয় ছিল ‘বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (কলেজ ও স্কুল অ্যান্ড কলেজ) প্রিন্সিপাল ও ভাইস প্রিন্সিপাল নিয়োগের যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতার নতুন বিধান’।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা ডটনেটের পক্ষে ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ব্যারিস্টার ইফ্ফাত গিয়াস আরেফিন। এতে প্রধান আলোচক হিসেবে যুক্ত ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী শাহ মনজুরুল হক। বিশেষ আলোচক ছিলেন বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি’র সাধারণ সম্পাদক ও বাংলাদেশ শিক্ষক কর্মচারী সমিতি ফেডারেশনের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. মহসীন রেজা এবং বাংলাদেশ কলেজ শিক্ষক সমিতি’র (বাকশিস) কেন্দ্রীয় সহসভাপতি ও চট্টগ্রাম শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আবু তাহের চৌধুরী।

আলোচনার শুরুতেই ব্যারিস্টার ইফ্ফাত গিয়াস আরেফিন দেশে শিক্ষকতা পেশার বর্তমান চিত্র সম্পর্কে সংক্ষেপে আলোকপাত করেন। তিনি বলেন, শিক্ষকরা আমাদের সবার কাছে সর্বজনশ্রদ্ধেয়। কিন্তু তারা বৈষম্যের শিকার। অথচ তারা দাবি আদায়ে ক্লাস বর্জন করেন না। রাস্তায় নেমে মিছিল করেন না। এটি তাদের দুর্বলতা নয়। এটি আমাদের শিক্ষকদের দায়িত্বশীলতাবোধ। এ কারণেই আমাদের জাতি গঠনের এই কারিগরদের মর্যাদা দিতে হবে। তাদের নিয়ে যেকোনো বিধান করার আগে রাষ্ট্রকে সব দিক বিবেচনা করতে হবে, যেন তারা কোনোভাবেই কোনো বৈষম্যের শিকার না হন।

বিজ্ঞাপন

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে বেতন-ভাতা ও পদোন্নতিতে এখনো সরকারি খাতের একচেটিয়া অগ্রাধিকার আছে। এখনো মেধাবীরা শিক্ষকতায় আসছে না, অভিজ্ঞ শিক্ষকরা অবসরে চলে যাচ্ছেন। এসব ক্ষেত্রে পদ শূন্য থেকে যাচ্ছে, সেই পদ যথাযথভাবে আর পূরণও হচ্ছে না। মেধাবীদের শিক্ষকতা পেশায় আকৃষ্ট করার জন্য দীর্ঘমেয়াদি ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন। শিক্ষক-শিক্ষার্থীর উন্নয়ন এবং গুণগত মান বাড়ানো প্রয়োজন, এর জন্য প্রশিক্ষণ প্রয়োজন। প্রাথমিক পরবর্তী বেসরকারি স্কুল-কলেজের শিক্ষকরাই দেশের শিক্ষার ৯৭ ভাগের বেশি দায়িত্ব পালন করে থাকেন।

২০১৮ সালে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে (কলেজ এবং স্কুল অ্যান্ড কলেজ) অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষ নিয়োগে যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতার পরিবর্তন আসে। শিক্ষক সমিতি এই সংশোধনীকে বৈষম্যমূলক অভিহিত করে এরই মধ্যে তা পরিবর্তনের জন্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছে। তবে তার কোনো সমাধান হয়নি। এসব বিষয় নিয়েই ‘লিগ্যাল চেম্বার’ অনুষ্ঠানে আলোচনা করেন বক্তারা।

আলোচনায় যুক্ত হয়ে মহসীন রেজা বলেন, ২০১৮ সালের জনবল সংশোধনী আমরা হয়তো পেয়েছি, কিন্তু আসলে আমরা কী পেয়েছি? বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য ২০১০ সালে একটি জনবল কাঠামো দেওয়া হয়েছিল। ২০১৩ সালে সেটিতে একবার সংশোধনী আনা হয়েছিল। ২০১৮ সালে আরও একবার সংশোধন এনে জনবল কাঠামো দেওয়া হয়েছে। আমি মনে করি, এই সংশোধনী সরকারের নির্বাচনি ইশতেহারের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। এর আগে জনবল কাঠামো যা ছিল, এখনকার সংশোধনীটি তার থেকে সম্পূর্ণ বিপরীতধর্মী। এটি দেখলে মনে হবে, সংশ্লিষ্ট কারও সঙ্গে আলোচনা না করেই মনগড়া একটি সংশোধনী দেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, ২০১৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি এই সংশোধনী প্রকাশ হয়। একজন উপসচিবের সই করা ওই নোটিশে জুড়ে দেওয়া হয়— যেকোনো স্বীকৃতি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি এবং স্নাতক অথবা স্নাতকোত্তর ডিগ্রির যেকোনো একটিতে প্রথম শ্রেণি থাকতে হবে। অভিজ্ঞতার ক্ষেত্রে বলা হয়েছে, সহকারী অধ্যাপক হতে হলে ১২ বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। এ ক্ষেত্রে আমি মনে করি, একটি ব্যারিয়ার বা বাধা দেওয়া হয়েছে, যেন কেউ না ঢুকতে পারে। একটি ভ্যাকুয়াম বক্স তৈরি করা হয়েছে। শিক্ষা খাতে যেন এই পদ শূন্য থাকে, আমার মনে হয় সে জন্যই এই সংশোধনী আনা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এ সংক্রান্ত নির্দেশনার প্রসঙ্গ টেনে এই শিক্ষক নেতা বলেন, আমি যদি ভুল না করে থাকি, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্বাচনি ইশতেহারে বলেছিলেন, জনবল কাঠামো নদিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চালানো যাবে না। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চালাতে হলে জনবল কাঠামোর ঊর্ধ্বে উঠতে হবে। শিক্ষকদের ক্যারিয়ার পাথ তৈরি করে দিতে হবে। এখানে সেই সুযোগ সিল করে দেওয়া হয়েছে। এখানে যেভাবে বলা হয়েছে, তাতে একজন শিক্ষক প্রভাষক হিসেবে যোগ দিয়ে প্রভাষক হিসেবেই থাকবেন, প্রভাষক হিসেবেই অবসর নেবেন। কোনোভাবেই যেন তিনি উপাধ্যক্ষ বা অধ্যক্ষ না হতে পারেন, এই সংশোধনীর মাধ্যমে আমরা সেটিই পেয়েছি।

মহসীন রেজা আরও বলেন, এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আমি সরকারের উদ্দেশে বলতে চাই— এর মাধ্যমে আমাদের শিক্ষাকে আরও নিচের দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। আর কিছুদিন পর কোনো প্রতিষ্ঠানের জন্য অধ্যক্ষ বা উপাধ্যক্ষ কিংবা প্রধান শিক্ষক বা সহকারী প্রধান শিক্ষক পাওয়া যাবে কি না, তা নিয়েই সন্দেহ রয়েছে। পাওয়া গেলেও তাদের দিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চালানো যাবে কি না, সে বিষযয়েও সন্দেহ রয়েছে। অথচ আমাদের সামনে ভিশন ২০৩০ দেওয়া হয়েছে। সাবেক শিক্ষামন্ত্রী আমাদের আশ্বস্তও করেছিলেন, আমাদের সামনে এসব ব্যারিয়ার থাকবে না। বর্তমান শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গেও কয়েকবার বসেছি। কিন্তু আমাদের দুর্ভাগ্য বলব— করোনার কারণেই হয়তো এটি হয়নি।

সরকারকে ‘শিক্ষাবান্ধব সরকার’ অভিহিত করে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী আমাদের চাওয়ার আগেই অনেক কিছু দিয়েছেন। কিন্তু এই বিষয়টি নিয়ে সুরাহা হয়নি। সবশেষে যদি বলতে চাই, আমরা কী পেয়েছি? আমি বলব, আমরা এখানে হতাশাই পেয়েছি। আমাদের শিক্ষককূলকে একবার থেমে যাওয়ার জন্য ব্যবস্থা করা হয়েছে।

আলোচনায় আবু তাহের চৌধুরী বলেন, এখন করোনাভাইরাসের কারণে সারাবিশ্বে শিক্ষাব্যবস্থা আজ বিপর্যস্ত। বাংলাদেশের বেসরকারি স্কুল-কলেজ যে অবস্থায় আছে, এটাকে আমি বলব অত্যন্ত নাজুক অবস্থা। করোনা শুধু নয়, আমাদের কিছু সিদ্ধান্তও রয়েছে এর পেছনে। ২০১৮ সালের যে জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা তৈরি করা হয়েছে, এই নীতিমালার বেশ কিছু ত্রুটি রয়েছে। এখানে একটি বিষয় বলতে চাই। ১৯৬৬ সালে প্যারিসে ইউনেস্কো একটি আন্তঃসরকার সম্মেলন ডেকেছিল। ওই সম্মেলনে শিক্ষকদের অধিকার, মর্যাদা, করণীয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। ওই আলোচনা থেকে ১৪৫টি রিকমেন্ডেশন তৈরি করে সেগুলো ধাপে ধাপে আলোচনার মাধ্যমে ১৯৯৭ সালে চূড়ান্ত করা হয়। ওই আলোচনার অন্যতম মূল একটি বিষয় ছিল— শিক্ষকদের নিযে যদি কোনো সিদ্ধান্ত বা পরিকল্পনা নিতে হয়, তাহলে শিক্ষক, শিক্ষকদের প্রতিনিধি বা শিক্ষক সমিতির সঙ্গে আলোচনা করতে হবে। এই সুপারিশ কিন্তু সারাবিশ্বে রয়েছে। আমাদের সঙ্গেও মাঝে মাঝে কথা বলেছে। কিন্তু সেটি ধারাবাহিক নয়।

তিনি বলেন, ২০১৮ সালের জনবল কাঠামোতে যে ত্রুটিগুলো হয়েছে, আমরা জানি যে জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা ১৯৯৫ সালে একটি হয়েছে, ২০১০ সালে সংশোধনী হয়েছে, ২০১৮ সালেও সংশোধিত হয়েছে। ১৯৯৫ সালে জনবল কাঠামো তৈরির সময় শিক্ষকদের কোনো প্রতিনিধি ছিল না। ফলে সেটি ছিল আমাদের জন্য কালো আইন। পরে এটি নিয়ে আন্দোলন হয়েছে। পরে ২০১০ সালে আমাদের পার্লামেন্ট শিক্ষানীতি অনুমোদন করেছে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর শেখ মুজিবুর রহমানের আমলে কুদরত-ই-খুদা কমিশনের শিক্ষা নীতি ছিল। সেই শিক্ষানীতির বাস্তবায়ন হলে আজকের বাংলাদেশের চেহারা অন্যরকম হতো। সেটি হয়নি বলেই এখন একেক সময় একেক এক্সপেরিমেন্ট চলছে। এর মধ্যে ২০১০ সালে মোটামুটি গ্রহণযোগ্য একটি শিক্ষানীতি হয়েছিল। এই শিক্ষানীতির আলোকে জনবল কাঠামো তৈরি হয়েছিল। ওই সময় শিক্ষক প্রতিনিধি ছিল। ২০১৮ সালে প্রতিনিধি ছিল না। যারা সংশোধন করেছেন, তারা সেটি করতে গিয়ে যেটি দাঁড়িয়েছে, সেটিতে নানা ত্রুটি রয়েছে। এর মধ্যে প্রধান সমস্যাটির কথা যদি বলি— এখন সারাদেশের অধ্যক্ষ পদ শূন্য হচ্ছে, উপাধ্যক্ষের পদ শূন্য হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, স্নাতক পর্যায়ের কলেজ, উচ্চমাধ্যমিক কলেজ ও উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়— এই তিনটি ক্যাটাগরিতে যদি ভাগ করি, সেখানে প্রিন্সিপাল ও ভাইস প্রিন্সিপালের পদ তৈরি করা হয়েছে। উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ভাইস প্রিন্সিপাল পদটি নতুন। দেখা যাচ্ছে, এই পদ শূন্য হয়ে যাচ্ছে। তারা পদ ফিলআপ করার চেষ্টা করছে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, একটি পদের বিপরীতে চার-পাঁচ বা ছয়টির বেশি আবেদন পাওয়া যাচ্ছে না। কারণ আমাদের জনবল কাঠামোতে সহকারী অধ্যাপকের পর কোনো পদোন্নতি নেই। কোনো সহযোগী অধ্যাপক বা অধ্যাপক পাওয়ার সুযোগ নেই। ফলে এখানে একটি জায়গায় আটকে দেওয়া হয়েছে। যে পরিপত্রটি জারি করা হয়েছে, তাদের বলা হয়েছে, সহকারী অধ্যাপকের নিচের পদের, অর্থাৎ প্রভাষক কেউ আবেদন করতে পারবেন না। অথচ ২০১৩ সালে যে সংশোধনী ছিল, সেটি অনুযায়ী প্রভাষকও আবেদন করতে পারতেন। এর কারণও ছিল। কারণ আমরা বুঝাতে সক্ষম হয়েছিলাম, মেধাবী শিক্ষকদের প্রশাসন ও ব্যবস্থাপনার জায়গায় নিয়ে যাওয়া দরকার।

এসব কারণে এখন সমস্যা তৈরি হচ্ছে জানিয়ে অধ্যাপক তাহের বলেন, এখন পরিস্থিতি এমন দাঁড়িয়েছে— সারাদেশেই কলেজগুলোর জন্য অধ্যক্ষ বা উপাধ্যক্ষ পাওয়া যাচ্ছে না। সারাদেশ থেকে এমন অনেক প্রতিষ্ঠানের খবর আমাদের কাছে আছে। আরেকটি বিষয়, এখন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ দিয়ে চালানো হচ্ছে। সেখানেও দ্বন্দ্ব হচ্ছে। কারণ অনেক শিক্ষক মানছেন, অনেক শিক্ষক মানছেন না। অনেক জায়গায় কমিটির মাধ্যমে রাজনৈতিক প্রভাব বিবেচনায় জুনিয়র কাউকে দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে। এসব কারণে প্রতিষ্ঠানের প্রশাসন ও ব্যবস্থাপনায় জটিল কিছু সমস্যা তৈরি হয়েছে। আবার এসব পদ সহকারী অধ্যাপকদের জন্য এলিজিবল করা হয়েছে, কিন্তু তাদের একটি বড় অংশ এসব পদে যেতে চান না। কারণ এসব পদ ঝুঁকিপূর্ণ। এর পেছনে আর্থসামাজিক-রাজনৈতিক অবস্থা রয়েছে। আবার কোনো দ্বন্দ্ব তৈরি হলে অধ্যক্ষ যেভাবে সামলাতে পারবেন, ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ কিন্তু সেভাবে পারবেন না। ফলে সহকারী অধ্যাপকদের অধ্যক্ষ বা উপাধ্যক্ষ প্রার্থী হিসেবে পাওয়া যাচ্ছে না। সব মিলিয়ে এটি শিক্ষাক্ষেত্রে একটি জাতীয় সমস্যায় পরিণত হয়েছে।

তিনি বলেন, তারা দফায় দফায় শিক্ষামন্ত্রীকে বিষয়টি অবহিত করেছেন, প্রতিটি বিষয়ে সম্ভাব্য সমাধান তুলে ধরা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর কাছেও এ বিষয়টি স্মারকলিপি আকারে পাঠানো হয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত সংশোধনী কমিটি করেছে। সেখানে ৩০-৪০ বছর ধরে শিক্ষকদের আন্দোলনে যুক্ত ব্যক্তিদের মধ্য থেকে প্রতিনিধি রাখার প্রস্তাব করা হয়েছিল। সে প্রস্তাবও মানা হয়নি। রাখা হয়েছে একজন নন-এমপিও শিক্ষককে। ফলে সংশোধনী চূড়ান্ত করা সম্ভব হচ্ছে না।

এসব বিষয় নিয়ে অ্যাডভোকেট শাহ মনজুরুল হক বলেন, যেকোনো আইনে নীতিমালা প্রণয়নের পূর্বে সংশ্লিষ্ট খাতের অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা করতে হয় যে কিভাবে তাদের স্বার্থ রক্ষা যায়। কোনো আইন বা নীতিমালা প্রণয়নের এটি প্রথম নিয়ম। তারা একটি নীতিমালা তৈরি করেছে, সেজন্য সাধুবাদ জানাই। কিন্তু নীতিমালা হতে হবে যুগোপযোগী। এখন যদি শিক্ষকদের নিয়ে এই নীতিমালা যুগোপযোগী না হয়, শিক্ষকদের মাঝে দ্বন্দ্ব দেখা দেয় বা তাদের মধ্যে বনিবনা না হওয়ায় বৈষম্য তৈরি হয়, তাহলে সেই নীতি গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। আর শিক্ষকদের যতদিন পর্যন্ত মর্যাদা দিতে পারব না, ততদিন পর্যন্ত কোনো জাতির উন্নতি হতে পারে না। কারণ শিক্ষা যদি জাতির মেরুদণ্ড হয়, এই মেরুদণ্ড সোজা করে রাখেন শিক্ষকরাই। ফলে তাদের প্রতি আমরা শ্রদ্ধা জানাই।

সুপ্রিম কোর্টের এই আইনজীবী বলেন, একটি নীতিমালা হয়েছে। এর বিরুদ্ধে আপনারা আবেদন করেছেন। এর মাধ্যমে যদি আপনারা সমাধান পান, সেটি ভালো। তবে সেটি না পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যারা আছেন, তাদের বিবাদী করে আপনারা আইনের আশ্রয় নিতে পারেন। সেক্ষেত্রে আমিও আপনাদের পাশে থাকব।

অধ্যাপক আবু তাহের চৌধুরী অ্যাডভোকেট শাহ মঞ্জুরুল হক টপ নিউজ বেসরকারি কলেজ বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ব্যারিস্টার ইফ্ফাত গিয়াস আরেফিন মো. মহসীন রেজা লিগ্যাল চেম্বার স্কুল অ্যান্ড কলেজ

বিজ্ঞাপন

না ফেরার দেশে অঞ্জনা
৪ জানুয়ারি ২০২৫ ০১:৫৪

এই তাসকিনকে সমীহ করবেন যে কেউ
৪ জানুয়ারি ২০২৫ ০১:৪৭

আরো

সম্পর্কিত খবর