Tuesday 07 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘সম্পদের অহমিকায় সন্তানদের বড় হওয়ার সুযোগ দেবেন না’


২২ অক্টোবর ২০২০ ১৩:০৬ | আপডেট: ২২ অক্টোবর ২০২০ ১৭:১০

ফাইল ফটো

ঢাকা: স্কুল জীবন থেকে সন্তানদের সম্পদের অহমিকায় বড় না করার জন্য সম্পদ-অর্থশালীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, স্কুলে ধনী-দরিদ্র্য সবধরনের ছেলে-মেয়ে পড়তে পারে, কিন্তু তারা যেন সবাই মানুষকে মানুষ হিসেবে দেখে। এই সম্পদের অহমিকা করে কোনো লাভ নেই।

বৃহস্পতিবার (২২ অক্টোবর) সকালে ‘জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস-২০২০’ উদযাপন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি বনানীর বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি মিলনায়তনে যুক্ত হয়ে এই আহ্বান জানান। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সভাপতিত্বে জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবসের কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।

বিজ্ঞাপন

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা যখন প্রথম সরকার আসি তখনও কিন্তু এই বিআরটিসির জন্য প্রায় এক হাজারের কাছাকাছি বাস কিনেছিলাম। আমাদের দুভার্গ্য বিএনপি ক্ষমতায় আসার পর সেগুলো কোথায়, কাকে দিয়ে শেষ ধ্বংস করে দিয়েছে। দ্বিতীয়বার যখন আমরা ক্ষমতায় আসলাম, তখন অগ্নিসন্ত্রাসে প্রায় ছয়শ বিআরটিসির বাস ও ট্রাক এবং তিন হাজারেরও বেশি প্রাইভেটকার তারা পুড়িয়ে দিয়েছিল। আমরা কষ্ট করে কিনে নিয়ে আসি মানুষের সুবিধার জন্য, আর তারা ধ্বংস করে আন্দোলনের জন্য।’

তিনি বলেন, ‘তারপরও আমরা সম্প্রতি প্রায় ছয়শ নতুন বাস, পাঁচশ নতুন ট্রাক বিআরটিসিতে সংযোজন করেছি। এছাড়া ৬২৯টি দোতলা বাস এবং ২৮৭টি এসি বাসের মাধ্যমে নাগরিকদের যোগাযোগ সুবিধাও বাড়িয়েছে। এর বাইরে মেয়েদের জন্য ঢাকা এবং চট্টগ্রামে ২২টি বাস সার্ভিস সুনির্দিষ্ট করে দিয়েছি। আর শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য আমরা প্রায় ১৮৮টি বাস বাস দিয়েছি।’

বিজ্ঞাপন

শেখ হাসিনা বলেন, ‘তাছাড়া কিছু স্কুলকে আমি বলেছিলাম, তাদের বাস লাগবে কি না। বিশেষকরে প্রাইভেট স্কুলগুলোকে। তারা অনেকেই রাজি হয়নি। অবশ্য কিছু কিছু স্কুল আছে যেখানকার ছেলে-মেয়েদের বাবা-মারা একটু পয়সাওয়ালা হয়ে গেছে। বিভিন্ন ব্র্যান্ডের গাড়িতে চলে। তাদের ছেলেমেয়েরা ওই গাড়ি থেকে নামবে, গাড়ি থেকে নেমে স্কুলের বন্ধুকে বলবে, জানিস আমি কোন গাড়িতে স্কুলে এসেছি?- সেই কথাটা বলার সুযোগ পাবে না বাসে গেলে। সেই অহমিকা বোধটাও মানুষের ক্ষতি করে। যানজটও বাড়ায়; এটিও দুভার্গ্যরে বিষয়। হঠাৎ টাকার মালিক! কাজেই একটু তো টাকা দেখাতেই হবে। এই দেখানোটা করতে যেয়ে সমস্যা সৃষ্টি করে, ট্রাফিক বাড়ায়।’

বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, ‘হ্যাঁ, মানুষের আর্থিক স্বচ্চলতা বাড়ুক, গাড়ি কেনার ক্ষমতা বাড়ুক। গাড়ি কেনার সুযোগ আমরা করে দেই। কিন্তু তারপরও আমি বলব, স্কুলে ধনী-দরিদ্র্য সবধরনের ছেলে-মেয়ে পড়তে পারে, কিন্তু তারা যেন সবাই মানুষকে মানুষ হিসেবে দেখে। এই সম্পদের অহমিকা করে লাভ নেই। সেই শিক্ষা নিশ্চয়ই এই করোনাভাইরাস আসার পর একটু পেয়েছে! অর্থ থাকলেই সব সুবিধা ভোগ করা যায় না, সবকিছু করা যায় না।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সম্পদ ও অর্থের চেয়েও শক্তিশালী কিছু থাকে, যেটা মানুষের জীবনকে স্থবির করে দিতে পারে। করোনাভাইরাস আমাদের সেই শিক্ষাটা দিয়ে যাচ্ছে। জানি না, এই শিক্ষাটা সকলের হয় কি না। তবু আমাদের চেষ্টা সব সময় আছে। আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি, নিরাপদ সড়ক দেওয়ার জন্য।’

জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস প্রধানমন্ত্রী বড় শেখ হাসিনা সন্তান সম্পদের অহমিকা

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর