Wednesday 08 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ঠাকুরগাঁওয়ে শ্মশান দখল, প্রতিবাদকারীদের পুড়িয়ে মারার হুমকি


১৯ অক্টোবর ২০২০ ১৭:১৬ | আপডেট: ১৯ অক্টোবর ২০২০ ১৯:২৪

ঠাকুরগাঁও: জেলার পীরগঞ্জ উপজেলার কিসমত সৈয়দপুর গ্রামে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের শ্মশানঘাট দখল করেছে স্থানীয় এক প্রভাবশালী মহল। এ ঘটনায় স্থানীয় হিন্দুরা প্রতিবাদ জানালে তাদের আগুনে পুড়িয়ে মারার হুমকিও দিয়ে প্রভাবশালীরা।

অভিযোগে জানা যায়, ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলার সৈয়দপুর ইউনিয়নে ইলুয়াপুকুর শ্মশান ঘাটের ৬ দাগে জমি আছে ২ একর ১ শতাংশ। যার কিছু অংশ চাষাবাদ এবং কিছু অংশ শ্মশান হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছিল। যার রেকর্ডিয় মালিক জমিদার পদ্মকামিনী দেব্যা। তিনি ১৯৪৭ সালে দেশ বিভক্তের পর তিনি ভারতে চলে যান।

বিজ্ঞাপন

কিন্তু সম্প্রতি এলাকার প্রভাবশালী মহল অবসরপ্রাপ্ত তহশীলদার শামসুল আলম, তাইজুল, হাফিজুর, আলমগীর, নুরুল ও আজিজারসহ অনেকে ভুয়া কাগজপত্র দেখিয়ে জায়গাটি দখল নিয়েছে। শ্মশানঘাট রক্ষায় মানববন্ধনসহ নানা কর্মসূচি পালন করায় ভুক্তভোগীদের ভয়-ভীতিও দেখাচ্ছে তারা।

কিসমতদৌলপুর গ্রামের ধীরেন্দ্র নাথ বলেন, ‘ওই প্রভাবশালী মহলের লোকজন ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। তার বলছে, আমাদের ঘাড় মটকিয়ে দেবে। আগুনে পুড়িয়ে মারবে।’

স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ভারত চন্দ্র রায় বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে হিন্দু সম্প্রদায়ের কেউ মারা গেলে তার লাশ দাহ করি। কিন্তু ধীরে ধীরে প্রভাশালীরা শ্মশানঘাটটি দখল করে নিয়েছে। প্রতিকার চেয়ে জেলাপ্রশাসকসহ বিভিন্ন দফতরে অভিযোগ দিয়েছি।’

স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বলেন, ‘উপজেলা ভূমি কর্মকর্তা, ওসিসহ সকলে মিলে দখলকারীদের ১৫ দিনের মধ্যে কাগজপত্র দাখিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু তা গত হয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত কোনো কাগজ দাখিল করতে পারেনি দখলদাররা। জমিটি ছিল হিন্দু জমিদারের। সেক্ষেত্রে জমিটি শত্রু সম্পতি নতুবা খাস জমি হওয়ার কথা। সেটি কিভাবে ব্যক্তি মালিকানা হলো তা আমার বোধগম্য নয়।’ এর সাথে ইউনিয়ন ভূমি অফিসের যোগসূত্র আছে বলেও মনে করেন তিনি।

বিজ্ঞাপন

অবসরপ্রাপ্ত তহশীলদার, শ্মশান দখলকারী শামসুল আলম বলেন, ‘দলিলমূলে ১৯৭৫ সাল থেকে জমিটি ভোগদখল করে আসছি। সেখানে আমগাছ, বাঁশঝাড় লাগানো হয়েছে। এখন তারা সবাই জমিটি দাবি করে আসছে।’

উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আখতারুল ইসলাম বলেন, ‘জেলা প্রশাসকের নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করে যাচ্ছে উপজেলা প্রশাসন। কোন ধরনের অপ্রীতকর ঘটনা যেন না ঘটে সেজন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ কর্মকর্তারা এলাকাটি পরিদর্শন করেছেন। সেখানে লাল নিশান লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। জমিটি হিন্দু ভাইয়েরা দীর্ঘদিন শ্মশানঘাট হিসাবে ব্যবহার করে আসছে, রেকর্ডেও সেটা দেখা যাচ্ছে।’ তারাই তা নিয়ন্ত্রণ এবং দেখভাল করবে বলেও জানান তিনি।

টপ নিউজ পুড়িয়ে মারার হুমকি প্রতিবাদ শ্মশানঘাট শ্মশানঘাট দখল সংখ্যালঘু

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর