Wednesday 08 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘মৃত’ নবজাতক জীবিত হয়ে ওঠার ঘটনায় তদন্ত কমিটি


১৭ অক্টোবর ২০২০ ০৯:৫১ | আপডেট: ১৭ অক্টোবর ২০২০ ১৬:২৮

ফাইল ছবি

ঢাকা: ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে মৃত ঘোষণার পর দাফন করার সময় নড়েচড়ে ওঠা নবজাতকের সেই ঘটনাটি তদন্তে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির প্রধান রাখা হয়েছে হাসপাতালের নবজাতক বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. মনীষা ব্যানার্জীকে। তিন দিনের মধ্যে কমিটিকে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) ঢামেক হাসপাতালের পক্ষ থেকে এই তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম নাসির উদ্দিন জানিয়েছেন, শুক্রবার থেকেই এই তদন্ত কমিটি কাজ শুরু করেছে।

বিজ্ঞাপন

হাসপাতাল পরিচালক নাসির উদ্দিন বলেন, ডা. মনীষাকে প্রধান করে গঠন করা কমিটির বাকি সদস্যরা হলেন— হাসপাতালের গাইনি বিভাগের অধ্যাপক ডা. শিখা গাঙ্গুলি, অ্যানেসথেশিওলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. সুব্রত কুমার মন্ডল ও হাসপাতালের সহকারী পরিচালক (প্রশাসন)।

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম নাসির উদ্দিন সারাবাংলাকে বলেন, শুক্রবার থেকেই তদন্ত কমিটি কাজ শুরু করেছেন। তিন দিনের মধ্যে তারা প্রতিবেদন জমা দেবেন। এরপরই এ বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নবজাতকটির শারীরিক অবস্থার কথা জানিয়েছে ঢামেক হাসপাতালের পরিচালক বলেন, শিশুটিকে নবজাতক নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (এনআইসিইউ) ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তার শারীরিক অবস্থা এখনো আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছে। শিশুটির মাকেও হাসপাতাল ভর্তি রাখা হয়েছে। তার শারীরিক অবস্থা ভালো আছে।

নাসির উদ্দিন বলেন, নবজাতকটি ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর তাকে আমাদের চিকিৎসকরা কয়েক ঘণ্টা পর্যবেক্ষণে রেখেছিলেন। তার কোনো হৃদস্পন্দন না পাওয়ার কারণেই তাকে মৃত ঘোষণা করেছিলেন চিকিৎসকরা। তবে তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন পেলে ঘটনাটির বিস্তারিত জানা সম্ভব হবে।

বিজ্ঞাপন

ঢামেক হাসপাতালে শুক্রবার ভোরে ওই নবজাতকটি ভূমিষ্ঠ হয়। নবজাতকটির বাবা ইয়াছিন জানান, ৬ মাস ১৬ দিনের অন্তঃস্বত্ত্বা স্ত্রী শাহিনুর বেগমকে গত বুধবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের গাইনি বিভাগে ভর্তি করা হয়েছিল। তার রক্তচাপ অনেক বেশি ছিল। ওই অবস্থায় তাকে জরুরিভিত্তিতে ডেলিভারি করানো হয়। তবে হৃদস্পন্দন না থাকায় শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করা হয়।

শুক্রবার সকালে শিশুটিকে নিয়ে আজিমপুর কবরস্থানে ভর্তি করাতে গেলে প্রয়োজনীয় টাকা না থাকায় ইয়াছিন তাকে রায়েরবাগ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে দাফন করতে নিয়ে যান। দাফনের আগে কবর খোঁড়ার শেষ পর্যায়ে হঠাৎ কান্নার শব্দ পেলে তারা বুঝতে পারেন, শিশুটি নড়াচড়া করছে। পরে তাকে ফের ঢামেক হাসপাতালে ফিরিয়ে আনা হয়।

ঢাকা মেডিকেল নবজাতক

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর