পুলিশ বক্সে বিস্ফোরণ: ‘নব্য জেএমবি’র ৬ সদস্য গ্রেফতার
১৪ অক্টোবর ২০২০ ১৫:২৬ | আপডেট: ১৪ অক্টোবর ২০২০ ১৫:৫২
চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম নগরীতে ট্রাফিক পুলিশ বক্সে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় আরও ছয়জনকে গ্রেফতার করেছে সিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, গ্রেফতার ছয়জনই নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন ‘নব্য জেএমবি’র সদস্য।
মঙ্গলবার বিকেল থেকে বুধবার (১৪ অক্টোবর) ভোর পর্যন্ত বান্দরবান ও চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতার ছয়জন হলেন- মহিদুল আলম (২৪), জহির উদ্দিন (২৮), মঈনউদ্দিন (২৮), আবু সাদেক (১৯), রহমতউল্লাহ আকিব (২৪) এবং মো. আলাউদ্দন (২৩)।
এ নিয়ে পুলিশ বক্সে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় মোট ১০ জন গ্রেফতার করা হলো। যাদের সবাই নিষিদ্ধ নব্য জেএমবির সদস্য বলে জানিয়েছে কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট।
সিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার আসিফ মহিউদ্দীন সারাবাংলাকে জানান, মহিদুল ও জহিরকে বান্দরবান জেলা শহরের কলাবাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ এলাকা এবং বাকি চারজনকে চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার দরগাহমুড়া এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘জিজ্ঞাসাবাদে ছয়জনই পুলিশ বক্সে বোমা বিস্ফোরণে জড়িত কথা স্বীকার করেছে। এদের মধ্যে সাদেক বোমাটি পুলিশ বক্সের ভেতরে রেখে আসে। আকিবের বোমা তৈরিতে বিশেষ প্রশিক্ষণ আছে বলে তথ্য পাওয়া গেছে। আমরা তথ্যগুলো যাচাই-বাছাই করে দেখছি।’
গত ২৮ ফেব্রুয়ারি রাতে চট্টগ্রাম নগরীর পাঁচলাইশ থানার ষোলশহর দুই নম্বর গেইট এলাকায় ট্রাফিক পুলিশ বক্সে বিস্ফোরণে কমপক্ষে পাঁচজন আহত হন, যাদের মধ্যে দুজন সেখানে কর্তব্যরত ট্রাফিক পুলিশের সদস্য। এরা হলেন, সার্জেন্ট আরাফাত হোসেন ও এএসআই মো. আতাউদ্দিন। এছাড়া ১০ বছরের এক শিশু এবং আরও দুজন যুবক আহত হন। এ ঘটনায় ট্রাফিক পরিদর্শক অনিল বিকাশ চাকমা বাদী হয়ে নগরীর পাঁচলাইশ থানায় মামলা দায়ের করেন।
ঘটনার পরদিন যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক জঙ্গি কার্যক্রম নজরদারি সংস্থা ‘সাইট ইন্টেলিজেন্স গ্রুপ’ জানিয়েছিল, জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট এই হামলার দায় স্বীকার করেছে।
তবে প্রথম দফায় গত মে মাসে তিনজনকে গ্রেফতারের পর কাউন্টার টেরোরিজম বিভাগের কর্মকর্তারা বলেছিলেন, এই হামলার পরিকল্পনা থেকে বাস্তবায়ন সবই নব্য জেএমবির। এর সঙ্গে আইএস’র সম্পৃক্ততার কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।