মিথ্যা মামলায় আসামিকে খালাস দিয়ে বাদীর বিরুদ্ধেই মামলার নির্দেশ
১৪ অক্টোবর ২০২০ ১৫:২২ | আপডেট: ৯ নভেম্বর ২০২০ ১৮:৫৩
ঢাকা: নারী ও শিশু নির্যাতন আইনের ৯/১ ধারায় করা মামলায় অপরাধ প্রমাণিত না হওয়ায় বেসরকারি স্যাটেলাইট টেলিভিশন চ্যানেল এটিএন বাংলার অনুষ্ঠান ব্যবস্থাপক আসলাম শিকদারকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (১৪ অক্টোবর) দুপুরে ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৫ এর বিচারক সামছুন্নাহার এ রায় ঘোষণা করেন।
আসলাম শিকদারের বিরুদ্ধে হাতিরঝিল থানায় ২০১৮ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর মামলাটি করেছিলেন অদ্রিতা অজানা গিনি ওরফে সানজিদা ফেরদৌস সেঁজুতি।
মামলাটির তদন্ত শেষে ২০১৮ সালের ১৪ নভেম্বর চার্জশিট দাখিল করা হয়। পরের বছর ৬ ফেব্রুয়ারি আসামির বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। মামলায় ১৩ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৩ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়। সাক্ষ্য-প্রমাণে আসামির বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণিত হয়।
মামলায় খালাস পাওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন এটিএন বাংলার কর্মকর্তা আসলাম শিকদার। তার দাবি ব্যক্তিগতভাবে ক্ষতিগ্রস্ত ও সামাজিকভাবে হেয় করতেই ওই নারী নেপথ্যের কুশীলবদের সহযোগিতায় মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলা করেছিলেন। মিথ্যা মামলা দেওয়ায় তিনি সংশ্লিষ্ট আদালতের নির্দেশে বাদী ও সাক্ষীদের বিরুদ্ধে পিটিশন মামলা দায়ের করবেন।
আসলাম শিকদার বলেন, ‘কোনো ধরনের সাক্ষ্য-প্রমাণ মেডিকেল পরীক্ষা ছাড়াই বানোয়াট তথ্যের ওপর ভিত্তি করে মামলার আলামতে অবৈধভাবে অন্য একটি মেয়ের ছবি দিয়ে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করা হয়। আমি মামলাটি চ্যালেঞ্জ করলে মামলা বাদী অদ্রিতা অজানা গিনি ওরফে সানজিদা ফেরদৌস সেঁজুতি হাতিরঝিল থানায় আমার বিরুদ্ধে আটটি জিডি-মামলা করেন। তদন্ত শেষে থানাতেই প্রাথমিকভাবে সাতটি মামলা মিথ্যা প্রমাণিত হয়। এ ছাড়া আমার নামে অবৈধ অস্ত্রের অবান্তর ও কাল্পনিক জিডি-মামলাটি সিএমএম কোর্ট আমলেই নেয়নি।’
তিনি আরও বলেন, ‘নারী ও শিশু নির্যাতন মামলাটির রায় যেন সহজে না হয় রায়ের তারিখ পেছানোর জন্য বারবার কৌশলে আবেদন করা হয়েছিল। আমাকে নানাভাবে বাদীপক্ষ ও মামলার পেছনের হোতারা নাজেহাল করেছে। একের পর এক মামলা-জিডি দিয়ে আমাকে ও আমার পরিবারকে বিপন্ন করা হয়েছে। অবশেষে আমি ন্যায়বিচার পেয়েছি। আমি আশাবাদী মিথ্যা মামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক সাজা হবে। এর মাধ্যমে তাদের মুখোশ উন্মোচিত হবে।
এদিকে আসলাম শিকদারের আইনজীবী এম আফাজ মাহমুদ রুবেল সারাবাংলাকে বলেন, ‘মামলার রায়ে আমার মক্কেল বেকসুর খালাস পেয়েছেন। মিথ্যা মামলা করায় আমরা বাদী ও সাক্ষীদের বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক পিটিশন মামলা দায়ের করেছি।