Tuesday 07 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘হার্ড ইমিউনিটিতে পৌঁছানো নিয়ে সিদ্ধান্তে যাওয়া ভুল হবে’


১২ অক্টোবর ২০২০ ১৭:৩৭ | আপডেট: ১৪ অক্টোবর ২০২০ ০০:৫৩

ঢাকা: এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) যতগুলো নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে, তা দিয়ে হার্ড ইমিউনিটিতে পৌঁছানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া ভুল হবে বলে জানিয়েছেন রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা কেন্দ্রের (আইইডিসিআর) প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. এ এস এম আলমগীর।

সোমবার (১২ অক্টোবর) বিকেলে ঢাকায় কোভিড-১৯-এর সংক্রমণ পরিস্থিতি ও জিন রূপান্তর বিষয়ে রাজধানীর হোটেল লেকশোরে আয়োজিত এক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন।

বিজ্ঞাপন

ডা. আলমগীর বলেন, ‘আমরা যে সেরো পজিটিভিটি দেখছি সেটা নিয়ে আমাদের আরও বিস্তৃত আকারে গবেষণা করতে হবে। আমাদের যে নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা তা দিয়ে আসলে কোনো সিদ্ধান্তে আসা কষ্টসাধ্য। খুব দ্রুতই আমরা বস্তি এলাকায় এই কাজ শুরু করছি। জাতীয় পর্যায়ে সকল জেলা থেকে আমাদের যে ডাটা কালেকশান হয়েছে সেটা যখন বর্তমানটার সঙ্গে মেলাবো তখন আমরা একটা জাতীয় পর্যায়ের জন্য ফিগার দাঁড় করাতে পারবো। আজকে যে গবেষণা ফলাফল জানানো হয়েছে এটা প্রাথমিক পর্যায়ের তথ্য যেখানে খুব অল্প সংখ্যক নমুনা সংগ্রহ হয়েছে। এটা দিয়ে সিদ্ধান্তে আসা খুব ডিফিকাল্ট হবে।’

ঢাকায় ৪৫ ভাগ মানুষের করোনা অ্যান্টিবডি পজিটিভ, বস্তিতে ৭৪ শতাংশ

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, ‘করোনায় আমাদের দেশে বৃদ্ধ বয়সের মানুষের মৃত্যুও ইউরোপিয়ান দেশগুলোর তুলনায় কম। যে কারণে মৃত্যুহারও কিছুটা কম। যদিও বয়স হিসেবে বাংলাদেশেও বৃদ্ধরাই মারা গেছেন।’

আইইডিসিআর-এর পরিচালক অধ্যাপক ডা. তাহমিনা শিরীন বলেন, ‘বাংলাদেশে ফেব্রুয়ারি মাসের শেষের দিকে কোভিড-১৯ সংক্রমণ পাওয়া গেছে। এই ক্ষেত্রে অবশ্য এটাকে কেস ফাইন্ডিং বলা যায় না। আমরা একটা সফটওয়্যারের ডাটা থেকে এটা পেয়েছি।’

বিজ্ঞাপন

সেমিনারে অংশ নিয়ে ড. শামস আল আরেফিন বলেন, ‘বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় আমাদের দেশে চিকিৎসকরা খুব দ্রুত অ্যাডপ্ট করেছে। এছাড়াও চিকিৎসা কিছু দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বাইরে যখন ভেন্টিলেটর নিয়ে জোর দেওয়া হচ্ছিল, তখন আমরা হাই-ফ্লো অক্সিজেন দিয়েছি। এ কারণে মৃত্যুর হার কম। এছাড়াও আমাদের দেশের স্টেরয়েডের ব্যবহারও আগে হয়েছে।’

অনুষ্ঠানে গবেষণা ফলাফল উপস্থাপন করেন আইইডিডিআর ও আইসিডিডিআরবির গবেষক ও বিজ্ঞানীরা। এতে সভাপতিত্ব করেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা।

সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ইউএসএআইডি মিশনের পরিচালক ডেরিক এস ব্রাউন ও আইসিডিডিআরবি’র বাংলাদেশ নির্বাহী পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) ড. তাহমিদ আহমেদ।

আইইডিসিআর করোনাভাইরাস কোভিড-১৯ টপ নিউজ ডা. এ এস এম আলমগীর হার্ড ইমিউনিটি

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর