Tuesday 07 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘সংকট কাটিয়ে দ্রুতগতিতে আগের অবস্থায় ফিরছে বাংলাদেশ’


৮ অক্টোবর ২০২০ ২২:৪৭ | আপডেট: ৯ অক্টোবর ২০২০ ০৮:১৭

ঢাকা: করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) অভিঘাত কাটিয়ে দেশ দ্রুতই আগের অবস্থায় ফিরতে শুরু করেছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যার ব্যুরোর (বিবিএস) একটি জরিপের তথ্য তুলে ধরে তিনি বলেন, আমরা নিজেদের গর্বিত জাতি হিসেবে বিবেচনা করতে পারি। কারণ বিশ্বের অন্যান্য দেশের সঙ্গে হিসাব করে দেখেছি, আমরা দ্রুত আবার আগের অবস্থায় ফিরে যাওয়ার পরিস্থিতিতে আছি। শতভাগ এখনো হয়নি, তবে আগের অবস্থায় ফিরে যাওয়ার পরিস্থিতি বাংলাদেশে তৈরি হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

বৃহস্পতিবার (৮ অক্টোবর) বিকেলে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এক ব্রিফিংয়ে বিবিএসের ওই জরিপের তথ্য তুলে ধরেন তিনি। করোনাকালীন বাংলাদেশের পরিস্থিতি জানতে ‘জীবিকার ওপর ধারণা জরিপ ২০২০’ পরিচালনা করে বিবিএস।

বিবিএস জরিপ: ৪ মাসে বেকার হয়েছিল ২০.৩৬ শতাংশ মানুষ

জরিপে বলা হয়েছে, করোনাভাইরাসের অভিঘাতের শিকার হয়ে দেশের অর্থনৈতিক খাতগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মানুষের উপার্জন উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কমেছে। কর্মসংস্থানও কমেছে বড় পরিমাণে। তবে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠতে উঠতে জীবন-জীবিকা-অর্থনীতি স্বাভাবিক গতিধারায় ফিরতে শুরু করেছে। জরিপে বলা হয়, বর্তমানে কোভিড-১৯ মহামারির অভিঘাত ধীরে ধীরে কেটে যাচ্ছে।

পরিসংখ্যান ব্যুরোর ওই জরিপটি এর আগে মঙ্গলবার (৬ অক্টোবর) উপস্থাপন করা হয় জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে। ওই জরিপের বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরে একটি প্রতিবেদনও প্রকাশ করেছিল সারাবাংলা।

বিবিএস জরিপের তথ্য তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব বলেন, করোনা মহামারির কারণে সারাবিশ্বের মতো আমাদের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যহত হয়েছে। আমাদের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ব্যহত হয়েছে, আমাদের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বেশকিছু দিন স্থবির ছিল। এর মধ্যেই পরিসংখ্যান ব্যুরো যে জরিপ চালিয়েছে, তা থেকে বেশকিছু ইন্টারেস্টিং তথ্য উঠে এসেছে। সেটা আমাদের জাতি হিসেবে গর্বিত হওয়ার মতো। বিশ্বের বিভিন্ন উন্নত দেশের তুলনায় বাংলাদেশ যথেষ্ট ভালো আছে। এটা কিন্তু গর্ব করার বিষয়।

বিজ্ঞাপন

ড. আহমদ কায়কাউস বলেন, আর্থিক সহায়তার ক্ষেত্রে সরকারের লক্ষ্য ছিল, নিম্ন আয়ের মানুষেরা যেন সরকারি সহায়তা পান। সেটা সফলভাবে করা গেছে। যারা সহায়তা পেয়েছেন, তাদের ৯৫ শতাংশই জানিয়েছেন যে তাদের আয় ২০ হাজার টাকার নিচে। অর্থাৎ কম আয়ের মানুষ সহায়তাটা পেয়েছেন।

করোনা সংক্রমণের মধ্যেও বাংলাদেশের ঘুরে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে সরকারের বিভিন্ন ত্রাণ সহায়তা, প্রধানমন্ত্রীর ৩১টি নির্দেশনা ও প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত ২১টি প্রণোদনার গুরুত্ব তুলে ধরেন মুখ্য সচিব। তিনি বলেন, করোনার অভিঘাত কাটাতে প্রধানমন্ত্রী ২১টি প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছিলেন। এত বেশি প্রণোদনা পৃথিবার আর কোনো দেশ দেয়নি। প্রধানমন্ত্রীর নীতি ছিল জীবন ও জীবিকা— দু’টোকে সমান গুরুত্ব দিয়ে সরকারের কর্মকাণ্ড পরিচালনা করা। সেটা সম্ভব হয়েছে।

সরকারের এসব কর্মকাণ্ডের কারণেই দেশ স্বাভাবিক গতিধারার দিতে ফিরে আসছে জানিয়ে ড. আহমদ কায়কাউস বলেন, বর্তমানে যে কাজগুলো চলমান রয়েছে, সেগুলো ধরে রাখতে পারলে আর করোনাভাইরাস যদি নিতান্তই কোনো দুর্ভাগ্যজনক পরিস্থিতিতে নিয়ে না যায়, তাহলে আমাদের উন্নয়নের যে স্রোতধারা, তার মধ্যে আমরা চলে আসতে পারব।

করোনাভাইরাস সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ বা সেকেন্ড ওয়েভ মোকাবিলায় সরকারের প্রস্তুতি প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব বলেন, সেকেন্ড ওয়েব বা থার্ড ওয়েভ নিয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য এখন পর্যন্ত নেই। এটা আসবে কি আসবে না— কেউ জানি না। যদি আসে, তার প্রস্তুতির জন্য প্রধানমন্ত্রী বহু আগে আমাদের নির্দেশনা দিয়েছেন। শীতে যদি সংক্রমণ বাড়েও, তার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। প্রস্তুতি নেওয়াও হয়েছে।

সরকারি সহায়তা বিতরণের ক্ষেত্রে অনিয়মের বিভিন্ন অভিযোগের দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে ড. আহমদ কায়কাউস বলেন, যখনই অনিয়মের খবর পাওয়া গেছে, তখনই সরকারের তরফ থেকে অ্যাকশন নিতে কোনো দ্বিধা করা হয়নি। কোনো গাফলতি করা হয়নি।

জরিপ টপ নিউজ ড. আহমদ কায়কাউস পরিসংখ্যান ব্যুরো প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব বিবিএস বিবিএসের জরিপ ব্রিফিং

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর