এইচএসসির ‘ফল’ ডিসেম্বরে, অতিরিক্ত সচিবের নেতৃত্বে মূল্যায়ন কমিটি
৭ অক্টোবর ২০২০ ১৭:৪৫ | আপডেট: ৭ অক্টোবর ২০২০ ২০:৪৬
ঢাকা: করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণ পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়ায় উচ্চ মাধ্যমিক, তথা এইচএসসি, দাখিল ও সমমান পরীক্ষার আয়োজন থেকে সরে এসেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, এসএসসি ও জেএসসি পরীক্ষার ফলের ওপর ভিত্তি করে এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করা হবে। আগামী ডিসেম্বরে তা প্রকাশ করা হবে। আর ফল মূল্যায়নের জন্য একজন অতিরিক্ত সচিবের নেতৃত্বে গঠিত হবে কমিটি।
বুধবার (৭ অক্টোবর) এক সংবাদ সম্মেলন থেকে এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়েছে। পরে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব-কমিটি সূত্রে জানা গেছে, এইচএসসি পরীক্ষা মূল্যায়নের জন্য একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি কাজ করবে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন অতিরিক্ত সচিব ওই কমিটির আহ্বায়কের দায়িত্ব পালন করবেন। আর সদস্য সচিব হিসেবে থাকবেন আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব-কমিটির সভাপতি ও ঢাকা মাধ্যমিক উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান।
এইচএসসি নিয়ে আরও খবর-
- এইচএসসির রেজিস্ট্রেশনের টাকাও ফেরত পাবে না শিক্ষার্থীরা
- ‘এইচএসসি হবে না এ বছর, মূল্যায়ন জেএসসি-এসএসসির ভিত্তিতে’
সূত্র জানিয়েছে, কমিটিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বুয়েট ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন করে প্রতিনিধি থাকবেন। তাদের সঙ্গে থাকবেন শিক্ষা অধিদফতরের একজন প্রতিনিধি এবং সদস্য হিসেবে আরও থাকবেন কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান। বিভাগ পরিববর্তনজনিত (যারা বিজ্ঞান থেকে মানবিক বা অন্য বিভাগ পরিবর্তন করেছে) কারণে যে জটিলতা তৈরি হতে পারে, সেটিও নিরসন করবে এই বিশেষজ্ঞ কমিটি।
শিক্ষা মন্ত্রী ডা. দীপু মনি সংবাদ সম্মেলনে জানান, জেএসসি ও এসএসসি এবং সমমান পরীক্ষার ফলাফল পর্যালোচরা করে এই কমিটি মতামত ও প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেবে। তার ভিত্তিতেই এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হবে শিক্ষার্থীরা।
আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব-কমিটির সূত্রের তথ্য, বিশেষজ্ঞ এই কমিটি আগামী নভেম্বর মাসে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার্থীদের বিষয়ে তাদের মতামত জানাবে। এরপর ডিসেম্বরে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ‘ফল’, তথা মূল্যায়নের ফলাফল প্রকাশ করা হবে।
এর আগে, ২০১৯ সালের উচ্চ মাধ্যমিক তথা এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় গড় পাসের হার ছিল ৭৩ দশমিক ৯৩ শতাংশ। সে হিসাবে মোট ১৩ লাখ ৩৬ হাজার ৬২৯ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছিল ৯ লাখ ৮৮ হাজার ১২৭ জন। সর্বোচ্চ ফল জিপিএ ৫ পেয়েছিল ৪৭ হাজার ২৮ জন শিক্ষার্থী। এবার পরীক্ষা বাতিল হওয়ায় গত বছরের অনুত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীরাও স্বয়ংক্রিভাবে পাস করে যাবে।
ফাইল ছবি