Tuesday 07 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘কোভিড-১৯ অভিঘাত: ৪ মাসে বেকার হয়েছিল ২০.৩৬ শতাংশ মানুষ’


৬ অক্টোবর ২০২০ ১৪:৫৮ | আপডেট: ৬ অক্টোবর ২০২০ ১৬:৪৫

ঢাকা: মার্চ মাসে দেশে কর্মহীনের শতকরা হার ছিল ২ দশমিক ৩ শতাংশ। করোনার কারণে দেশে লকডাউন থাকায় এপ্রিল-জুলাইয়ে (চার মাসে) এ হার বৃদ্ধি পেয়ে ২২ দশমিক ৩৯ শতাংশ হয়েছিল। অর্থাৎ চার মাসে নতুন করে বেকার হয় ২০ দশমিক ৩৬ শতাংশ মানুষ। তবে সেপ্টেম্বরে এই সংখ্যা কমে ৩ দশমিক ৭৫ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। বর্তমানে বাংলাদেশ একটি গতিশীল শ্রমবাজার বিদ্যমান রয়েছে, যা অত্যন্ত ইতিবাচক। বর্তমানে কোভিড-১৯ মহামারির অভিঘাত ধীরে ধীরে কেটে যাচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর ‘কোভিড-১৯ বাংলাদেশ: জীবিকার উপর অভিঘাত ধারণা জরিপ-২০২০’-এর প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। মঙ্গলবার (৬ অক্টোবর) একনেক বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সামনে প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করা হয়েছে।

একনেক শেষে ব্রিফিংয়ে প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে এই ব্রিফিং অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব ইয়ামিন চৌধুরী এবং বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) মহাপরিচালক মো. তাজুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘কোভিডের অভিঘাত সারা বিশ্বেরর মতো আমাদের দেশেও পড়েছে। এই প্রভাব কতটা পড়েছে তা বের করতেই প্রথমবারের মতো এই ধারণা জরিপ পরিচালনা করেছে বিবিএস। এটা একটি ভালো উদ্যোগ।’

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দিনমজুরের সংখ্যা ফের আগের সংখ্যার কাছাকাছি পৌঁছেছে। মার্চে ছিল ৮ শতাংশ, জুলাইয়ে ছিল ৪ শতাংশ এবং সেপ্টেম্বরে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ। তবে কৃষি পরিবারের সংখ্যা অপরিবর্তিত ছিল। মার্চ ছিল ১০ শতাংশ এবং জুলাইয়েও ১০ শতাংশ। করোনাকালীন লকডাউনে বেকারের সংখ্যা প্রায় ১০ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছিল। এখন তা আগের সংখ্যার কাছাকাছি পৌঁছেছে। মার্চে ছিল ২ দশমিক ৩ শতাংশ, জুলাইয়ে ছিল ২২ দশমিক ৩৯ শতাংশ এবং সেপ্টেম্বরে ৪ শতাংশ হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পরিবার (খানা) ভিত্তিক মাসিক আয় কমেছে ২০ দশমিক ২৪ শতাংশ। মার্চে যে পরিবার ১৯ হাজার ৪২৫ টাকা মাসিক আয় করতো সেই পরিবার গত আগস্ট মাসে আয় করেছে ১৫ হাজার ৪৯২ টাকা। এ সময়ের মধ্যে আয় কমেছে ৩ হাজার ৯৩৩ টাকা। চলমান কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে আনুমানিক ৫২ দশমিক ৫৮ শতাংশ পরিবার কোনো না কোনোভাবে তাদের খাদ্যদ্রব্য ভোগের পরিমাণ মার্চের তুলনায় কমিয়েছে। এদের মধ্যে দুই-তৃতীয়াংশ পরিবার মাসিক আয় কমার কারণে খাদ্যদ্রব্য ভোগের পরিমাণ কমিয়েছে।

বিজ্ঞাপন

এই জরিপের তথ্য-উপাত্ত পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, শতকরা প্রায় ৬৮ দশমিক ৩৯ শতাংশ পরিবার কোনো না কোনোভাবে কোভিড-১৯ এর অভিঘাত আর্থিক সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে। বিশেষ করে রিকশা-ভ্যানচালক ও দিনমজুররা অধিকমাত্রায় আর্থিক সংকটের সম্মুখীন হয়েছেন।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, করোনাকালীন আর্থিক সংকট মোকাবিলায় প্রায় ২১ দশমিক ৩৩ শতাংশ পরিবার সরকারি সহায়তা দিয়েছে। আর এই সরকারি ত্রাণের বেশিরভাগ পেয়েছে নিম্ন আয়ের পরিবারগুলো।

বিবিএস জানায়, দৈবচয়নের মাধ্যমে মোট ২ হাজার ৪০টি মোবাইল ফোন নম্বর নির্বাচন করে সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে গ্রামীণফেনের ৯৫০টি নম্বর থেকে ৫২৩ জনের সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়। রবি থেকে ৬৫০ জনের, বাংলালিংক থেকে ৪৩৭ জনের এবং টেলিটকের ৪৮টি নম্বরের মধ্যে ২১ জনের সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়েছে।

২০.৩৬ শতাংশ কোভিড-১৯ অভিঘাত চার মাসে বেকার প্রতিবেদন বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর