Thursday 09 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

এমসি কলেজে দলবদ্ধ ধর্ষণ: মাসুম-তারেকও ৫ দিনের রিমান্ডে


৩০ সেপ্টেম্বর ২০২০ ১৯:৩০ | আপডেট: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২০ ২২:১৯

সিলেট: মুরারীচাঁদ (এমসি) কলেজের ছাত্রাবাসে স্বামীকে আটকে রেখে স্ত্রীকে দলবদ্ধভাবে ধর্ষণের ঘটনায় দুই আসামি মাহফুজুর রহমান মাসুম ও তারেকুল ইসলাম তারেককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। এই মামলায় গ্রেফতার সব আসামিকেই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করা হলো।

বুধবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহপরান থানার পুলিশ পরিদর্শক ইন্দ্রনীল ভট্টাচার্য সিলেটের চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আবুল কাশেমের আদালতে হাজির করেন মাহফুজুর রহমান মাসুমকে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। শুনানি নিয়ে আদালত তার পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

বিজ্ঞাপন

পরে একই আদালতে একই তদন্ত কর্মকর্তা হাজির করেন আরেক আসামি তারেকুল ইসলাম তারেককে। তাকেও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। আদালত তারও পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

আরও পড়ুন- চুল-দাড়ি ফেলেও রক্ষা মিললো না!

সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের এসি (প্রসিকিউশন) অমূল্য কুমার চৌধুরী রিমান্ডের এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তারেকের রিমান্ডের মধ্য দিয়ে ধর্ষণ মামলাটির এজাহারভুক্ত ছয় আসামির প্রত্যেকেরই পাঁচ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর হলো।

এদিকে, রিমান্ড শুনানির সময় আসামির পক্ষে কোনো আইনজীবী শুনানিতে অংশ নেননি বলে জানান আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর মাহফুজুর রহমান। তিনি বলেন, বাদীপক্ষে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে শতাধিক আইনজীবী অংশ নিলেও আসমিপক্ষে কোনো আইনজীবী অংশ নেননি।

এর আগে, সোমবার রাতে যৌথ অভিযান চালিয়ে জৈন্তাপুর উপজেলার হরিপুর এলাকা থেকে মাসুমকে গ্রেফতার করে সিলেট জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ও কানাইঘাট থানা পুলিশ। আর মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এজাহারভুক্ত ২ নম্বর আসামি তারেককে র‌্যাব-৯ গ্রেফতার করে সুনামগঞ্জের দিরাই থেকে।

বিজ্ঞাপন

এর আগে, গত ২৫ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় এমসি কলেজে ঘুরতে আসা এক দম্পতিকে আটক করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা জোর করে ছাত্রাবাসে তুলে নিয়ে যান বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। জানা যায়, তারা স্বামীকে বেঁধে রেখে ওই তরুণীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করেন।

এ ঘটনায় ধর্ষণের শিকার তরুণীর স্বামী ওই দিন (শুক্রবার) রাতেই বাদী হয়ে শাহপরাণ থানায় মামলা দায়ের করেন। ছয় জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও দুই-তিন জনকে আসামি করা হয় মামলায়। তারা হলেন— এম সাইফুর রহমান, শাহ মাহবুবুর রহমান রনি, তারেক আহমদ, অর্জুন লস্কর, রবিউল ইসলাম ও মাহফুজুর রহমান মাসুম। তারা সবাই ছাত্রলীগের রাজনীতিতে যুক্ত। এর মধ্যে তারেক ও রবিউল বহিরাগত, বাকিরা এমসি কলেজের শিক্ষার্থী। এজাহারভুক্ত ছয় আসামির সবাই গ্রেফতার হয়ে রিমান্ডে রয়েছেন। এজাহারে উল্লেখ না থাকলেও এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে আরও দু’জনকে আটক করে এই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়েছে পুলিশ। তারাও দু’জনও রিমান্ডে আছেন।

আরও পড়ুন-

এমসি কলেজে ধর্ষণ ছাত্রাবাসে ধর্ষণ তারেকুল ইসলাম তারেক পাঁচ দিনের রিমান্ড মাহফুজুর রহমান মাসুম স্বামীকে আটকে রেখে ধর্ষণ

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর