‘বান্ধবীর’ পাহারায় তরুণী ধর্ষণের দায় স্বীকার মূল অভিযুক্তের
২৯ সেপ্টেম্বর ২০২০ ১৮:১০
চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম নগরীতে কথিত বান্ধবীর পাহারায় তরুণীকে ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া মূল অভিযুক্ত ব্যক্তি আদালতে দায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। জবানবন্দিতে ওই ব্যক্তি ধর্ষণের কথা স্বীকার করে তাকে সহযোগিতার জন্য আরও চারজনের নাম উল্লেখ করেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (২৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে চট্টগ্রামের মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট খায়রুল আমীনের আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে চান্দু মিয়া নামে ওই ব্যক্তি। সোমবার গভীর রাতে তাকে নগরীর পতেঙ্গায় এক আত্মীয়ের বাসায় আত্মগোপন থাকা অবস্থায় তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
এ সংক্রান্ত মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডবলমুরিং থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নুরুল ইসলাম সারাবাংলাকে বলেন, ‘মূল আসামি চান্দু মিয়া আদালতে ধর্ষণের দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছে। সে পুরো ঘটনা পরিষ্কারভাবে স্বীকার করেছে। তার জবানবন্দিতে আরও চারজনের নাম এসেছে। এর মধ্যে তিনজনকে আমরা আগেই গ্রেফতার করেছি। একজন পলাতক আছে। গ্রেফতারের স্বার্থে তার নাম-ঠিকানা আমরা এই মুহূর্তে প্রকাশ করছি না।’
মূল অভিযুক্ত চান্দু মিয়ার (৩৫) বাসা নগরীর ডবলমুরিং থানার সুপারিওয়ালাপাড়া এক নম্বর গলিতে। সে ওই থানায় কর্মরত অবস্থায় বরখাস্ত হওয়া উপ-পরিদর্শক (এসআই) হেলালের সোর্স হিসেবে এলাকায় পরিচিত ছিল বলে জানা গেছে।
রোববার রাতে চান্দু মিয়ার বাসায় আনুমানিক ২০ বছরের এক তরুণী ধর্ষণের শিকার হওয়ার অভিযোগে ডবলমুরিং থানায় মামলা হয়। এরপর পুলিশ অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেফতার করে। এরা হল-নুরী আক্তার (২০) ও তার স্বামী মো. অন্তর (২২) এবং রবিন হোসেন (২২) নামে আরেক যুবক।
পুলিশের বক্তব্য অনুযায়ী, চান্দু মিয়ার চারতলা বাড়িতে ভাড়া থাকেন নুরী ও তার স্বামী। নুরী আগে থেকে চান্দুকে অসামাজিক কাজে সহযোগিতা করে আসছিল।
আক্রান্ত তরুণী সপ্তাহখানেক আগে ফেনী থেকে নগরীর আগ্রাবাদে সিডিএ আবাসিক এলাকায় চাচার বাসায় বেড়াতে আসেন। তার চাচাতো বোনের বান্ধবী হল নুরী। সেই সুবাদে নুরীর সঙ্গেও ওই তরুণীর বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক হয়। রোববার সন্ধ্যায় নুরী ওই তরুণীকে তার বাসায় বেড়াতে নিয়ে যায়। রাত সাড়ে ৯টা থেকে সাড়ে ১০টার মধ্যে নুরী কৌশলে তাকে চান্দুর বাসায় পৌঁছে দেয়। বাইরে থেকে দরজা বন্ধ করে পাহারায় ছিল নুরী। চান্দু মেয়েটিকে ধর্ষণ করে।
ঘটনার পর নুরী ওই তরুণীকে তার চাচার বাসায় পৌঁছে দেয়। কিন্তু বিধ্বস্ত অবস্থা দেখে তরুণীকে বাসার লোকজন জিজ্ঞেস করলে তিনি সবকিছু খুলে বলেন। তখন তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে নেওয়া হয়। সেখান থেকে ডবলমুরিং থানায় খবর দেওয়া হয় ও পরে মামলা দায়ের হয়।