সৌদিতে কাজ করতে গিয়ে নির্যাতনে লাশ হয়ে দেশে
১৮ সেপ্টেম্বর ২০২০ ১১:২৩
ঢাকা: ১৪ বছরের কিশোরী উম্মে কুলসুমের বয়স ২৬ বছর দেখিয়ে পাসপোর্ট করে সৌদি আরবে পাঠায় একটি রিক্রুটিং এজেন্সি। কিন্তু মালিকের অমানুষিক শারীরিক নির্যাতনের কারণে লাশ হয়ে ফিরতে হলো কুলসুমকে। সৌদির একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় কুলসুম। শনিবার (১২ সেপ্টেম্বর) তার মরদেহ দেশে আসে।
এ ঘটনায় কুলসুমকে সৌদিতে পাঠানো এক রিক্রুটিং এজেন্সির দুইজনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব।
বৃহস্পতিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত রাজধানীর মতিঝিলের ফকিরাপুল এলাকায় এম এইচ ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল নামের একটি রিক্রুটিং এজেন্সিতে অভিযান পরিচালনা করে প্রতিষ্ঠানের মালিক মকবুল হোসেন ও তার সহযোগি মো. পারভেজ নামে দুজনকে গ্রেফতার করা হয়। র্যাব-৩ এর সহায়তায় অভিযান পরিচালনা করেন র্যাব সদর দফতরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার বসু।
পলাশ কুমার বসু সারাবাংলাকে বলেন, গত বছরের এপ্রিলে মকবুল ও তার সহযোগিরা বাক্ষ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরের ১৪ বছর বয়সী উম্মে কুলসুমকে উন্নত কাজের লোভ দেখিয়ে ২৬ বছরের বয়সী বলে পাসপোর্ট তৈরি করে সৌদিতে পাঠায়। সৌদিতে ২৫ বছরের নিচে কর্মী পাঠানো যায় না। তাই কুলসুমকে প্রাপ্তবয়স্ক দেখিয়ে পাঠানো হয় সেই দেশে। কিন্তু সেখানে কুলসুম মালিকের নির্যাতনের শিকার হয়ে হাসপাতালে ১৭ আগস্ট মারা যায়। ১২ সেপ্টেম্বর দেশে আসে তার মরদেহ।
তিনি বলেন, গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহের পর বিষয়টি জানতে পারি- এই ঘটনার পেছনে এম এইচ ইন্টারন্যাশনাল নামের একটি রিক্রুটিং এজেন্সি জড়িত। পরে অভিযান চালিয়ে ওই এজেন্সির মালিক ও তার সহযোগিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারের পর এজেন্সির মালিক মকবুল বয়স বাড়িয়ে পাসপোর্ট করা এবং বিদেশে কাজের তথ্য গোপন করে প্রলোভন দেখিয়ে কুলসুমকে পাঠানোর কথা স্বীকার করেছে। মকবুলের বিরুদ্ধে মানবপাচার আইনে মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে বলে জানান তিনি।