এনআইডি জালিয়াতি তদন্তে ইসির কমিটি গঠন
১৪ সেপ্টেম্বর ২০২০ ১৮:৩৬
ঢাকা: জাল এনআইডি তৈরি করে ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়ার ঘটনা তদন্ত করতে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করেছে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগ। এছাড়াও মিথ্যা তথ্য দিয়ে এনআইডি বানানো হয়েছে- এমন সন্দেহজনক ১৭টি এনআইডি সাময়িকভাবে ব্লক করা হয়েছে।
সোমবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের প্রকল্প পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাইদুল ইসলাম নেতৃত্বে এক জরুরি বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়। বৈঠকে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগ এবং আইডিইএ প্রকল্পের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। ইসির কমিউনিকেশন আইডিইএ প্রকল্পের ইনচার্জ স্কোয়াড্রন লিডার কাজী আশিকুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘গুলশান ও সবুজবাগ থানা নির্বাচন অফিসের ডাটা এন্ট্রি অপারেটরের জাল এনআইডি তৈরি এবং সেই এনআইডির মাধ্যমে ব্যাংক থেকে লোন নেওয়ার ঘটনা তদন্তে পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। এনআইডি উইংয়ের অপারেশন শাখা, আইটি বিভাগ এবং প্রোজেক্টের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে এই কমিটি গঠন করা হয়। কমিটিকে আগামী চার কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’
স্কোয়াড্রন লিডার কাজী আশিকুজ্জামান বলেন, ‘মিথ্যা তথ্য দিয়ে জাতীয় পরিচয়পত্র বানানো হয়েছে সন্দেহজনক এমন ১৭টি এনআইডি সাময়িকভাবে ব্লক করা হয়েছে। এসব অনিযমের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন সাপেক্ষে পরবর্তী কার্যক্রম নেওয়া হবে।’
এদিকে ইসি সূত্র জানায়, ‘মঙ্গলবার থেকে রাজধানী ঢাকার প্রতিটি থানা নির্বাচন অফিসে জাতীয় পরিচয় সংক্রান্ত সেবা প্রদান কার্যক্রম পর্যবেক্ষণে সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করা হবে। পর্যায়ক্রমে এই শুদ্ধি অভিযান দেশব্যাপী পরিচালনা করা হবে।’
এর আগে জাল এনআইডি তৈরির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে গোয়েন্দা পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয় সবুজবাগ ও গুলশান থানা নির্বাচন অফিসে আউটসোর্স ডাটা এন্ট্রি অপারেটর সিদ্ধার্থ শঙ্কর সূত্রধর ও আনোয়ারুল ইসলাম। রোববার (১৩ সেপ্টেম্বর) তাদের সাময়িকভাবে অব্যাহতি দেওয়া করা হয়েছে। তদন্তে দোষী সাব্যস্ত হলে প্রকল্পের এই দুই ডাটা এন্ট্রি অপারেটরকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে বলে জানা গেছে।