স্কুল-কলেজ খোলার সিদ্ধান্ত নেবে মন্ত্রণালয়
১৪ সেপ্টেম্বর ২০২০ ১৪:৫৪ | আপডেট: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২০ ১৭:৩৪
ঢাকা: শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত নেবে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।
সোমবার (১৪ সেপ্টেম্বর) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার ভার্চুয়াল বৈঠকে হয়। বৈঠক শেষে দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে গত ১৭ মার্চ থেকে সারাদেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামী ৩ অক্টোবর পর্যন্ত সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা আছে। এরই মধ্যে এ বছরে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী (পিইসি) ও জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষা (জেএসসি) বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে। উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা আয়োজনের কোনো সুনির্দিষ্ট তারিখ এখনো জানাতে পারেনি শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রিপরিষদ বৈঠকের পর এ বিষয়ে মন্ত্রিরিষদ সচিবের কাছে জানতে চান গণমাধ্যমকর্মীরা। জবাবে সচিব বলেন, ‘কেন্দ্রীয়ভাবে নয়, নিজ নিজ মন্ত্রণালয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।’
বৈঠকে স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) আইন, ২০২০ এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদনও দিয়েছে মন্ত্রিসভা। এ বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘আগে ছয়মাস আগে নির্বাচন করতে হতো। তখন শপথে অনেকদিন অপেক্ষা করতে হয়। আইনটি পাস হলে নির্বাচন তিন মাস আগে হবে। শপথ নেওয়ার পর নির্বাচিতরা ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে দায়িত্ব নেবেন। সিটি নির্বাচনে নির্বাচিত প্রতিনিধিরা বছরে তিন মাসের বদলে এক মাস ছুটি পাবেন।’
আইনের পরিবর্তন বিষয়ে ব্যাখ্যা দিয়ে খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, দেখা গেছে বর্তমান সিটি করপোরেশন আইন অনুযায়ী কাজ করতে গেলে কিছু অসুবিধা হয়। বর্তমান আইন অনুযায়ী সিটি করপোরেশনের নির্বাচিতদের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগের ছয় মাস বা ১৮০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করতে হয়। আবার বলা হয়েছে, মেয়র ও কাউন্সিলররা দায়িত্বভার গ্রহণের পর যেদিন প্রথম মিটিং করবেন, সেই দিন থেকে পাঁচ বছর পর্যন্ত তাদের মেয়াদ থাকবে।
সচিব বলেন, এ অবস্থায় নির্বাচিতদের মেয়াদ শেষ হওয়ার চার-পাঁচ মাস আগে নির্বাচন হয়ে গেলে দেখা যায় আগের পরিষদের মেয়াদ শেষ না হওয়ায় নবনির্বাচিতরা শপথ নিলেও দায়িত্ব নিতে অপেক্ষা করতে হয়। এ কারণে মেয়াদ শেষ হওয়ার আগের তিন মাসের মধ্যে নির্বাচন আয়োজন করতে বলা হয়েছে সংশোধনীতে। আর যেদিন নবনির্বাচিতদের শপথ হবে, তার পরবর্তী ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে তাদের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করা হবে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, বৈঠকে বাংলাদেশ বিমান করপোরেশন আইনের খসড়ার নীতিগত অনুমোদন করেছে মন্ত্রিসভা। এছাড়াও ড্রোন নিবন্ধন ও উড্ডয়ন নীতিমান এর খসড়া অনুমোদন করেছে মন্ত্রিসভা। বিনোদনের জন্য (৫ কেজির নীচের ড্রোন) ও রাষ্ট্রীয় ও সামরিক কাজে ড্রোন ব্যবহারে অনুমোদন নিতে হবে না। তবে বাণিজ্যক কাজে ব্যবহারের জন্য ৫ কেজির ওপরে যেকোনো ড্রোন ব্যবহারের জন্য সিভিল এভিয়েশন ও কেপিআই কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নিতে হবে বলেও জানান তিনি।