সাবরিনার আইনজীবীদের নথি দিতে হাইকোর্টের নির্দেশ
১৪ সেপ্টেম্বর ২০২০ ১৩:৫২ | আপডেট: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২০ ১৪:৫৯
ঢাকা: করোনা পরীক্ষায় মনগড়া রিপোর্ট দেওয়ার অভিযোগের মামলায় চার্জশিটের সঙ্গে যুক্ত থাকা নথি ডা. সাবরিনা শারমিন হোসেনের আইনজীবীদের দিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
সোমবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী সাইফুজ্জামান তুহিন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সারওয়ার হোসেন বাপ্পী।
আইনজীবী সাইফুজ্জামান তুহিন বলেন, ‘এ মামলার মূল অভিযোগ হলো করোনা পরীক্ষার ভুয়া রিপোর্ট। যে ভুয়া রিপোর্টের ভিত্তিতে অভিযোগ গঠন হয়েছে, আমরা সেই নথিগুলো চেয়ে আবেদন করেছিলাম। কিন্তু নিম্ন আদালত সেটি খারিজ করে দিয়েছেন। পরে নথি দেওয়ার নির্দেশনা চেয়ে উচ্চ আদালতে আবেদন করা হয়। আদালত চার্জশিটে যুক্ত থাকা নথি দেখতে দিতে এবং সরবরাহের নির্দেশ দিয়েছেন।’
এ মামলায় নিম্ন আদালতে জেকেজির ডা. সাবরিনা, তার স্বামী ও প্রতিষ্ঠানটির সিইও আরিফুল হক চৌধুরীসহ আটজনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ পর্যায়ে রয়েছে।
গত ২০ আগস্ট আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন আবু সাঈদ চৌধুরী, হুমায়ূন কবির হিমু, তানজিলা পাটোয়ারী, বিপ্লব দাস, শফিকুল ইসলাম রোমিও ও জেবুন্নেসা। সাক্ষ্যগ্রহণর জন্য আসামিদের কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়।
গত ৫ আগস্ট তাদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক লিয়াকত আলী। অভিযোগপত্রটি দেখার পর মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জুলফিকার হায়াত তা বিচারের জন্য বদলির আদেশ দেন। এরপর বিচারের জন্য মামলাটি ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সারাফুজ্জামান আনসারীর আদালতে আসে।
মামলার অভিযোগপত্রে সাবরিনা ও আরিফুলকে জালিয়াতি, প্রতারণার মূল হোতা এবং বাকি ছয়জনকে অপরাধে সহায়তাকারী হিসেবে উল্লেখ করা হয়।
গত ১২ জুলাই সাবরিনাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তেজগাঁও বিভাগীয় উপ-পুলিশ (ডিসি) কার্যালয়ে আনা হয়। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন জেকেজির প্রতারণা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও ডিসিসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি সদুত্তর দিতে না পারায় তাকে তেজগাঁও থানায় আগেই আরিফুলের বিরুদ্ধে হওয়া মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়।
পরদিন গত ১৩ জুলাই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিনদিনের রিমান্ডে পাঠান আদালত। সাবরিনার রিমান্ড চলাকালেই গত ১৫ জুলাই কারাগারে থাকা তার স্বামী আরিফুলকে চারদিনের রিমান্ডে পাঠানো হয়। এরমধ্যে গত ১৭ জুলাই সাবরিনাকে ফের দু’দিনের রিমান্ডে পাঠান আদালত। রিমান্ডে নিয়ে দু’জনকে মুখোমুখি জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়।
গত ২৩ জুন করোনার ভুয়া সনদ দেওয়া, জালিয়াতি ও প্রতারণার অভিযোগে আরিফুলসহ ছয়জনকে গ্রেফতার করে তেজগাঁও থানা পুলিশ।