সিনহা হত্যা: কক্সবাজারের এসপিকে আসামি করার আবেদন খারিজ
১০ সেপ্টেম্বর ২০২০ ২১:৫৫ | আপডেট: ১১ সেপ্টেম্বর ২০২০ ১২:৩০
কক্সবাজার: সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলায় কক্সবাজারের পুলিশ সুপার এ বি এম মাসুদ হোসেনকে আসামি করার আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (১০ সেপ্টেম্বর) এ বিষয়ে আবেদন করেছিলেন মামলার বাদী শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস। কিন্তু জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম তামান্না ফারাহ শুনানি শেষে আবেদনটি খারিজ করে দেন।
বাদীপক্ষের আইনজীবী মো. মোস্তফা জানান, মেজর সিনহা হত্যা মামলার আসামি হিসেবে পুলিশ সুপার এ বি এম মাসুদ হোসেনকে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য বাদী ফৌজদারি আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিকেলে দেওয়া আদেশে আবেদনটি খারিজ করা হয়।
তিনি আরও আইনজীবী জানান, তাদের আবেদনে এসপি মাসুদ হোসেনের বিরুদ্ধে ১০টি অভিযোগ আনা হয়েছিল। এসব অভিযোগের মধ্যে রয়েছে সিনহা হত্যা মামলার তদন্ত কাজে পুলিশ সুপার ব্যাঘাত সৃষ্টি করে চলেছেন। সিনহা হত্যা মামলার আসামি বরখাস্তকৃত ওসি প্রদীপ ও পরিদর্শক লিয়াকতকে কারাগারে ডিভিশন দেওয়ার জন্য চিঠি দিয়েছেন তিনি। এছাড়া আসামিদের বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করতে এসপি তার দাপ্তরিক কার্যক্ষমতা কাজে লাগাচ্ছেন।
এর আগে, বেলা সোয়া ১২টার দিকে আদালত চত্বরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন মামলার বাদী সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস। তিনি বলেন, ‘আমার ভাইকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় মামলা দায়েরের পর পুলিশ সুপার মাসুদ হোসেন ঘটনাটিকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে নানা কৌশল নিচ্ছেন। ভিকটিম সিনহার বিরুদ্ধে অশ্রদ্ধা ও মানহানিকর প্রতিক্রিয়া করে চলেছেন। আসামিদের মামলার দায় থেকে অব্যাহতি প্রদানের জন্য পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন।’
শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস বলেন, ‘এসপি এ বি এম মাসুদ হোসেন ঘটনার শুরু থেকেই আসামিদের পরোক্ষ ও প্রত্যক্ষভাবে সহযোগিতা করে যাচ্ছে। উনি ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন। মেজর সিনহার মানহানি করেছেন। ওই সময় তিনি গণমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, মেজর সিনহার গাড়িতে তিনি ইয়াবা ও মাদকদ্রব্য পেয়েছিলেন। একজন পুলিশ সুপার হিসেবে তিনি এটি বলতে পারেন না। এ ছাড়া তিনি তদন্তকাজে প্রতিনিয়ত বাধার সৃষ্টি করে চলেছেন।’
গত ৩১ জুলাই রাতে টেকনাফ থেকে কক্সবাজারের ফেরার পথে বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান। এরপর গত ৫ আগস্ট টেকনাফ থানার পরিদর্শক লিয়াকত, ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ ৯ জনকে আসামি করে কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন সিনহার বোন শারমিন।
এ মামলায় এ পর্যন্ত ১৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন
সিনহা হত্যা: কক্সবাজারের এসপিকে আসামি করার আবেদন খারিজ
গণমাধ্যমে সিনহা হত্যা মামলার তথ্য প্রকাশে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে রিট
‘সিনহা হত্যার তদন্ত প্রতিবেদন কীভাবে গণমাধ্যমে— খুঁজে বের করব’
সিনহা হত্যায় ৮০ পৃষ্ঠার প্রতিবেদন জমা দিয়েছে তদন্ত কমিটি
সিনহা হত্যা পরিকল্পিত নাকি তাৎক্ষণিক— জবাব তদন্ত প্রতিবেদনে
‘সিনহা হত্যা নিয়ে অনেকে বিশেষ সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা করেছিল’