এনামুল বাছিরকে কেন জামিন নয়: হাইকোর্ট
১০ সেপ্টেম্বর ২০২০ ১৪:৪৭
ঢাকা: ঘুষ লেনদেনের মামলায় দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সাময়িক বরখাস্তকৃত পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছিরকে কেন জামিন দেওয়া হবে না— তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। আগামী ৩ সপ্তাহের মধ্যে সরকারকে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১০ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। আদালতে এনামুল বাছিরের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল ও অ্যাডভোকেট জাহিদুল আলম। নিম্ন আদালতে জামিন চেয়ে ব্যর্থ হয়ে তিনি হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন।
২০১৯ সালের ২৩ জুলাই ঘুষ লেনদেনের মামলায় দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সাময়িক বরখাস্ত পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছিরের জামিন নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠায় নিম্ন আদালত। ঢাকার জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালতের বিচারক কে এম ইমরুল কায়েশ এই আদেশ দেন।
গত বছরের ২২ জুলাই রাতে রাজধানীর দারুস সালাম এলাকার একটি বাসা থেকে এনামুল বাছিরকে গ্রেফতার করে দুদক পরিচালক ফানাফিল্লাহর নেতৃত্বে একটি দল। তার আগে ১৭ জুলাই ডিআইজি মিজান ও এনামুল বাছিরকে আসামি করে মামলা করে দুদক।
মামলার এজাহারে বলা হয়, খন্দকার এনামুল বাছির কমিশনের দায়িত্ব পালনকালে অসৎ উদ্দেশ্যে নিজে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার আশায় ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন। অভিযোগ-সংশ্লিষ্ট ডিআইজি মিজানুর রহমানকে অবৈধ সুযোগ দেওয়ার উদ্দেশ্যে ডিআইজি মিজানের অবৈধভাবে অর্জিত ৪০ লাখ টাকা ঘুষ হিসেবে নিয়েছেন। ঘুষের ওই টাকার অবস্থান গোপন করেছেন। এর মাধ্যমে তিনি দণ্ডবিধির ১৬১ ধারা তৎসহ দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭-এর ৫(২) ধারা এবং মানি লন্ডারিং আইন ২০১২-এর ৪(২) (৩) ধারায় অপরাধ করেছেন। একইভাবে ডিআইজি মো. মিজানুর রহমান সরকারি কর্মকর্তা হয়েও তার বিরুদ্ধে ওঠা অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ থেকে অব্যাহতি পাওয়ার আশায় অর্থাৎ অনুসন্ধানের ফলাফল নিজের পক্ষে নেয়ার অসৎ উদ্দেশ্যে খন্দকার এনামুল বাছিরকে অবৈধভাবে প্রভাবিত করেছেন। এ জন্য ৪০ লাখ টাকা ঘুষ দিয়ে পরস্পর যোগসাজশে দণ্ডবিধির ১৬৫(ক) ধারাসহ দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭-এর ৫(২) ধারা এবং মানি লন্ডারিং আইন ২০১২-এর ৪(২) (৩) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।