অতিরিক্ত হোল্ডিং ট্যাক্স কেন অবৈধ নয়
১০ ডিসেম্বর ২০১৭ ১৫:৫২ | আপডেট: ১৭ মার্চ ২০১৮ ১৫:৩৯
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
ঢাকা: ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন এলাকায় মডেল ট্যাক্সের অতিরিক্ত হোল্ডিং ট্যাক্স আদায় কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
এ ট্যাক্স আদায়ের জন্য বিভিন্ন সময়ে জারি করা নোটিশের কার্যকারিতা স্থগিত করেছেন আদালত। একই সঙ্গে এসব নোটিশ কেন বাতিল ও বেআইনী ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চাওয়া হয়েছে।
রাজধানীর খিলগাঁও এলাকার এক’শ চারজন বাসিন্দার করা এক রিট আবেদনের ওপর প্রাথমিক শুনানি শেষে রোববার বিচারপতি তারিক উল হাকিম ও বিচারপতি এম ফারুকের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে স্থানীয় সরকার সচিব, ডিএসসিসি মেয়র, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাসহ ৫ জনকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে আবেদনকারি পক্ষে আইনজীবী ছিলেন ব্যারিস্টার মো. মোক্তাদির রহমান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আমাতুল করিম।
মিউনিসিপ্যাল করপোরেশন (ট্যাক্সেশন) রুলস-১৯৮৬ অনুসারে পৌর কর্তৃপক্ষ শতকরা ৫ থেকে ১০ ভাগের চেয়ে বেশি কর আরোপ করতে পারবে না।
এ রুলস এর অধীনে ২০১৫ সালে একটি গেজেট প্রকাশ করে সরকার। ওই গেজেটে ইমারত ও জমির উপর শতকরা ৭ ভাগ, ময়লা নিষ্কাশন বাবদ শতকরা ৭ ভাগ, সড়ক বাতি বাবদ শতকরা ৫ ভাগ, পানি বাবদ শতকরা ৩ ভাগ এবং স্বাস্থ্য খাতে শতকরা ৮ ভাগ ট্যাক্স নির্ধারণ করা হয়। সবমিলে শতকরা ৩০ ভাগ ট্যাক্স নির্ধারণ করা হয়।
আইনজীবী মো. মোক্তাদির রহমান জানান, আইন অনুযায়ী প্রতিটি এলাকার বাড়ি ভাড়া নির্ধারণ করার পর তার বার্ষিক মূল্যায়নের ওপর ভিত্তি করে ওই ৫টি খাতে ট্যাক্স নির্ধারণ করতে হবে।
করপোরেশন আইন বহির্ভূতভাবে বিভিন্ন সময়ে ক্রমান্বয়ে তিনটি খাতে (ইমারত ও জমি, ময়লা নিষ্কাশন এবং সড়ক বাতি) হোল্ডিং ট্যাক্স বাড়িয়ে কোনো কোনো ক্ষেত্রে ৩২০ ভাগ থেকে ৯৭৬ ভাগ পর্যন্ত বাড়তি আদায় করছে।
তিনি আরও বলেন, আইন অনুযায়ী প্রতি ৫ বছর পরপর বাড়ি ভাড়া মূল্যায়ন করার কথা। কিন্তু তা করছে না কর্তৃপক্ষ। আইনের বাইরে যেয়ে হোল্ডিং ট্যাক্স বাড়িয়ে পর্যায়ক্রমে যেসব নোটিশ জারি করেছে তা চ্যালেঞ্জ করা হয়।
আদালত এ নোটিশ কেন আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন। ট্যাক্স আদায়ের জন্য রিট আবেদনকারীদের বিষয়ে বিভিন্ন সময়ে জারি করা নোটিশের কার্যকারিতা স্থগিত করেছেন আদালত।
সারাবাংলা/এজেডকে/এমআই