মসজিদে বিস্ফোরণের কারণ বের করার নির্দেশ দিয়েছি: প্রধানমন্ত্রী
৬ সেপ্টেম্বর ২০২০ ১৫:১৯ | আপডেট: ৭ সেপ্টেম্বর ২০২০ ২০:১৩
ঢাকা: নারায়ণগঞ্জের তল্লা এলাকায় মসজিদে এসি বিস্ফোরণে ঘটে যাওয়া ঘটনার কারণ খুঁজে বের করতে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, বিদ্যুৎ বিভাগ ও গ্যাস কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানালেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, আমি ক্যাবিনেট সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছি এর কারণ খুঁজে বের করতে।
রোবাবার (৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে একাদশ জাতীয় সংসদের নবম অধিবেশনে সাহার খাতুন ও ইসরাফিল আলমের ওপর আনীত শোক প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে সংসদ নেতা এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জের যে ঘটনা ঘটেছে মসজিদে যে বিস্ফোরণটা ঘটল এটি অত্যন্ত দুঃখজনক। এরইমধ্যে তদন্ত কমিটি সেখানে গেছে। বিস্ফোরক বিশেষজ্ঞরা সেখানে গেছে নমুনা সংগ্রহ করছে। এ ঘটনা কেন ঘটল কীভাবে ঘটছে সে ব্যাপারে তদন্ত হচ্ছে। সেটি অবশ্যই বের হবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যখনই এ ধরনের ঘটনা ঘটে সঙ্গে সঙ্গে আমাদের বার্ন ইনস্টিটিউটের ডা. সামন্ত লালও মেসেজ পাঠিয়েছে। সার্বক্ষণিক মেসেজ পাঠাচ্ছে এবং রোগীর অবস্থা জানাচ্ছে। অনেকেই মারা গেছে, বাকি যারা বেশির ভাগই তাদের পোড়ার অবস্থা এতো খারাপ তারপরেও চিকিৎসার সব রকম ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এটি খুবই দুঃখজনক নামাজ পড়া অবস্থায় মসজিদে বিস্ফোরণ হলো।’
তিনি বলেন, ‘ওইটুক জায়গায় ৬টা এসি লাগানো। আবার খবর পাচ্ছি সেখানে গ্যাস লাইনের উপরেই নাকি মসজিদটা নির্মাণ। সাধারণত যেখানে গ্যাসের পাইপ লাইন থাকে সেখানে নির্মাণ কাজ হয় না। জানি না রাজউক অনুমতি দিয়েছে কি না, এখানে অনুমতি তো দিতে পারে না। দেওয়া উচিত না। এটা সব সময় একটা আশঙ্কাজনক থাকে। সেটাই তদন্ত করে দেখা হবে যে কীভাবে হলো।’
তিনি আরো বলেন, ‘এখন মসজিদে সবাই দান করে। এসি দিয়ে যাচ্ছে। বিদ্যুৎ সরবরাহটা কতটা নিতে পারবে সেই ক্যাপাসিটি ছিল কি না সার্কিট বেকার ছিল কি না সব বিষয়গুলো দেখতে হবে। অপরিকল্পিতভাবে কিছু করতে গেলে তার একটা দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। আমি মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে বলেছি বিদ্যুৎ এবং গ্যাস সংশ্লিষ্টদের প্রত্যেককে নির্দেশ দিয়েছি যে কারণ খুজে বের করা।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সারা বাংলাশের মসজিদগুলোতে অপরিকল্পতিভাবে এসি লাগাচ্ছেন বা যেখানে সেখানে একটা মসজিদ গড়ে তুলছেন সেখানে আদৌ মসজিদ করবার জায়গা কি না বা যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নেওয়া বা সেখানে নকশা করা হয়েছে কিনা সেগুলো দেখা একান্ত প্রয়োজন। দুর্ঘটনা সত্যি খুব দুঃখজনক। যারা মৃত্যুবরণ করেছে মাগফেরাত কামনা করি। আহতের দ্রুত আরোগ্য লাভ কামনা করছি।’
উল্লেখ্য, শুক্রবার রাতে নারায়ণগঞ্জে এশার নামাজের সময় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে ৩৭ জন দগ্ধ হন। পাশাপাশি বেশ কয়েকজন মুসল্লি আহত হন। রোববার (৬ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত ২৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।