ময়নাতদন্ত ছাড়াই নিহতদের পরিবারে মরদেহ হস্তান্তর: পুলিশ সুপার
৫ সেপ্টেম্বর ২০২০ ১৪:৪৪
নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জে মসজিদে এসি বিস্ফোরণের ঘটনায় নিহতদের মরদেহ ময়নাতদন্ত ছাড়াই পরিবারের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে। তবে এক্ষেত্রে পরিবারের আবেদন করতে হবে। যদি নিহতের পরিবারের কারও আপত্তি থাকে সেক্ষেত্রে মরদেহের ময়নাতদন্ত করা হবে।
শনিবার (০৫ সেপ্টেম্বর) বেলা পৌনে ১২ টার দিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে আহত-নিহতদের দেখতে এসব কথা বলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মো. জায়েদুল আলম।
তিনি বলেন, নিহতদের মরদেহ তাদের বাড়িতে পৌঁছে দেয়া হবে। নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসন ও পুলিশ মিলে এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার যেভাবে চাইবে আমরা সেভাবেই মরদেহ হস্তান্তর করবো। নিহতদের মরদেহ শাহবাগ থানা পুলিশের মাধ্যমে হস্তান্তর করা হবে।
তিনি আরও বলেন, ঘটনাস্থল আমরা পরিদর্শন করেছি। এসি বিস্ফোরণে এই ঘটনাটি ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। তবে সেখানে তিতাস গ্যাস লাইন ছিল। মসজিদে মোট ৬ টি এসি ছিল, সবগুলো বিস্ফোরিত হয়। এতে মসজিদের সবগুলো কাঁচের জানালা ভেঙে যায়। আগুনে মসজিদের সিলিং ফ্যানগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
আহত ও নিহতদের সহায়তার জন্য নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে একটি হেল্প ডেস্ক খোলা হয়েছে। আমরা গত রাত থেকেই তাদের সহায়তা দিচ্ছি। এই ঘটনায় ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। যারা আহত হয়েছেন, তাদের অবস্থাও আশঙ্কাজনক রয়েছে বলেও জানান তিনি।
তিনি বলেন, ঘটনার তদন্তে ৫ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। ওই কমিটিতে জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ), তিতাস গ্যাস, বিদ্যুৎ বিভাগের ইঞ্জিনিয়ার, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ১ জন স্টেশন অফিসার রয়েছেন। মসজিদে কী কারণে এসি বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটলো সেটি খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে। এদিকে মসজিদের নিচে তিতাস গ্যাসের লাইন রয়েছে, যা টাইলস দিয়ে ঢাকা ছিল। এই মুহূর্তে বিস্ফোরণের সঠিক কারণ বলা যাচ্ছে না।
এই ঘটনায় ৩০৪ ধারায় একটি মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানান তিনি।