করোনা রোগী নেই, চট্টগ্রামে ফিল্ড হাসপাতাল বন্ধ
৩১ আগস্ট ২০২০ ১৯:৫৬ | আপডেট: ৩১ আগস্ট ২০২০ ২৩:৫৭
চট্টগ্রাম ব্যুরো: করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের চিকিৎসায় তৈরি চট্টগ্রামের প্রথম ফিল্ড হাসপাতালের কার্যক্রম সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। গত ১৫ দিন ধরে রোগীশূন্য থাকার পর হাসপাতালের কার্যক্রম সাময়িকভাবে বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে এর উদ্যোক্তা ডা. বিদ্যুৎ বড়ুয়া জানিয়েছেন। তবে একইস্থানে একটি স্থায়ী হাসপাতাল তৈরির উদ্যোগ নেওয়ার কথাও জানিয়েছেন তিনি।
দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শুরুর পর যখন চিকিৎসা নিয়ে হাহাকার শুরু হয়েছিল তখন মাত্র ১৬ দিনে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার ফৌজদারহাটে ৬০ শয্যার এই হাসপাতালটি তৈরি করা হয়। আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের শিক্ষক বিদ্যুৎ বড়ুয়া নাভানা গ্রুপের সহায়তায় এবং একদল তরুণ-যুবকের স্বেচ্ছাশ্রমে হাসপাতালটি তৈরি করে ২১ এপ্রিল থেকে সেটি চালু করেন। সেখানে এতদিন স্বেচ্ছাশ্রমে কাজ করছেন ডাক্তার-নার্সসহ ওই তরুণ-যুবকরাই।
বিদ্যুৎ বড়ুয়া সারাবাংলাকে জানিয়েছেন, জনগণের দেয়া অর্থে পরিচালিত এ হাসপাতালের আউটডোর ও ইনডোরে গত চারমাসে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও উপসর্গ আছেন এমন ১৬১২ জন রোগীকে চিকিৎসাসেবা দেওয়া হয়। গত চারমাস ১০দিনে ফিল্ড হাসপাতালে চিকিৎসক, নার্স ও স্বেচ্ছাসেবক মিলিয়ে ৩৫ জন নিয়মিত সেবা দিয়ে গেছেন।
‘গত ১৫ দিন ধরে আউটডোরে দু’য়েকজন চিকিৎসা নিতে এলেও ইনডোরে কোনো রোগী ছিল না। অনুদানের পরিমাণও কমে গেছে। স্বেচ্ছাসেবকদের অনেকেই শিক্ষার্থী। তাদেরও আর আটকে রাখাটা সমীচীন হচ্ছে না। এজন্য আপাতত এর কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। তবে প্রয়োজনে যে কোনোসময় চালু করা যাবে’— মন্তব্য বিদ্যুৎ বড়ুয়ার।
একইস্থানে একটি স্থায়ী হাসপাতাল গড়ে তোলার পরিকল্পনার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করছি একটা স্থায়ী হাসপাতাল করার। পরিকল্পনা করেছি। কিন্তু একটা খরচের ব্যাপার আছে। অবকাঠামোগত অনেক কাজ করতে হবে। ইক্যুইপমেন্ট কিনতে হবে। চেষ্টা করছি।’
জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘন্টায় চট্টগ্রাম জেলায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৭২জন। জেলায় এ ভাইরাসে আক্রান্তের মোট সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৭ হাজার ৫২ জনে। সুস্থ হয়েছেন মোট ১২ হাজার ৬৪৪ জন রোগী।
চট্টগ্রামে ৩ এপ্রিল সর্বপ্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তি শনাক্ত হয়।