‘দলবদ্ধ ধর্ষণের’ শিকার নারী, ৯৯৯ নম্বরে ফোন দিলে গ্রেফতার ৪
৩০ আগস্ট ২০২০ ১৭:৩৭ | আপডেট: ৩০ আগস্ট ২০২০ ১৭:৪২
চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম নগরীতে স্বামীকে একটি অটোরিকশার ভেতরে বেঁধে রেখে স্ত্রীকে একটি বাসায় নিয়ে পাঁচ জন মিলে ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্ত্রীকে রক্ষার আকুতি জানিয়ে স্বামী কৌশলে পুলিশের হটলাইন নম্বর-৯৯৯-এ ফোন দেন। পুলিশ গিয়ে চার জনকে গ্রেফতার করেছে।
শনিবার (২৯ আগস্ট) গভীর রাতে নগরীর বায়েজিদ বোস্তামি থানার থানার মধ্যম শহীদ নগর এলাকার সালমা কলোনির একটি বাসা থেকে ওই গৃহবধূকে উদ্ধার এবং ওই এলাকা থেকে চার জনকে গ্রেফতার করা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ।
গ্রেফতার চার জন হলেন— মো. বাদশা মিয়া (৩৬), মো. জাবেদ (২৮), মো. রবিন (১৯) ও মো. ইব্রাহীম (৩০)।
নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি-উত্তর) আশিকুর রহমান সারাবাংলাকে জানান, ওই দম্পতি শনিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে দাওয়াত খেয়ে ওয়াপদা গেট থেকে বাসায় ফিরছিলেন। অক্সিজেন মোড়ে আলপনা কমিউনিটি সেন্টারের সামনে পুলিশের সোর্স পরিচয় দিয়ে শফি নামে এক যুবক তাদের পথরোধ করে পরিচয় জানতে চায়। তারা নিজেদের স্বামী-স্ত্রী বলে পরিচয় দেন। কিন্তু শফি তাতে সন্দেহ প্রকাশ করে আরও চার জনকে সেখানে ডেকে আনে।
‘পাঁচ জন মিলে দম্পতিকে জোরপূর্বক গ্রেফতার বাদশার অটোরিকশায় তুলে নেয়। তাদের সালমা কলোনির কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে স্বামীকে অটোরিকশার ভেতরে বেঁধে রাখা হয়। গৃহবধূকে সালমা কলোনিতে একটি বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়। একজন অটোরিকশার ভেতরে বসে স্বামীকে পাহারা দিচ্ছিল,’— বলেন এডিসি আশিকুর রহমান।
নগর পুলিশের বায়েজিদ বোস্তামি জোনের সহকারী কমিশনার পরিত্রাণ তালুকদার সারাবাংলাকে বলেন, ‘গৃহবধূ অভিযোগ করেছেন, সালমা কলোনির বাসায় তাকে আটকে পাঁচ জন মিলে ধর্ষণ করেছে। অটোরিকশার ভেতরে জিম্মি অবস্থায় থাকা স্বামী কৌশলে পুলিশের ৯৯৯ নম্বরে ফোন করেন। থানা থেকে টিম দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। বাদশা ও রবিনকে ঘটনাস্থল থেকে আটক করা হয়। বাকি দু’জনকে গৃহবধূর দেখানোমতে ওই এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।’
বায়েজিদ বোস্তামি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রিটন সরকার সারাবাংলাকে বলেন, ‘পাঁচ জনের মধ্যে চার জন সালমা কলোনির বাসায় থাকলেও একজন করে স্বামীকে পাহারার জন্য অটোরিকশার ভেতরে বসা ছিল। সবার শেষে একজন অটোরিকশা থেকে বেরিয়ে ওই বাসায় যাওয়া এবং বাসা থেকে আরেকজন অটোরিকশায় আসার মধ্য খানের সময়ে কৌশলে স্বামী ৯৯৯ নম্বরে ফোন দিয়ে তার স্ত্রীকে বাঁচানোর কথা বলেন। ঘটনা শুনেই আমরা দ্রুত সেখানে যাই। চার জনকে গ্রেফতার করি। তবে শফি পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। তাকে গ্রেফতারে অভিযান চলছে।’
ওসি প্রিটন সরকার জানান, ধর্ষণের শিকার গৃহবধূকে রাতেই চট্টগ্রাম মেডিকেল হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করানো হয়েছে। এ ঘটনায় বায়েজিদ থানায় পাঁচ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন গৃহবধূর স্বামী।