Friday 10 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

গণতান্ত্রিক সরকার ‘ইউজ মি’ শ্রেণির বুদ্ধিজীবীদের ব্যবহার করে না


৩০ আগস্ট ২০২০ ১৫:৪০ | আপডেট: ৩০ আগস্ট ২০২০ ২৩:৪৭

ঢাকা: সুশীল সমাজের কিছু প্রতিনিধিকে সমালোচনা করে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আমাদের অনেক বুদ্ধিজীবী, অনেকেই গণতন্ত্র খুঁজে বেড়ান। কিন্তু তারা গণতন্ত্র খোঁজেন—যখন জরুরি অবস্থা জারি হয় তখন। অথবা মিলিটারি ডিকটেটর আসলে তারা গণতন্ত্রের স্বাদ পান। কিন্তু গণতান্ত্রিক পরিবেশে তারা গণতন্ত্র পান না। তাদের চরত্রিটা হচ্ছে চাটুকারিতা করা, তোষামোদি করা।’

রোববার (৩০ আগস্ট) দুপুরে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ উত্তর ও দক্ষিণ যৌথভাবে মিলাদ ও দোয়া-মাহফিলের আয়োজন করে। সেখানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।

বিজ্ঞাপন

গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংযুক্ত হয়ে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগ সভাপতি বঙ্গবন্ধু কন্যা।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘যারা এভাবে হঠাৎ করে ক্ষমতা দখল করে তারা এই তোষামোদকারীদের হায়ার (ভাড়া) করে। কিন্তু সত্যিকার গণতান্ত্রিক ধারা যখন থাকে তখন এদের মূল্য থাকে না। তখন যতই বুকে লেখে রাখুক ‘ইউজ মি’ অথবা আমাকে ব্যবহার কর। গণতান্ত্রিক সরকার তো তাদের ব্যবহার করবে না।’

জাতির পিতার নেতৃত্বে সদ্য স্বাধীন দেশেরে এগিয়ে চলার কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ শত প্রতিকূলতার মধ্যেও সামনের দিকে এগিয়ে যায়। আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর অনুমোদন লাভ করে। ১২৬টা দেশ বাংলাদেশকে স্বীকৃত দেয়। জাতিসংঘ, ওআইসি ও কমনওয়েলথসহ প্রত্যেকটি প্রতিষ্ঠানের সদস্য পদ পায়। আন্তর্জাতিক সকল সংস্থায় বাংলাদেশ তার সদস্য পদ অর্জন করে এত অল্প সময়ের মধ্যে কোনো দেশ এভাবে অর্জন করতে পারেনি।’

বিজ্ঞাপন

‘জাতির পিতার নেতৃত্বে ছিল বলে এটা সম্ভব হয়েছিল। কিন্তু এত কিছু পরেও কিছু লোক তো বলে কিছুই নাকি হয়নি। কোনো উন্নয়নই নাকি হয়নি, কোনো কিছুই নাকি করেননি। সেই কথা বলা লেখা শুরু করে। ইয়াহিয়া খান যা করেছিল, জিয়াউর রহমানও তাই করেছে, এরশাদও তাই করেছে। গণতন্ত্র মুখে ছিল কিন্তু বাস্তবে কি ছিল? জিয়াউর রহমান ‘৭৫ পরবর্তী ক্ষমতায় আসার পর আমাদের পার্টির কত মানুষকে সে নির্মমভাবে হত্যা করেছে।’

শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘এক একজনকে তুলে নিয়ে গেছে খবরও পাইনি। সেইসঙ্গে একটার পর এক ক্যু হয়েছে। সেনাবাহিনীর হাজার হাজার সদস্য, অফিসার এবং যারা বিশেষ করে মুক্তিযোদ্ধা প্রত্যেকটা মুক্তিযোদ্ধা অফিসার যারা রণাঙ্গণে যুদ্ধ করে এই দেশটাকে স্বাধীন করেছে তাদেরকে হত্যা করেছে জিয়াউর রহমান। জেলাখানায় চার জাতীয় নেতার হত্যা। মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে জিয়াউর রহমানের যেন আলাদা একটা রাগই ছিল। সেনা অফিসার যে কয়জন সবাইকে হত্যা করেছে এবং সৈনিকরা অনেকে জানতই না তার কি অপরাধ? ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে প্রতিরাতে ৮-১০টা করে ফাঁসি হত। তাদের চিৎকারে কারাগারের আকাশ বাতাস ভারি হত। এমন দিন নাই জিয়াউর রহমানের হাতে মানুষের মৃত্যুদণ্ড হয়নি বা তাদের মারেনি। এভাবে সারাদেশে একটা খুনের রাজস্ব কায়েম করেছিল। তার ওপর জাতির পিতার হত্যাকারীদের বিভিন্ন দূতাবাসে চাকরি দিয়ে পুরস্কৃত করেছিল। এখানে গণতন্ত্রটা কোথায়? মার্শাল ল অর্ডিন্যান্স জারি করে যারা ক্ষমতায় আসে তারা গণতন্ত্র দিতে পারে না।’

ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি শেখ বজলুর রহমানের সভাপতিত্বে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বক্তব্য রাখেন। সভায় কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্মসাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়াসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন। সভা পরিচালনা করেন ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির এবং দোয়া মোনাজাত পরিচালনা করেন দক্ষিণের সভাপতি আবু আহম্মেদ মান্নাফী।

ইউজ মি গণতন্ত্র টপ নিউজ শেখ হাসিনা সরকার

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর