ডা. সাবরিনার ২ এনআইডি: ব্যবস্থা নেবে ইসি
২৬ আগস্ট ২০২০ ১৮:১৩ | আপডেট: ২৬ আগস্ট ২০২০ ২০:৪৩
ঢাকা: প্রতারণার অভিযোগে গ্রেফতার বহুল আলোচিত জেকেজি হেলথ কেয়ারের চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা চৌধুরী মিথ্যা তথ্য দিয়ে নিজের নামে দুটি জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নিয়েছেন। নির্বাচন কমিশন (ইসি) থেকে নেওয়া দুটি এনআইডিতে স্বামীর নাম, মায়ের নাম ও ঠিকানা ভিন্ন ভিন্ন রয়েছে। এছাড়াও একটি এনআইডির চেয়ে অন্যটিতে বয়স ৫ বছর কম দেখানো হয়েছে। বর্তমানে সাবরিনার দুটি এনআইডিই সক্রিয় রয়েছে। এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র সচিব মো. আলমগীর বলেছেন, ডা. সাবরিনা চৌধুরীকে দুটি জাতীয় পরিচয়পত্র দেওয়ার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বুধবার (২৬ আগস্ট) সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ইসির সিনিয়র সচিব এসব কথা বলেন। উল্লেখ্য, দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অনুসন্ধানে সাবরিনার দ্বৈত ভোটার হওয়ার বিষয়টি বের হয়ে এলে এর ব্যাখ্যা চেয়ে নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দেওয়া হয়।
ইসি সচিব বলেন, ‘দুদকের চিঠি আমরা পেয়েছি। জাতীয় পরিচয়পত্র বিষয়টি দেখে কমিশনের জাতীয় পরিচয়পত্র অনুবিভাগ। আমরা ইতোমধ্যে সেই বিভাগকে চিঠির বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানাতে বলেছি। আশা করছি আজকের মধ্যেই এ বিষয়ে তারা প্রতিবেদন দেবেন। অনুবিভাগ থেকে প্রতিবেদন পেলে এ বিষয়ে আমরা বিস্তারিত জানাতে পারব।’
তিনি বলেন, ‘প্রতিবেদন পাওয়ার আগে বিষয়টি সম্পর্কে কিছু বলতে পারছি না। তবে দ্বৈত ভোটারের বিষয়টি যদি প্রমাণিত হয় তাহলে এর সঙ্গে ইসির কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারির সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে ‘
সূত্র জানায়, ডা. সাবরিনা চৌধুরীর মিথ্যা তথ্য দিয়ে নিজের নামে দুটি জাতীয় পরিচয়পত্র (এনঅঅইডি) নিয়েছেন। দুটি এনআইডিতে নিজের নাম এক হলেও স্বামীর নাম ভিন্ন ভিন্ন রয়েছে। আবার একটি এনআইডির চেয়ে অন্যটিতে বয়স কম দেখানো হয়েছে। সম্প্রতি দুদকের অনুসন্ধানে তা বের হয়ে আসে। পরে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে ইসির কাছে তথ্য চেয়ে চিঠি দেয় দুদক। বর্তমানে ইসি বিষয়টি তদন্ত করছে।
সূত্র আরও জানায়, ডা. সাবরিনা ২০১৬ সালের ভোটার তালিকা হালনাগাদের সময় দ্বিতীয়বার ভোটার হন। একটি এনআইডিতে ভোটার হন সাবরীনা শারমিন হোসেন নাম দিয়ে, সেখানে তার জন্ম তারিখ ১৯৭৮ সালের ২ ডিসেম্বর উল্লেখ করা হয়। এখানে স্বামীর নাম ব্যবহার করা হয়েছে আর. এইচ. হক।
আরেকটি এনআইডিতে জন্ম তারিখ দেখানো হয় ১৯৮৩ সালের ২ ডিসেম্বর। স্বামীর নাম লেখা হয়েছে আরিফুল চৌধুরী। একটিতে বাবার নাম সৈয়দ মুশাররফ হোসেন ও মায়ের নাম কিশোয়ার জেসমিন। অন্য এনআইডিতে মা-বাবার নাম পরিবর্তন করে রাখা হয়েছে সৈয়দ মুশাররফ হসেন ও জেসমিন হুসেন। দুই এনআইডিতে দুই জায়গার ঠিকানাও ব্যবহার করা হয়েছে। একটিতে মোহাম্মদপুরের পিসিকালচার হাউজিং সোসাইটির ঠিকানা, অন্যটিতে বাড্ডা এলাকার প্রগতি সরণির আনোয়ার ল্যান্ডমার্কের ঠিকানা দেওয়া আছে।
এনআইডি চেয়ারম্যান জেকেজি হেলথ কেয়ার ডা. সাবরিনা দুদক দ্বৈত ভোটার নির্বাচন কমিশন