Tuesday 07 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

স্কুটি চড়ে নগর পরিভ্রমণে চসিক প্রশাসক সুজন


২৪ আগস্ট ২০২০ ১৬:৩১ | আপডেট: ২৪ আগস্ট ২০২০ ১৮:৫৮

চট্টগ্রাম ব্যুরো: নগরবাসীর সমস্যা-অভিযোগের কথা শুনতে এবং সরেজমিনে দেখে সমাধান করতে স্কুটি চড়ে নগর পরিভ্রমণ শুরু করেছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন। তিনি একা নন, সঙ্গে নিয়েছেন সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন বিভাগের প্রধান এবং তাদের টিমকেও।

সোমবার (২৪ আগস্ট) দুপুর আড়াইটায় নগরীর বহদ্দারহাট মোড় থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে এই কর্মসূচি। এর নাম তিনি দিয়েছেন ‘নগরসেবায় ক্যারাভান’।

বিজ্ঞাপন

দায়িত্ব গ্রহণের ১৯ দিনের মাথায় সুজনের ব্যতিক্রমধর্মী এই কর্মসূচি নিয়ে মানুষের মধ্যে কৌতূহল ও আলোচনা শুরু হয়েছে। বহদ্দারহাট মোড়ে সজুনের ‘নগরসেবায় ক্যারাভান’ কর্মসূচি দেখতে উপস্থিত হন সাধারণ লোকজনও।

চসিক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন সারাবাংলাকে বলেন, ‘ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক, খানাখন্দ, নষ্ট সড়কবাতি, বর্জ্য জমে থাকাসহ যেসব কারণে নাগরিক দুর্ভোগ তৈরি হয়, সেগুলো আমি সচক্ষে দেখতে চাই। দেখে তাৎক্ষণিকভাবে সমাধানের উদ্যোগ নেব। নগরবাসীর সঙ্গে যেন তাদের প্রশাসকের কোনো দূরত্ব না থাকে, তারা যেন অভাব-অভিযোগ সরাসরি আমাকে বলতে পারে, সেজন্য আমি এই উদ্যোগ নিয়েছি।’

নগরীর বহদ্দারহাট মোড়ে স্কুটি চালিয়েই আসেন খোরশেদ আলম সুজন। এসময় তার সঙ্গে কোনো নিরাপত্তার টিম ছিল না। শুধু বিদ্যুৎ, প্রকৌশল, পরিচ্ছন্ন বিভাগসহ বিভিন্ন বিভাগের প্রধান এবং তাদের টিম পৃথক গাড়িতে ছিল। বহদ্দারহাট মোড় স্কুটি চালিয়ে সুজন যান আনুমানিক পাঁচ কিলোমিটার দূরে কাপ্তাই রাস্তার মাথা এলাকায়। এসময় সড়কে খানাখন্দ, বর্জ্য পড়ে থাকতে দেখে তাৎক্ষণিকভাবে টিমকে এর সমাধানের নির্দেশ দেন।

বিজ্ঞাপন

বহদ্দারহাট মোড়ে কর্মসূচি শুরুর আগে উপস্থিত সাংবাদিকদের সুজন বলেন, ‘আপনারা জানেন, আমার মেয়াদ নির্দিষ্ট। সময় বেশি নেই। আমি এক মিনিটও ঘরে বসে থাকতে চাই না। আমি মানুষের অভিযোগ শুনে তাৎক্ষণিক সমাধান করতে চাই।’

এই কর্মসূচি ধারাবাহিকভাবে চলবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘প্রতি সপ্তাহে অন্তত একদিন কিংবা সম্ভব হলে দুই দিন প্রধান প্রধান সড়কগুলোতে যাব। এর মধ্যেই আবার মাঝে মাঝে বিভিন্ন অলিগলিতে যাব। আমি কোথায় যাব, সেটা আগে থেকে জানাব না। তাৎক্ষণিকভাবে যাবো, সমস্যা দেখে সমাধান করব। এটা ধারাবাহিকভাবে চলবে।’

কর্মসূচিতে উপস্থিত থাকা চসিকের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম সারাবাংলাকে বলেন, ‘আমাদের টিমে পর্যাপ্ত সংখ্যক জনবল রেখেছি। প্রশাসক মহোদয় সমস্যা চিহ্নিত করে যেভাবে সমাধান করতে বলবেন, যেভাবে নির্দেশনা দেবেন, সেভাবেই সমাধান করব।’

বহদ্দারহাট মোড়ে উপস্থিত উৎসুক লোকজন সুজনের এই কর্মসূচির প্রশংসা করেন। স্থানীয় ফল দোকানি মো. হাশেম সারাবাংলাকে বলেন, ‘উনি (খোরশেদ আলম সুজন) অন্তত চেষ্টা করছেন। আগের মেয়রদের তো গাড়ি থেকে নামতে দেখিনি। শুধু বড় বড় বক্তৃতা দিয়েছেন। মহিউদ্দিন চৌধুরীর পর উনাকেই আন্তরিক দেখছি।’

মেয়াদ শেষ হওয়ায় গত ৫ আগস্ট চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন থেকে তৎকালীন মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের নেতৃত্বাধীন পরিষদ বিদায় নেয়। এর আগে, গত ২৯ মার্চ চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। তবে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ পরিস্থিতিতে সেটি স্থগিত করা হয়েছে। পরে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি খোরশেদ আলম সুজনকে সরকার ১৮০ দিনের জন্য সিটি করপোরেশনের প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব দিয়েছে। গত ৬ আগস্ট তিনি দায়িত্বভার নেন।

ছবি: শ্যামল নন্দী

খোরশেদ আলম সুজন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন চসিক প্রশাসন টপ নিউজ নগরসেবায় ক্যারাভান স্কুটি স্কুটি পরিভ্রমণ