চমেক ছাত্রাবাসে হামলা: ১১ চিকিৎসকসহ ২৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা
২৪ আগস্ট ২০২০ ১৬:১৪ | আপডেট: ২৪ আগস্ট ২০২০ ১৬:২০
চট্টগ্রাম ব্যুরো: জাতীয় শোক দিবস পালনের কর্মসূচি ঠিক করতে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের ছাত্রাবাসে বৈঠকের সময় ছাত্রলীগের একাংশের নেতাকর্মীদের ওপর হামলার অভিযোগে আদালতে মামলা হয়েছে। মামলায় ১১ জন ইন্টার্ন চিকিৎসকসহ ছাত্রলীগের রাজনীতিতে জড়িত ২৬ জনকে আসামি করা হয়েছে।
সোমবার (২৪ আগস্ট) চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম সফিউদ্দিনের আদালতে মামলাটি দায়ের করেছেন হামলায় আহত চমেকের ডেন্টাল বিভাগের শিক্ষার্থী শাওন দত্ত। আদালত মামলা গ্রহণ করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন বলে সারাবাংলাকে জানিয়েছেন বাদির আইনজীবী শাহরিয়ার তানিম।
মামলায় যাদের অভিযুক্ত করা হয়েছে তাদের মধ্যে ১১ জন ইন্টার্ন চিকিৎসক। তারা হলেন— চমেক ছাত্রলীগের সভাপতি পরিচয়দানকারী হাবিবুর রহমান, চমেক ছাত্র সংসদের সহসভাপতি (ভিপি) পরিচয়দানকারী এম এ আউয়াল রাফি এবং ইন্টার্ন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের তাজওয়ার রহমান অয়ন, ওসমান গণি, ইমতিয়াজ উদ্দিন মানিক, মাসুম বিল্লাহ মাহিন, ফয়সাল আহমেদ, আসিফ মানজুম রিফাত, অতন্দ্র আকাশ, নুর মোহাম্মদ তানজিম ও এ এল এন এস শাহরিয়ার।
এছাড়া অভিযুক্তদের তালিকায় বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীদের মধ্যে আছেন— চমেক ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক পরিচয়দানকারী আল আমিন ইসলাম শিমুল এবং ছাত্রলীগের রাজনীতিতে জড়িত শোয়াইদ আলী খান, রাহাত জামান, সানি হাসনাইন প্রান্তিক, মাহাদী বিন হাশিম, এম এ কাইয়ূম ইমন, মিনহাজ আবরান লিমন, হাবিবুল ইসলাম, মঈদ সাকিব, আহমেদ ফয়সল, এস এম জিয়াউদ্দিন, সাহেদ কামাল, এইচ আর মাহফুজুর রহমান, আহসানুল করিম মঞ্জুরুল ও অনির্বাণ দে।
অভিযুক্তরা সবাই চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারী হিসেবে পরিচিত। আর মামলার বাদি শাওন দত্ত শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।
মামলার আরজিতে বলা হয়েছে, গত ১৩ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসের কর্মসূচি নিয়ে চমেক ছাত্রাবাসের লবিতে একদল শিক্ষার্থী বৈঠক করছিলেন। এরপর দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ ছাত্রাবাসে তারা নিজ নিজ কক্ষে গিয়ে তাদের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয়ে ফিরে যাচ্ছিলেন। লবিতে আসার পর তাদের ওপর হাবিবুর রহমান ও আল আমিন ইসলাম শিমুলের নেতৃত্বে ৩০-৩৫ জন অতর্কিতে হামলা করে। এতে শাওনসহ কয়েকজন গুরুতর আহত হয়ে চমেক হাসপাতালে চিকিৎসা নেন।
হামলার পর রাতে পাল্টা হামলার অভিযোগে ১৪ আগস্ট সকাল থেকে চমেক হাসপাতালে ইন্টার্ন চিকিৎসকেরা সেবা বন্ধ করে দেন। নগরীর চকবাজার থানায় একটি মামলা দায়েরের পর নওফেলের অনুসারী ১১ শিক্ষার্থীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে ইন্টার্ন চিকিৎসকেরা ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নেন।
এর আগে, গত ১২ জুলাই চমেক ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপে মারামারিতে কমপক্ষে ১৩ জন আহত হন। এরপর নওফেলের অনুসারী চমেক ছাত্রলীগের নেতা খোরশেদুল আলম বাদী হয়ে ১১ চিকিৎসকসহ ৩৬ জনের বিরুদ্ধে পাঁচলাইশ থানায় একটি মামলা দায়ের করেছিলেন।
আরও পড়ুন-
চমেকে মারামারির মামলায় ১১ ছাত্র গ্রেফতার
‘চমেকে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে মদদ দিচ্ছে বিএমএ’
চমেক ছাত্রাবাসে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপে মারামারি
চমেকে মারামারি: ১১ ডাক্তারসহ ৩৬ জনের নামে মামলা
চমেকে ছাত্রলীগের দু’গ্রুপে মারামারি, পুলিশসহ আহত ১৩
মারামারির পর চমেক হাসপাতালে ইন্টার্ন চিকিৎসকরা কর্মবিরতিতে
একাংশের হামলা চমেক ছাত্রবাস ছাত্রলীগ টপ নিউজ বৈঠক শোক দিবসের কর্মসূচি