Wednesday 08 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

বেলারুশে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ, লাখো মানুষের সমাগম


২৪ আগস্ট ২০২০ ১১:৩১ | আপডেট: ২৪ আগস্ট ২০২০ ১৪:১০

বেলারুশে সরকারের সেনা মোতায়েন ও কঠোরভাবে আন্দোলন মোকাবিলার হুমকি উপেক্ষা করে সরকারবিরোধী বিক্ষোভে রাজধানী শহর মিনস্কে লাখো মানুষের ঢল নামে। খবর ডয়চে ভেলে।

এদিকে, সংবাদসংস্থা এপি জানিয়েছে, রোববার (২৩ আগস্ট) অন্ততপক্ষে লাখ দেড়েক লোক জমায়েত হয়েছিলেন ইন্ডিপেন্ডেন্টস স্কোয়ারে।

এর দিন কয়েক আগে, আরও একবার সরকার পতনের দাবি নিয়ে লাখো লোকের জমায়ত হয়। এবার বিক্ষোভ আকারে সেই জমায়েতকেও ছাড়িয়ে গেছে।

এ ব্যাপারে বেলারুশ থেকে ডয়েচে ভেলের প্রতিনিধি নিক কনোলি জানিয়েছেন, সত্যিই বিশাল সমাবেশ ছিল। মাস কয়েক আগেও ভাবা যায়নি, বেলারুশে এত বড় বিক্ষোভ হতে পারে।

তবে যার পদত্যাগ ও নতুন করে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দাবিতে এই বিক্ষোভ, সেই প্রেসিডেন্ট লুকাশেঙ্কো এখনো তার মনোভাবে অনড়। রাষ্ট্রায়ত্ত্ব সংবাদসংস্থা একটি ভিডিও আপলোড করেছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, লুকাশেঙ্কো প্রেসিডেন্ট হাউসের চত্বরে একটি হেলিকপ্টার থেকে নামলেন। তাঁর হাতে কালাশনিকভ অটোমেটিক রাইফেল।

এদিকে, রোববার (২৩ আগস্ট) রাষ্ট্রায়ত্ত্ব সংবাদমাধ্যমে এক সময় জলকামানসহ সশস্ত্র নিরাপত্তারক্ষীদের ছবি দেখানো হয়। তবে শেষ পর্যন্ত বিক্ষোভ শান্তিপূর্ণ ছিল। পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়নি। নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গেও কোনো সংঘর্ষের খবর পাওয়া যায়নি।

এক বিক্ষোভকারী ডয়েচে ভেলেকে জানিয়েছেন, লুকাশেঙ্কো ৮০ শতাংশ ভোট পেয়েছেন দেখে আমি অবাক। এটা মিথ্যা ছাড়া আর কিছু হতে পারে না। এই নির্বাচন একেবারেই অবাধ হয়নি। আমি ওদের ক্ষমা করতে পারব না।

বিক্ষোভের শুরুতে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের তরফ থেকে জানানো হয়, জাতীয় স্মারক রক্ষা করার জন্য সেনাবাহিনী মোতায়েন থাকবে। সরকারি ভবন, স্মারকের কাছে কোনোরকম গোলমাল বরদাস্ত করা হবে না।

বিজ্ঞাপন

অন্যদিকে, ডয়চে ভেলের প্রতিনিধি জানিয়েছেন, সেনা মোতায়েনের খবরে বিক্ষোভকারীদের ক্ষোভ আরো বাড়ে। এতদিন শুধু পুলিশ মোতায়েন করা হতো। রোববার থেকে সেনাও মোতায়েন করা হলো। অথচ, বিক্ষোভকারীরা নিরস্ত্র। তা সত্ত্বেও বিক্ষোভকারীর সংখ্যা রেকর্ড পরিমাণ বেড়েছে।

পাশাপাশি, বেলারুশ নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) এবং রাশিয়ার মধ্যেও কথার লড়াই চলছে। ইইউ বিক্ষোভকারীদের পক্ষে। ইইউ’র কূটনীতিক জোসেপ বরেল সাবধান করে দিয়ে বলেছেন, বেলারুশকে দ্বিতীয় ইউক্রেন হতে দেয়া যাবে না। লুকাশেঙ্কোর মোকাবিলা করা এ জন্যই জরুরি।

জবাবে, রাশিয়া আবার ইইউ’কে সাবধান করে দিয়ে বলেছে, তারা যেন বেলারুশের বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করে। যদি দরকার হয় রাশিয়া হস্তক্ষেপ করবে। ইইউ যা করছে তা গঠনমূলক তো নয়ই এবং তা আলোচনার পথও প্রশস্থ করছে না।

আলেক্সান্ডার লুকাশেঙ্কো বিক্ষোভ বেলারুশ

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর