বিদেশে কর্মী পাঠানোর ক্ষেত্রে গুরুত্ব পাবে পিছিয়ে থাকা জেলা
২৩ আগস্ট ২০২০ ২১:০৭
ঢাকা: দেশের অনগ্রসর জেলাগুলো থেকে বেশি সংখ্যক কর্মী বিদেশে পাঠানোর ওপর সরকার গুরুত্ব দেবে বলে জানিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ।
রোববার (২৩ আগস্ট) জনশক্তি কর্মসংস্থান প্রশিক্ষণ ব্যুরোর আয়োজনে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে IM Japan প্রোগ্রামের আওতায় জাপানে প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত ৮ জন টেকনিক্যাল ইন্টার্নের দেশে প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে সংবর্ধনা ও চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
করোনাভাইরাস পরবর্তী পরিস্থিতিতে শ্রমবাজারের পরিবর্তিত চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে কর্মী পাঠাতে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে জানিয়ে বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী বলেন, ‘শিক্ষানবিশ কালে জাপানে উপার্জিত অর্থ দিয়ে তারা বাংলাদেশে প্রশিক্ষণ সংশ্লিষ্ট সেক্টরে উদ্যোক্তা হিসেবে ব্যবসা করতে পারে। জাপানে প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত টেকনিক্যাল ইন্টার্নরা বাংলাদেশের শিল্পোন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারে। জাপানিজ ভাষায় অধিকতর দক্ষতা অর্জন করায় তাদেরকে জাপানিজ ভাষার প্রশিক্ষণ কার্যক্রমে প্রশিক্ষক হিসেবে যুক্ত করার চিন্তাভাবনা করছে সরকার।’
আর প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান সচিব ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন বলেন, ‘আমরা সব সময় সুষ্ঠু ও নিয়মতান্ত্রিক অভিবাসনের স্বপ্ন দেখি। IM Japan Programme এর আওতায় যারা জাপানে প্রশিক্ষণ নিয়ে বাংলাদেশে ফিরে এসেছেন তারা আমাদের স্বপ্ন বাস্তবায়নে ভূমিকা রাখছে। দেশের ৩১টি কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে জাপানি ভাষায় প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। যারা জাপানিজ ভাষায় অধিকতর দক্ষতা অর্জন করেছেন, তারা জাপান যেতে অগ্রাধিকার পাচ্ছেন।’
এ সময় বাংলাদেশ এমপ্লয়ার্স ফেডারেশনের সভাপতি কামরান টি রহমান বাংলাদেশের প্রশিক্ষিত কর্মীদের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি তথা মিউচুয়াল রিকগনিশনের উপর গুরুত্ব দেন। তিনি বিদেশ থেকে আসা দক্ষ কর্মীদের বাংলাদেশে কর্মসংস্থানের জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে জানান।
উল্লেখ্য, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মাসংস্থান মন্ত্রণালয় ও IM Japan (International Manpower Development Organization Japan) এর মধ্যে স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারক অনুযায়ী এ পর্যন্ত ১৪৪ জন টেকনিক্যাল ইন্টার্ন জাপানে গেছে। প্রথম ব্যাচে ১০ জন টেকনিক্যাল ইন্টার্ন গত ৩০ জুলাই জাপানে যান। তিন বছরে তারা প্রত্যেকেই ৫৪ লাখ থেকে ৬৮ লাখ ৪০ হাজার জাপানিজ ইয়েন যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৪৩ থেকে ৫৪ লাখ টাকা উপার্জন করেছে। ওই ১০ জন টেকনিক্যাল ইন্টার্ন জাপানের বিভিন্ন কোম্পানিতে ইনড্রাস্ট্রিয়াল প্যাকেজিং, প্লাস্টিক মোল্ডিং, রড বাইন্ডিং ও স্কাফোল্ডিং ট্রেডের উপর জাপানের অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে কাজ করে দক্ষতা অর্জন করেছে এবং তারা জাপানিজ ভাষার উপর দক্ষতা অর্জন করতে পেরেছেন।
আই এম জাপান প্রোগামের আওতায় ৬ লাখ টাকার চেক প্রাপ্ত ৮ জন ইন্টার্ন হলেন- মাহিন হাওলাদার, মো. সাদ্দাম হোসেন, মো. নবির হোসেন, মো. তাহির তৈয়ব, ফিরোজ মাহমুদ লিটন, মো. মিজানুর রহমান, মো. রুহুল আমিন ও মো. নাজমুল হুদা।
অনগ্রসর জেলা ইমরান আহমদ টপ নিউজ প্রবাসী কল্যাণ বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী