Thursday 09 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

জোয়ারে ডুবে যায় মহাশ্মশান, উদ্ধারের চেষ্টা নওফেলের


২১ আগস্ট ২০২০ ২১:০০ | আপডেট: ২১ আগস্ট ২০২০ ২১:০২

চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রামে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মৃতদেহ সৎকারের প্রধান শ্মশান বলুয়ারদীঘি অভয়মিত্র মহাশ্মশানের এক দশকের জলাবদ্ধতার সংকট নিরসনে এগিয়ে এসেছেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। নিজ সংসদীয় এলাকার এই মহাশ্মশানের জন্য ব্যক্তিগতভাবে তিন লাখ টাকা এবং সংলগ্ন কালীমন্দিরের জন্য এক লাখ টাকা সরকারি অনুদান দিয়েছেন তিনি।

চার লাখ টাকা দিয়ে শ্মশানযাত্রীদের জলাবদ্ধতার দুর্ভোগ থেকে মুক্ত করার জন্য অবকাঠামো উন্নয়নের কাজ করা হবে বলে জানিয়েছেন মহাশ্মশান পরিচালনা পরিষদের সভাপতি ও নগর আওয়ামী লীগের উপ-দফতর সম্পাদক জহরলাল হাজারী।

বিজ্ঞাপন

চট্টগ্রাম নগরীর কোতোয়ালী থানার বলুয়ার দীঘির পাড়ে এই মহাশ্মশানেই মূলত হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনের মৃতদেহ সৎকার করা হয়। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন এর পরিচালনায় আছে।

গত ১০ বছরেরও বেশি সময় ধরে এই মহাশ্মশানটি বর্ষায় এবং প্রায় পুরো বছরই অমাবস্যা-পূর্ণিমায় জোয়ারের সময় পানিতে প্লাবিত হয়। এতে শ্মশানযাত্রীদের মৃতদেহ সৎকার করতে দুর্ভোগে পড়তে হয়। হিন্দু সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে বারবার দাবি তোলা হলেও সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে গত এক দশকে এই দুর্ভোগ নিরসনে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ার অভিযোগ আছে।

চসিকের সাবেক কাউন্সিলর জহরলাল হাজারী সারাবাংলাকে বলেন, ‘বলুয়ারদীঘি খালের পাড়ে এই মহাশ্মশানটি তৈরি হয়েছিল। কর্ণফুলী নদীর সঙ্গে সরাসরি সংযুক্ত চাক্তাই খালের সঙ্গে বলুয়ারদীঘি খালের সংযোগ আছে। ২০-২৫ বছর আগেও এই খালে নৌকা আসত। কিন্তু এখন ময়লা-আবর্জনায় অবস্থা এমন হয়েছে যে, সেখান দিয়ে ভালোভাবে পানিও প্রবাহিত হয় না। বৃষ্টি হলে এবং জোয়ারের পানি এলে সেগুলো উপচে ময়লা-আবজর্না নিয়ে ঢুকে পড়ে শ্মশানে। এতে সৎকারের জন্য যারা আসেন তাদের ভোগান্তি হয়।’

বিজ্ঞাপন

‘গত ১০ বছর ধরে এই সমস্যা বেশি হয়েছে। সাবেক মেয়র এম মনজুর আলম এবং আ জ ম নাছির উদ্দীন সাহেবের আমলে কিছু থোক বরাদ্দ দেওয়ার কথা বললেও সেটা আমরা পাইনি। মন্ত্রণালয়ে একটি প্রকল্প পাঠানো হলেও সেটি আটকে আছে। এলাকার সাবেক সংসদ সদস্য জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু এবং বর্তমান সংসদ সদস্য উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল সাহেবের সহযোগিতা নেয়নি সিটি করপোরেশন। সাংসদ হিসেবে উনাদের সহযোগিতা নিলে এই সংকটের আরও আগেই সমাধান হয়ে যেত’, বলেন জহরলাল হাজারী।

এই অবস্থায় উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের পক্ষ থেকে চার লাখ টাকা অনুদান শুক্রবার সকালে জহরলাল হাজারীর কাছে তুলে দেওয়া হয়। যেহেতু শ্মশানটি সিটি করপোরেশন পরিচালিত, সংশ্লিষ্ট প্রশাসকের পরামর্শ নিয়ে অবকাঠামো উন্নয়নের কাজ শুরু করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

জহরলাল হাজারী সারাবাংলাকে বলেন, ‘আমরা কমিটির পক্ষ থেকে সম্প্রতি কিছু কাজ শুরু করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু চসিকের প্রশাসক (খোরশেদ আলম সুজন) মহোদয় আরও সুপরিকল্পিতভাবে করার জন্য আমাদের কাজ বন্ধ রাখতে বলেন। আমরা কাজ বন্ধ করে দিই। আজ (শুক্রবার) প্রশাসক মহোদয় আমাকে ডেকেছিলেন। উপমন্ত্রী মহোদয়ের কাছ থেকে চার লাখ টাকা অনুদান পাওয়ার বিষয়টি আমি জানিয়েছি। তিনি বলেছেন, আগামীকাল (শনিবার) তিনি মহাশ্মশান পরিদর্শনে আসবেন। কাজটা যাতে সুন্দরভাবে হয় সেজন্য তিনি কিছু পরামর্শ দেবেন। মাটি ভরাট করে শ্মশানটাকে একটু উঁচু করার চেষ্টা করবো। তাহলে পানিতে দুর্ভোগ কিছুটা কমবে।’

জানতে চাইলে উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল সারাবাংলাকে বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে ভোগান্তি নিরসনের একটা পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। মাটি ভরাট করে জায়গাটা কিছু উঁচু করলে জোয়ারের পানি সহজে ঢুকতে পারবেন না। এরপর সমন্বিত একটি পরিকল্পনা অবশ্যই নেওয়ার চেষ্টা করবো, যাতে এই দুর্ভোগ থেকে স্থায়ীভাবে মুক্ত হওয়া যায়।’

অভয়মিত্র মহাশ্মশান টপ নিউজ প্রধান শ্মশান মহাশ্মশান মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল শিক্ষা উপমন্ত্রী

বিজ্ঞাপন

লস অ্যাঞ্জেলসে দাবানল, নিহত ৫
৯ জানুয়ারি ২০২৫ ১০:৪৩

আরো

সম্পর্কিত খবর