Wednesday 08 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

পার্বত্য নারী-কিশোরীদের প্রজনন স্বাস্থ্যে আর্থিক প্রণোদনার দাবি


২০ আগস্ট ২০২০ ২২:৩০ | আপডেট: ২০ আগস্ট ২০২০ ২৩:৩৫

ঢাকা: পার্বত্য চট্টগ্রামের নারী ও কিশোরীদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত ও প্রজনন স্বাস্থ্য সুরক্ষায় এককালীন আর্থিক প্রণোদনা বরাদ্দের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ আদিবাসী নারী নেটওয়ার্ক ও বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংঘ (বিএনপিএস)।

বৃহস্পতিবার (২০ আগস্ট) এক আলোচনা অনুষ্ঠানে জীবিকা সংকটে থাকা ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর জনগণের জন্য বিশেষ পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে বিএনপিএস কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আলোচনা অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন বিএনপিএস’র উপপরিচালক শাহনাজ সুমী। আলোচনায় অংশ নেন রাঙ্গামাটির মেডিকেল অফিসার ডা. মো. মোস্তফা কামাল, বান্দরবানের মেডিকেল অফিসার ডা. ক্য থোয়্যাই প্রু প্রিন্স, খাগড়াছড়ির মেডিকেল অফিসার ডা. মিটন চাকমা, জেন্ডার ও প্রজনন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. জুলিয়া আহমেদ, দীপ্ত ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক জাকিয়া কে হাসান, সিমাভি’র ব্যবস্থাপক মাহবুব হক, বিএনপিএস’র পরিচালক খোন্দকার আরিফুল ইসলাম, আদিবাসী নারী নেটওয়ার্কের সদস্য সচিব চঞ্চনা চাকমা, নমিতা চাকমা, ডনাই প্রু নেলী, শেফালিকা ত্রিপুরা, ডা. নিলু তঞ্চগ্যা, ডনাই প্রু মেরী, হরেন সিং, মাহবুব আলম, ধনরঞ্জন ত্রিপুরা, ফাল্পুনী ত্রিপুরাসহ অন্যরা।

সভায় বেশকিছু সুপারিশ তুলে ধরে বলা হয়, পার্বত্য চট্টগ্রামে অনলাইনভিত্তিক স্বাস্থ্যসেবা পাওয়ার জন্য প্রতিটি পাড়ায় মোবাইল সার্ভিসের দোকানগুলোকে সার্ভিস পয়েন্ট বানানো যেতে পারে, যেখানে প্রান্তিক ও দরিদ্র নারীরা অনলাইনে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে পারে। ওয়ার্ড পর্যায়ে কমপক্ষে একজন করে নারীকে স্বাস্থ্য ও ধাত্রী বিদ্যায় প্রশিক্ষণ দিতে হবে, যারা বাড়ি বাড়ি গিয়ে গর্ভবতী ও প্রসূতি মায়েদের বিভিন্ন সেবা এবং কিশোরীদের মাসিক স্বাস্থ্য নিয়ে বিভিন্ন তথ্য ও পরামর্শ দেবেন। প্রতিটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে প্রয়োজনীয় ওষুধ, অপারেশনের যন্ত্রপাতি ও অনান্য উপকরণ জোগানের জন্য নিশ্চিত করতে হবে। এছাড়া দুর্গম এলাকা বিবেচনায় অ্যাম্বুলেন্সের সংখ্যা বাড়ানোর সুপারিশ করা হয়।

বিজ্ঞাপন

সভায় বক্তারা বলেন, দেশের সবখানে যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্যের অব্যবস্থাপনা একটি চিরাচরিত চিত্র হলেও তিন পার্বত্য জেলায় এই চিত্রটি আরও করুণ। প্রজননস্বাস্থ্য সমস্যার সঙ্গে এই অঞ্চলে যুক্ত আছে ভৌগোলিক অবস্থা, অপ্রতুল স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের স্বল্পতা, সামাজিক প্রথা, আদিবাসীদের প্রথাগত নিয়মনীতি, জীবনযাত্রার মান এবং অর্থনৈতিক অবস্থা। যাতায়াত ব্যবস্থাসহ নানা প্রান্তিকতার কারণে পার্বত্য চট্টগ্রামের নারী ও কিশোরীদের জন্যে পরিস্থিতি সবসময়ই কঠিন। এরপর করোনা পরিস্থিতিতে তা আরও সংকটপূর্ণ হয়ে উঠেছে। ওই অঞ্চলে প্রান্তিক পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেওয়ার জন্যে পর্যাপ্ত পরিকাঠামো গড়ে তোলার আহ্বান জানান তারা।

পার্বত্য কিশোরী পার্বত্য নারী প্রজনন স্বাস্থ্য প্রণোদনা

বিজ্ঞাপন

৭ বছর পর মা-ছেলের সাক্ষাৎ
৮ জানুয়ারি ২০২৫ ১৬:৩৮

আরো

সম্পর্কিত খবর